নাদিরা তাবাসসুম : সুজাত দ্রুতগতিতে প্রবল ঝড়ের মধ্য দিয়ে হাঁটছে, বাতাসে সব যেন উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মাঠের উপর দিয়ে হাঁটার সময় দেখে বড় বড় সবুজ গাছের পাতা এবং ডালপালাগুলো হেলেদুলে ভেংগে পরতে চাইছে। বাতাস আর ঝরা পাতার শব্দ সুজাতের মনের বেদনার সাথে মিশে সবকিছু কেমন যেন বিষন্ন করে তুলেছে। কিছুদিন আগের শীতকালের শুকনো মরা গাছগুলো সবুজ কচি কচি পাতায় ভরে উঠেছে কিন্তু ঝড় তাদের আঘাতে তছনছ করে দিচ্ছে। আজ সুজাতের মনের ভিতরেও যে প্রচন্ড ঝড় বইছে তা সে সামলাতে পারছে না। জীবনের এক এক পর্যায়ে এসে এক এক টানা পোড়নে উদ্বেলিত। ছোটবেলায় মা-বাবা, ভাই-বোনের আদর-স্নেহ-ভালোবাসা, কৈশোর যৌবন পেরিয়ে আজ মধ্য বয়সে দ্ব›দ্ব-সংঘাতময় পরিবেশে সত্যিকারের প্রেম-ভালোবাসাহীন পৃথিবীতে দুঃখ যন্ত্রণায় হাবুডুবু খাচ্ছে। বুঝতে পারছে, মা-বাবা যেভাবে ছেলেমেয়েকে ভালোবাসে সে ভালোবাসা আর কেউ দিতে পারে না। আজ ছেলেমেয়ে জন্ম দিয়ে বুঝেছে কি মায়া-মমতা ছেলেমেয়ের জন্য বুকের ভেতর ছটফট করছে। রিতু কি একটুও উপলব্ধি করতে পারছে না যে রিশা দিশা ওর যেমন ছেলেমেয়ে সুজাতেরও তো ছেলেমেয়ে। অফিস থেকে বাসায় ফিরে ছেলেমেয়ে (রিশা দিশা) কে না পেলে বা তাদের না দেখলে যে ওর একদম ভালো লাগে না এটা রিতু জানে আর তাই ইচ্ছে করেই রাগ করেছে এবং ওদের নিয়ে বাবার বাড়ি চলে গেছে। মাঝে মাঝে নিজের উপরেই সুজাতের রাগ হয়। কতবার চেষ্টা করেছে রিতুকে ভালোবাসবে, কখনো কথা-বার্তা আচার-আচরণে রাগ প্রকাশ করবে না। তবু কেন যেন হঠাৎ রাগ উঠে; খারাপ ব্যবহার করে রিতুর সাথে। রিতু ভীষণ কষ্ট পায়, চুপি চুপি কান্না করে। জেনে বুঝেও অনেক সময় রাগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না হয়তো বা এটা বংশগত। পুরুষ শাসিত সমাজের পুরুষদের এটা এক রকমের রোগ। স্ত্রীর সাথে অযথা কর্তৃত্ব দেখানো। বাপ-দাদাকে দেখেছে তারা মা-দাদির সাথে যেমন ব্যবহার করেছে নিজের স্ত্রীর সাথেও ঠিক তেমনটি করে দেখাতে চায় যে সে বাপ-দাদার বংশ। এসব মোটেও ঠিক নয়। ছি, ছি, রিতু তাকে ভীষণ নিষ্ঠুর ভাবছে নিশ্চয়। ভাবতে ভাবতে সুজাত চলে এসেছে বাস ষ্ট্যান্ডের কাছে। বাসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। আজ রিতুদের বাড়ি গিয়ে ওর কাছে মাফ চাইতে হবে। হঠাৎ বাসষ্ট্যান্ডে দেখতে পায় রমিজ ভাইকে। মনে হলো তিনি দাঁড়িয়ে কার জন্য অপেক্ষা করছেন।
– এই রমিজ ভাই কার জন্য বাস ষ্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছেন। ভাবীর জন্য বুঝি’?

– ও সুজাত তুমি, (হকচকিয়ে রমিজ উত্তর দেয়), হ্যাঁ, তোমার ভাবী কাজে গেছে; কাজ থেকে ফিরতে অনেক রাত হবে বলেছে তাই দাঁড়িয়ে ওর জন্য অপেক্ষা করছি।
– ভাবীকে আপনি খুব ভালোবাসেন তাই না রমিজ ভাই?
– এ কেমন প্রশ্ন সুজাত? সব স্বামীরাই তাদের স্ত্রীদের ভালোবাসে। তুমিও তো রিতুকে ভালোবাস।
– হ্যাঁ, তবে মাঝে মাঝে মতবিরোধ, কথা কাটাকাটি ও ভীষণ ঝগড়া হয়; এতে রাগ ও ঘৃণার সৃষ্টি হয়।

– অবশ্যই স্বামী স্ত্রীর মাঝে মতভেদ হতে পারে, ঝগড়া হতে পারে। তবে রাগ বা ঝগড়া অতিরিক্ত তেতো করতে দিতে নেই। এসব পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলে নিতে হয়, কিছুক্ষণ দূরে সরে থাকতে হয়। একজনের রাগের সময় অন্যজনকে নীরব ভূমিকা পালন করতে হয় নতুবা শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে। অনেক কষ্ট করে পাওয়া ভালোবাসা সামান্য কারণে নষ্ট করতে নেই। আমিতো তোমার ভাবীকে পেতে গিয়ে আমার মা-বাবাকে হারিয়েছি, তাদের ভালোবাসাও হারিয়েছি।

– এ কেমন কথা রমিজ ভাই।
– হ্যাঁ ভাই, আমি ছাত্র অবস্থায় তোমার ভাবীকে অন্ধের মতো ভালোবাসতাম আর আমার বাবা-মা এর ঘোর বিরোধী ছিলেন কারণ আমাদের দুই পরিবারের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল না। এক সময় যখন দুই পরিবারের মধ্যে বন্ধুত্ব সম্পর্ক ছিল তখন সেই সময়ে আমাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। এমন সময় রমিজ দেখে মর্জিনার বাস চলে এসেছে এবং মর্জিনা বাস থেকে নেমে রমিজের কাছে হেঁটে আসছে।
– কি ব্যাপার সুজাত ভাই, আজ আপনিও বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছেন। ভাবীর জন্য অপেক্ষা করছেন বুঝি?
– না ভাবী, আজ আমি আপনার ভাবীকে বাবার বাড়ি থেকে আনতে যাচ্ছি। রিতু আমার সাথে রাগ করে কদিন ধরে সেখানে আছে বাচ্চাদের নিয়ে। একবারও ভাবছে না যে আমার একা একা বাসায় থাকতে ভালো লাগে না।

– তাই বুঝি, তা কি কারণ ঘটেছিল এত রাগ হওয়ার জানতে পারি কি?
– হ্যাঁ, অবশ্যই এখন আপনাদের পরামর্শ আমার খুব প্রয়োজন।
– এত অল্প সময়ে আপনাকে কিইবা পরামর্শ দিতে পারি; তবে কি জানো ভাই পৃথিবীতে জন্মেই যাকে মানুষ প্রথম চেনে এবং জানে, তিনি হলেন জন্ম দান কারী মা। এর পর মানব শিশু যতই একটু একটু করে বড় হয় এবং বড় হতে হতে চিনতে ও জানতে শেখে বাবাকে, ভাইবোনকে, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব, সমাজ, নিজের রাষ্ট্র এবং বিশ্বে বিরাজমান সকল কিছুকে। এইযে মানুষের জন্মের পর থেকে বড় হওয়া এবং বড় হওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন সম্পর্ক গড়ে ওঠা সে সম্পর্ক পরিবারের সাথে, সমাজের সাথে, রাষ্ট্রের সাথে এবং এভাবে পুরো বিশ্বের সব কিছুর সাথে। আমরা কিভাবে এই সম্পর্ক গুলোকে সুন্দরভাবে এবং ভালোভাবে বজায় রাখতে পারি এটা মানুষের জন্য এক বড় পরীক্ষা। যার সংগে যে সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত সেটা মেনে চলা অনেক কঠিন কিন্তু যিনি মেনে চলতে পারেন তিনিই সফল হতে পারেন এবং মনে অনেক শান্তি লাভ করতে পারেন। প্রতিটি সম্পর্কের সাথে দায়িত্ব ও কর্তব্য যেমন থাকে তেমনি অধিকার জড়িত থাকে। আমরা আমাদের দাম্পত্য ভালোবাসা রক্ষা করতে গিয়ে আমাদের বাবা-মা, ভাই-বোনের ভালোবাসা হারিয়েছি তোমার ভাইয়ের কাছে শুনেছ নিশ্চয়।
– জি, কিন্তু আপনাদের যতই দেখি ততই মনে হয় আপনাদের দুজনের মাঝে অনেক প্রেম ভালোবাসা-সব সময় এত সুন্দর সম্পর্ক রক্ষা করেন কিভাবে?

– স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক এরকমই হওয়া উচিত। মানুষ মাত্রই দোষ গুণ থাকবে। তা না হলে মানুষ তো ফেরেশতা হয়ে যেত। দুজনের দোষ গুণ যা আছে দুজনকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে হয় এবং ভালোবাসতে হয়। পরস্পর-এর প্রতি ভালোবাসাই পারে সকল সম্পর্ক-কে টিকিয়ে রাখতে। এমন সময় রমিজ মর্জিনার কথা থামিয়ে দিয়ে বলে,
– বুঝলে সুজাত, বিশ্ব প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে খানিকক্ষণ চিন্তা কর, দেখ কি অপূর্ব ভালোবাসা দিয়ে সৃষ্টিকর্তা আকাশ বাতাস ভূমন্ডল প্রকৃতি, জীবক‚ল, মানবক‚ল এবং বিশ্বব্রম্মান্ড পরিকল্পিত আর পরিমিত ভাবে সৃষ্টি করেছেন। চারদিকে শুধুই সৌন্দর্য আর ভালোবাসার ছোঁয়া। তিনি তার সৃষ্টিকে যে ভালোবাসা দিয়ে তৈরী করেছেন সে ভালোবাসা তিনি প্রকৃতি, জীবক‚ল এবং মানবক‚লের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাই জন্মেই মানুষ মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-প্রতিবেশী, এবং বয়োবৃদ্ধির সাথে সাথে সমাজ-রাষ্ট্র এবং বিশ্বের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। জীবনের প্রতিটি স্তরে ও পর্যায়ে মানুষ এক এক সম্পর্ক নিয়ে বেঁচে থাকে। জন্মকালে ও শিশুকালে যেমন মা-বাবা, ভাই-বোনের মমতা-ভালোবাসার নিবিড় সম্পর্ক মানুষের প্রয়োজন হয়। পরবর্তীতে মানুষের প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্কের পরিধি বিস্তৃতি লাভ করে। সকল পর্যায়েই মানুষ কোন না কোন সম্পর্কের মাঝে বেঁচে থাকে। সম্পর্ক ছাড়া কেউ একদম একা বাঁচতে পারে না। তাই সম্পর্ক বিষয়টা যদিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ভালো সম্পর্কই আমরা সবসময় আশা করি। খারাপ সম্পর্ক মানেই হিংসা-বিদ্বেষ, হানা-হানি, মারামারি, যুদ্ধ-বিগ্রহ সেটা আমরা কখনই আশা করি না। সম্পর্ক ভালো কি মন্দ প্রকাশ পায় ভালো ব্যবহার আচরণ আর ভালো কথা-বার্তার মাধ্যমে। কেউ যখন সততা ও আন্তরিকতা নিয়ে ভালো কথা বলে ভালো ব্যবহার করে আমরা মনে করি আমাদের সম্পর্ক ভালো সুতরাং সম্পর্ক ভালো রাখার মাধ্যম হলো ভালো কথাবার্তা, ভালো আচার ব্যবহার আর ভালোবাসা। মানুষ যখন কোন সমস্যা সংকট বা বিপদ-আপদে পড়ে তখন ভাবে নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার উপর রাগ করেছেন অথবা অসন্তুষ্ট হয়েছেন। যখন মানুষ সুখ স্বাচ্ছন্দে আনন্দ উল্লাসে থাকে তখন ভাবে আল্লাহ তার উপর অনেক তুষ্ট এবং আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন। সৎব্যবহার, ভালো আচরণ আর ভালোবাসা সবই ভালো সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ। এটা হতে পারে মানুষে মানুষে, পরিবারে পরিবারে, সমাজে সমাজে কিংবা রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে। যেখানে প্রেম ভালোবাসা, ভালো কথা ও ভালো ব্যবহার নেই সেখানে ভালো সম্পর্ক নেই। তাইতেই ভালোবাসার মানুষের সাথে আমরা সবসময় সুন্দর মিষ্টি করে কথা বলি আর ভালো ব্যবহার করি। সকল ধর্মে সবার সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা এবং ভালো ব্যবহার আচরণ করার জন্য উপদেশ দেওয়া আছে।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “আমি এ কোরআনে মানুষের জন্য উপমা দ্বারা বর্ণনা করেছি, কিন্তু মানুষ অধিকাংশ বিষয়ে ঝগড়াটে।” (সূরা কাহাফ : আয়াত ৫৪); “আমার বান্দাদেরকে বলুন, তারা যেন উত্তম কথা বলে। নিঃসন্দেহে শয়তান তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য উস্কানি দিয়ে থাকে। শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু “(সূরা বণী ইসরাইল : আয়াত ৫৩); “দয়াময়ের বান্দা তারাই যারা যমীনে নম্রভাবে চলাফেরা করে; যখন অজ্ঞরা তাদেরকে সম্বোধন করে তখন শান্তিসূচক কথা বলে” (সূরা ফুরকান; আয়াত ৬৩); “তুমি সংযত হয়ে চলবে, তোমার কন্ঠস্বর নীচু করবে , নিশ্চয়ই গর্দভের স্বরই স্বরসমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট” (সূরা লোকমান : আয়াত ১৯); “ক্ষমাপরায়নতা অবলম্বন করুন, সৎকাজের নির্দেশ দিন এবং অজ্ঞদের উপেক্ষা করুন” (সূরা আরাফ: আয়াত ১৯৯); “আর মন্দের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ, আর যে মাফ করে ও সংশোধন করে আল্লাহর কাছে তার পুরস্কার রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ জালিমদেরকে ভালোবাসেন না” (সূরা শূরা : আয়াত ৪০); “যারা ব্যয় করে সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় আর তারা ক্রোধ দমন করে আর ক্ষমা করে মানুষকে; আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন” (সূরা আল-ইমরান : আয়াত ১৩৪)

– আসলে রমিজ ভাই, এরকম গভীরভাবে কখনই আমরা চিন্তা করি না।
– ঠিকই বলেছ, এতসব চিন্তা করার আমাদের সময় নাই। জীবন জীবিকার সন্ধানে আমরা দিনরাত ছুটোছুটি করছি অথচ এ পৃথিবীতে আমাদের আগমনের উদ্দেশ্য কি এবং কেনই বা হঠাৎ এ দুনিয়া থেকে চির বিদায় নিতে হবে–এসব নিয়ে চিন্তা করার সময় আমরা পাই না। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে যথেষ্ট জ্ঞান বুদ্ধি এবং বিবেক দিয়ে সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। বিজ্ঞানময় পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করেছেন সত্যনির্দেশনা দিয়ে মানুষকে সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য। মানুষের জীবনযাপনের প্রতিটি পদক্ষেপ কীভাবে শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর উপায়ে নির্বাহ করা যায় তার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পবিত্র কোরআনে। এজন্যে কোরআন অর্থসহ বুঝে পড়ার নির্দেশনা রয়েছে যাতে আমরা উপলব্ধি করতে পারি, চিন্তা করতে শিখি। মহান আল্লাহ আরও বলেন, “তারা কি কোরআন সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করে না? আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো রচিত হলে এতে তাদের মতভেদ পাওয়া যেত” (সূরা নিসা আয়াত ৮২),” তবে কি তারা কোরআন সম্পর্কে গবেষণা করে দেখে না? নাকি অন্তরে তালা রয়েছে”? (সূরা মুহাম্মদ : আয়াত ২৪), “তোমাদের রবের পক্ষ হতে তোমাদের কাছে যা নাযিল হচ্ছে তার অনুসরণ কর। অনুসরণ করো না তাঁকে ছেড়ে অন্যদের, তোমরা তো উপদেশ কমই শুন” (সূরা আরাফঃ আয়াত ৩), “আপনাকে প্রদান করেছি কল্যাণময় গ্রন্থ যেন মানুষ বুঝে, আর যারা জ্ঞানী তারাই উপদেশ গ্রহণ করে” (সূরা সোয়াদ : আয়াত ২৯), “তা উপদেশ বিশ্ববাসীর জন্য, তার জন্য যে সরল পথে চলতে ইচ্ছা করে’ (সূরা তাকভীর : আয়াত ২৭-২৮), “ধীরে ধীরে স্পষ্টভাবে কোরআন পড়ুন । নিশ্চয়ই আমি আপনাকে (রাসুল (সাঃ)কে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রদান করবো” (সূরা মুযাম্মিল : আয়াত ৪-৫),” আর তা (কোরআন) সত্যসহ নাযিল করেছি, সত্য সহই নাযিল হয়েছে; আপনাকে সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে পাঠিয়েছি। কোরআনকে খন্ড খন্ড করে নাযিল করেছি, যেন মানুষকে থেমে থেমে পাঠ করান; আর আমি তা ক্রমশঃ নাযিল করেছি” (সূরা বণি ইসরাইল : আয়াত ১০৫-১০৬)

– ভাই সুজাত, আমার পরামর্শ যদি শোনো তাহলে বলবো, তুমি এবং তোমার স্ত্রী নিয়মিত কোরআন অর্থসহ বুঝে পড়বে নিশ্চয়ই এতে উপকার পাবে। একটা কাজ করতে পারো একদিন নাহয় ছেলেমেয়েসহ তোমরা দুজনে চলে আসো আমাদের বাসায়। তোমার ভাবী আর আমি তোমাদের আরও অনেক পরামর্শ দিতে পারবো ইনশাহআল্লাহ্?
– ঠিক আছে রমিজ ভাই, আমরা একদিন আপনার বাসায় আসবো । রমিজ ভাই ভাবী, আমার বাস এসে গেছে। আজ আসি, অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।