অনলাইন ডেস্ক : তিন দশকের বেশি সময় ধরে সাগরতলের মাটির সঙ্গে আটকে থাকার পর বিশ্বের বৃহত্তম হিমশৈল বা বরফখণ্ডটি সরে যাচ্ছে। এ২৩এ নামের বরফখণ্ডটি ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকা উপকূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে এটির তলদেশ মাটিতে আটকে গিয়ে বরফের দ্বীপে পরিণত হয়।
চার হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের বরফখণ্ডটি তুলনায় বৃহত্তর লন্ডনের দ্বিগুণেরও বেশি।
এটি ৪০০ মিটার পুরু। গত বছরই সরতে শুরু করেছিল বরফখণ্ডটি। এবার তা দ্রুতগতিতে স্থান পরিবর্তন করছে।
ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের দূরবর্তী অনুধাবন বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্ড্রু ফ্লেমিং বলেন, বরফখণ্ডটি ১৯৮৬ সাল থেকে আটকে আছে।
তবে সম্প্রতি এটি সরতে শুরু করেছে।
হিমশৈলটির ওপর নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা। এটি যদি হিসাবমতো সাউথ জর্জিয়া দ্বীপে গিয়ে আটকে যায়, তাহলে লাখ লাখ শিল, পেঙ্গুইন এবং অন্যান্য সামুদ্রিক পাখির ক্ষতির কারণ হবে। ওই অঞ্চলের প্রাণীরা বিচরণের তৃণভূমি হারাবে।
অন্যদিকে এর উপকারী দিকও আছে। বিশাল বরফখণ্ডকে শুধু বিপদের বস্তু হিসেবে ভাবলে ভুল হবে। পরিবেশে এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। বিশাল হিমশৈলগুলো গলে গেলে সেখান থেকে খনিজ ধূলিকণা বেরিয়ে আসে। ওই ধূলিকণা সমুদ্রের খাদ্য শৃঙ্খলের ভিত্তি তৈরি করা জীবগুলোর জন্য পুষ্টির উৎস।
সূত্র : বিবিসি