অনলাইন ডেস্ক : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, গত বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে এ বছরের শুরু থেকেই মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সিটি কর্পোরেশনকে সাথে নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এডিস মশা এবং মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ায় এখন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার ( ৩ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষ হতে অনলাইনে আয়োজিত ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে ৬ষ্ঠ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দুই থেকে তিনগুণ বেশি হবে বলে আইইডিসিআর পূর্বাভাস দিলেও তেমনটি হয়নি জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে মুক্ত রাখতে দুই সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং মানুষকে সচেতনতার লক্ষ্যে টেলিভিশন বিজ্ঞাপন-টিভিসি তৈরি করে প্রচার করায় ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর নেতৃত্বে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নির্মূলে মানসম্মত ঔষধ ও ফগিং মেশিন সরবরাহ করা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ এবং বিভিন্ন সংস্থার অধীনে থাকা খাল, জলাশয় ও নর্দমা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশনা, সঠিক পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়ে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করায় সভায় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
এসময় এডিস মশা নির্মূলে বিভিন্ন জলাশয়ে থাকা কচুরিপানা অপসারণ করার জন্য আধুনিক যন্ত্র-পাতি সরবরাহ করার আশ্বাস প্রদান করেন মন্ত্রী।
যত্রতত্র বাস থেমে প্যাসেঞ্জার উঠানামা করার কারণে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে এবং ট্রাফিক জ্যাম হয়। এই অবস্থা চলতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট দূরত্বে, নির্দিষ্ট স্থানে বাস বে তৈরি করতে হবে। এজন্য মন্ত্রী সিটি করপোরেশনকে নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরে জায়গার অভাব আছে, তারপর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময় প্রয়োজনে মাঠ পরিদর্শন করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন মোঃ তাজুল ইসলাম।
মন্ত্রী জানান, দেশের সকল হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর যে সকল মেডিকেল বর্জ্য তৈরি হয় সেগুলো যত্রতত্র না ফেলে ইনসিনারেশন প্লান্ট এর মাধ্যমে বার্ণ করতে হবে। যে সকল হাসপাতাল-ক্লিনিক এই পদক্ষেপ নেবে না তাদের তালিকা তৈরি করে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরকে অপরিচ্ছন্ন না রেখে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য সিটি কর্পোরেশনগুলোকে নিজেদের আয় বৃদ্ধি করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম রোধ, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ এবং করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের সফলতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যেকোন সমস্যা সমাধানে সম্মিলিতভাবে কাজ করলে সহজে সফলতা পাওয়া যায়।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়কসহ (এসডিজি বিষয়ক) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় অংশ নেন।