অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে। আন্দোলনে দেশের ছাত্রসমাজ এবং তরুণরা নিজের জীবনবাজি রেখে সংগ্রাম করে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে। আর এ সংগ্রামের মূল কারিগর ছিলেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বজর্নের মাধ্যমে তারেক রহমান প্রমাণ করেছেন তার সিদ্ধান্তই সঠিক। সরকারের একতরফা নির্বাচনের কারণে দেশ-বিদেশে আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের অবস্থান জিরোতে নেমে আসে। সম্প্রতি ভারতের গণমাধ্যমও বলেছে বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে না পারাই ছিলো ছিলো আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় ভূল।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্মরণসভায় প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটে।

স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালী বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এতে প্রধান বক্তা হিসেবে (ভার্চ্যুয়ালী) বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভানেত্রী রোমানা মাহমুদ।

ছাত্রজনতার সরকার পতন আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে অনুষ্ঠিত সভায় বেলকুচি, চৌহালী এবং এনায়েতপুর থানা বিএনপির উদ্যােগে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রিজভী বলেন, হাজারও জীবনের বিনিময়ে পাওয়া বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে ফ্যাসিবাদের দোসরা প্রতিবিপ্লবের মাধ্যমে নসাৎ করার চক্রান্তে লিপ্ত। আজকে যদি সেই খুনী ও লুটেরাদের দ্রুত বিচার করা না হয় তাহলে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে প্রত্যাখিত হয়ে গুপ্ত হত্যা শুরু করেছে। রাতের আধারে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। তাদের পেটুয়া বাহিনী ছাত্রলীগকে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে করে সাধারণ ছাত্রদেরকে জনগণের মুখোমুখি করার অপচেষ্টা করছে।

রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য চলাকালে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে সভাটি প্রায় ১ ঘন্টা বন্ধ থাকে।

সভায় কয়েক কিলোমিটার দূরে চৌহালী উপজেলা থেকে ট্রলার এবং ছোট ছোট নৌকা দিয়ে যুমুনা নদী পার হয়ে কয়েক হাজার নেতাকর্মী এ স্মরণসভায় যোগ দেন। এছাড়াও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা থেকে নৌকাপথে, সড়কপথে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী এতে অংশগ্রহণ করেন। এ স্মরণসভাকে কেন্দ্র করে যমুনা সেতু থেকে এনায়েতপুর পর্যন্ত লাগানো হয়েছে অসংখ্য তোরণ, ব্যানার এবং ফেস্টুন।

বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বনি আমিন ও এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জু সিকদারের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, উপদেষ্টা ডা. এমএ মুহিত, বেলকুচি উপজেলার আহবায়ক নুরুল ইসলাম গোলাম, পৌর বিএনপির আহবায়ক আলতাব প্রামাণিক, এনায়েতপুর থানা বিএনপির আহবায়ক মন্টু সরকার, চৌহালী উপজেলার সভাপতি জাহিদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ময়নাল ক্বারী, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল কায়েস, ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ, মহিলা দলের সভানেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন হাসি প্রমুখ।