মণিজিঞ্জির সান্যাল : অবশেষে খুব সকাল সকাল আমরা বেরিয়ে পড়লাম ডুয়ার্সের গভীর জঙ্গলের উদ্দেশ্যে সবুজকে উপভোগ করব বলে। আসলে বারো ঘণ্টার মধ্যে যে পুরো পৃথিবীটাকে এভাবে উপভোগ করা যায় তা যে যায়নি সে বিশ্বাসই করবে না। আসলে কিছু দেখার জন্য চোখ চাই। আর কিছু পাওয়ার জন্য মন চাই। এই দুটো জিনিসকে রসদ করেই আমরা এবার বেরিয়ে পড়লাম নীল আর সবুজের মাঝে। শুধু একটা কথাই বলার আমার শহর এবং শহরের কাছাকাছি জায়গায় যে সৌন্দর্য আর শান্তির পরিবেশ আছে, তার সবটাই পুরো পৃথিবীতেই আছে। কিম্বা উল্টো করে বললে বলতে হয় সারা পৃথিবীতে যা আছে, আমার শহরেও তাই আছে। তবুও মানুষ কেন যে ছোটে নিজের জায়গাকে উপেক্ষা করে। দূরের প্রতি একটা আলাদা আকর্ষণ মানুষের বরাবরই। আমি আবার খুব ছোট ছোট মুহূর্তকে নিয়ে যেমন বাঁচতে ভালোবাসি, তেমনি আমি আমার কাছের সবকিছুকে হৃদয় দিয়ে উপভোগ করতে চাই। সেই অনুভূতি থেকেই মাঝে মাঝেই আমি বেরিয়ে পড়ি সবুজের উদ্দেশ্যে।

শিলিগুড়ি থেকে আমাদের গাড়ি রওনা দিল সকাল আটটায়। এন. জে. পি সাহুডাঙ্গি আশ্রমের পাশ দিয়ে সোজা গিয়ে ডানদিকে বেঁকে গেল। কাঁচা রাস্তা, গাড়ি টালমাটাল অবস্থায় এগিয়ে চলল। দুদিকে সবুজ, মাঝে মাঝে দু’চারটে বাড়িঘর, তারপর শুনশান চারদিক। এরপর আবার গাড়িটা বাঁ দিকে ঘুরে কিছুটা উঁচুতে উঠে একেবারে পাকা রাস্তায়। দুদিকে সবুজ ধানক্ষেত, একটু পরেই গাড়িটা ডানদিকে অতি সন্তর্পনে বাঁক নিল, গড়িয়ে গড়িয়ে চলল। আমরা গিয়ে পৌঁছলাম সাহুডাঙ্গি ফাপুড়ি পাড়া। একদম নিস্তব্ধ নির্জন চারপাশ। হঠাৎ নজরে এলো একটা ভাঙাচোরা দ্বিতল আশ্রম। একজন সন্ন্যাসী বসে আছেন গাছের তলায়। তাঁর গেরুয়া বসন, বড় দাড়ি, মাথায় চুল উঁচু করে বাঁধা যেন স্বয়ং বাল্মিকী মুনি। কয়েকটা সাদা কালো কুকুর নিস্তব্দ ঘুমোচ্ছে। গুটি গুটি পায়ে কিছুটা এগিয়ে যেতেই চমকে উঠলাম। কি সুন্দর পরপর সাজানো শুধু লেবু গাছ। জানতে পারলাম ১৫০টি লেবু গাছ রয়েছে সেখানে। আর আছে নাম না জানা সুন্দর সুন্দর ফুল।

ওখান থেকে বেরিয়ে আমরা পৌঁছলাম নিমবন ইকোপার্ক। ২০০৪ সালে এটি স্থাপিত হয়েছে। এই জায়গাটির নাম পারোমুন্ডা ললিতাবাড়ি, শিমুলবাড়ি। আমরা সবাই গোল হয়ে বসলাম। সামনে একটা ছোট্ট নদী, আর ভয়ংকর জলের আওয়াজ, আমি ছুটে গেলাম সেখানে, সেই আওয়াজ কতোটা ভয়ংকর না শুনলে বোঝানো সম্ভব নয়। সামনে গিয়ে দেখি জলপ্রপাতের মতো দেখতে কিন্তু জলপ্রপাত নয়। বাঁদিক থেকে ক্যানেলের জল ভীষণ আওয়াজ করে ঐ নদীটার উপর পড়ছে। ধাপে ধাপে সিঁড়ি নেমে গেছে। সিঁড়ি দিয়ে অনায়াসে জলের কাছে পৌঁছে যাওয়া যাবে। অসাধারণ একটা হাওয়া দিচ্ছিল সেই সময়।

আমি নিজের হাতে রান্না করেছিলাম সবার জন্যে। পরোটা, কষা মাংস, আর শশা, টমেটো, লেবু, পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, সঙ্গে আচার।
আমার হাতে তৈরি খাবার চেটেপুটে খেল সবাই। কিছু সময় পরে বুঝলাম এখানে শীতকালে চড়ুইভাতি করতে আসে অনেকেই। তার কিছু চিহ্ন পেলাম। এত সুন্দর শান্ত পরিবেশ। জনহীন নিস্তব্ধ নির্জন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কয়েকটা লাইন মনে মনে স্মরণ করলাম। উঠতে মন চাইছিল না। তবুও যেতে হলো কারণ যাত্রা সবে শুরু …
আমাদের গাড়িটি ছুটছে গাজোলডোবা ক্যানেল রোড ধরে দুরন্ত গতিতে। দুপাশে শুধু সবুজ আর সবুজ। এটি তিস্তা মহানন্দা মেইন ক্যানেল। অদ্ভুত একটা বনমুরগি উড়ে গেল আমাদের গাড়ির আওয়াজে। ডানদিকে দেখলাম প্রচুর পদ্মফুল। ওখানে পদ্মের চাষ হয়। এবারে আমরা এসে পৌঁছালাম তিস্তা নদীর কাছে। কি সুন্দর সেই নদী! জলের রংটা একদম ধূসর। কি স্রোত, আর ভয়ঙ্কর আওয়াজ। দূরে একটা নৌকা ভেসে যাচ্ছে। ওখান থেকে বেরিয়ে আমরা গাজলডোবা ব্রিজের উপর দিয়ে যাচ্ছি। এরপর আমরা গাজলডোবা বাজার দেখতে পেলাম। প্রাথমিক ও হাই স্কুল ছাড়িয়ে গাড়ি ঢুকল একদম শুনশান রাস্তায়। দু-একটা বাড়িঘর দেখতে পেলাম।

গ্রামের ভেতর দিয়ে আঁকাবাঁকা নদী। নদীটার নাম আন্দাঝোড়া। এখানে খুব হাতির উৎপাত। নদীটা দেখে আমার রবি ঠাকুরের ‘আমাদের ছোট নদী চলে আঁকে বাঁকে’ লাইনটা মনে পড়ছিল। গাড়িটা অনেকটা পথ দিয়ে বাঁদিকে বাঁক নিল। কয়েকটা পরপর মাটির ঘর। তাদের খেয়াল করলাম সেই নদীর ধারে কেউ কেউ কাপড় কাচছে। কেউ চুপচাপ বসে আছে। এই নদীর জলই এরা খায়। দৈনন্দিন সব কাজই করে এই নদীর জলে।

ওখান দিয়ে গাড়ি ছোটা শুরু করল খুব দ্রæত গতিতে। কিছুক্ষণের মধ্যে পৌঁছে গেলাম ওদলাবাড়ি বিট। ডানদিকে চা বাগান আর বা দিকে ফরেস্ট। এরপর দু’দিকেই চা বাগান। সবুজে সবুজ চোখ জুড়িয়ে গেল। ওদলাবাড়ি রাস্তা ছেড়ে আরো এগিয়ে ডানদিকে ঘুরলাম, তারপরে বাদিকে কাঠামবাড়ি রাস্তা ধরলাম। বা দিকে চা বাগান, একটু পরেই তারঘেরা ফরেস্ট ডিপে পেরিয়ে গেলাম, দুদিকে আবার জঙ্গল। আকাশছোঁয়া গাছগুলো যেন আমাদেরকে সুন্দরভাবে আহবান করছে ওদের রাজ্যে। সবুজের সাথে আমার কত কথা হলো ফিসফিস করে। কিছুক্ষণ পরে নজরে এলো একজন সাইকেল আরোহী, তার সাইকেলের পেছনে কাঠের গুড়ি। বাঁদিকে কৈলাসপুর টি এস্টেট।

কাঠামবাড়িকে কেন্দ্র করে আশেপাশে অনেক সুন্দর জায়গা আছে ঘোরার। ফরেস্টের বাংলোও আছে। এদিকে খুলনাই নদী। একটু পরে মালহারি মোড় তারপর আনন্দপুর টি এস্টেট পেরিয়ে এলাম। পেরিয়ে এলাম চাংরামেরি, কদমতলা। এখানে দেখলাম একটি স্কুল, নাম ‘রাজডাঙ্গা পেন্দা উচ্চবিদ্যালয়’। এখান থেকে লাটাগুড়ি নয় কিলোমিটার, দুদিকে সবুজ গাছপালা কোথাও শস্যক্ষেত, কোথাও লম্বা লম্বা গাছ। এক জায়গায় এসে দেখলাম হাট বসেছে। আবার কিছুটা এগিয়ে দেখা হলো ধরলা নদী। এই নদীর ব্রিজের উপর দিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সবুজ ধানক্ষেত নীল আকাশের সাথে মিশেছে। এখানে অনেক রিসোর্ট আছে। যেমন সোনার বাংলা, অরণ্য, রোজভ্যালি ময়ূর। লাটাগুড়ি থেকে বুকিং করলে বেশ কয়েকটা জায়গায় ঘোরা যায়। যেমন, গরুমারা, চকচকি, চাপড়ামারি। ওখান থেকে মারুতি জিপস নিতে হবে। সাথে একজন গাইড থাকে।

যাই হোক আমরা এবারে চললাম মূর্তির দিকে। পাশে দুদিকে জঙ্গল। বা দিক দিয়ে সরু রাস্তা নেমে গেছে। একটা বড় পাথর তার পাশে সারিবদ্ধভাবে আটটা পাথর, তাতে সিঁদুরের টিপ, ধূপকাঠি জ্বালিয়ে পুজো দিচ্ছে কিছু মানুষ। শুনলাম খুব জাগ্রত। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে এগিয়ে চললাম। একটু পরেই শুরু হলো ডিপ ফরেস্ট। এখানে রয়েছে হাতি, বাইসন, গন্ডার। যাত্রাপ্রসাদ নামে একটি হাতি ছিল। হাতিটি মারা যাওয়ার পর ওর নামে ওয়াচ টাওয়ার করা হয়েছে। এখান থেকে সমস্ত প্রাণীদের লক্ষ্য রাখা হয়। এই জঙ্গলে তারা নুন খেতে আসে দলবেঁধে, এই জায়গাটার নাম গরুমারা ন্যাশনাল পার্ক। এরপর এগিয়ে চললাম আমরা …
এরপর ওখান থেকে সোজা চলে গেলাম পূর্ব বাতাবাড়ি, টাটার চা বাগান। দুদিকে সুন্দর চা বাগান। হাতি, বাঘ, গন্ডারের এক বিশাল স্ট্যাচু একপাশে, কারণে এখানে এদের বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এরপর মূর্তি পর্যটন আবাস। আরো ছাড়িয়ে চললাম, দুদিকে মাঠ আর কলাগাছ। এরপর ধুপঝোরা ছাড়িয়ে আর একটু এগিয়ে মূর্তি নদী। জায়গাটার নামও মূর্তি। নদীর জলে তীব্র স্রোত। একটা গাছের তলায় চাদর বিছিয়ে বসলাম। আমরা আবার পরপর খাবারের পাত্র সাজিয়ে বসতে না বসতেই কতগুলো বাচ্চা ছেলে এসে বলল, ‘টাকা দেনা চানাচুর খাব।’ এটাই নাকি ওখানকার রেওয়াজ। অন্য খাবারের নাম এরা জানে না চানাচুর ছাড়া। ওদের চকলেট, সন্দেশ দিলাম। ওর আনন্দে লাফাতে লাফাতে মূর্তি সেতুর ওপর থেকে নদীর ওপর লাফ দিল পরম আনন্দে। অনেকক্ষণ বসার পর ঠিক দুপুর দুটোতে আবার আমরা রওনা দিলাম। দুদিকে জঙ্গল আর আকাশছোঁয়া গাছ। কিছুক্ষণ পর আমরা এসে ঘুনিয়া মোড়ে পৌঁছলাম।

ঘুনিয়া মোড়ের ডানদিকে একটা রাস্তা চলে গেছে। নাগরাকাটা, হ্যামিল্টনগঞ্জ, বিন্নাগুড়ি, কালচিনি। আমরা ঘুরলাম বাঁদিকে চালসার দিকে।
চালসার ডান দিকে উপরে চলে গেছে মেটেলি। তারপর আমরা সোজা চললাম। একটু পরেই পেয়ে গেলাম কুর্তি নদী। নদীটা পেরোতেই ডানদিকে চোখ পড়ল, দেখলাম একটা ট্রেন যাচ্ছে সবুজের ফাঁকে ফাঁকে। আমাদের সাথে যেন প্রতিযোগিতার খেলায় নেমেছে। ট্রেনের সাথে ছুটতে ছুটতে একটা নদী পেলাম। চালসা ও মালবাজারের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে ন্যাওড়া নদী, তার দুপাশে সবুজের সমারোহ …

এরপর আরো এগিয়ে সবুজ পাহাড় টিস্টেট, রানিচেরা টিস্টেট, তারপর চেল নদী। একটু এগিয়ে দেখলাম প্রচুর সুপুরি গাছ, বুঝলাম ওদলাবাড়িতে ঢুকেছি। ওদলাবাড়ি ক্রস করে এগোতেই যা দেখলাম সারাজীবন অর্থাৎ আমার জীবনে যদি আর কোথাও কখনো যাওয়া নাও হয়, তাও আমার কোন আক্ষেপ থাকবে না। সেটা হলো একটা নদী। নদীটার নাম শুনলে চমকে যেতেই হবে। ঘিস নদী। আমরা সবাই ধীরে ধীরে গাড়ি থেকে নামলাম। সেতুর উপর দাঁড়ালাম, দুদিকে ছোট বড় পাথর। একটা বসার চেয়ার, পাথরের চেয়ার।

নীল সাদা মেঘের সাথে সবুজ পাহাড় মিলেমিশে একাকার। সুন্দর বাতাস শরীর মন জুড়িয়ে যাচ্ছিল। দূরে রেললাইন, নিস্তব্ধ নির্জনে এত সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে দুচোখ বন্ধ করে, কখনো বা দুচোখ ভরে প্রকৃতির শোভা দর্শন করা ছাড়া আর কিছু মনে হচ্ছিল না। শুধু নিজের ভেতরটা কেন জানি খুব হালকা লাগছিল। নদীর জলটা পুরো সাদা। কুলুকুলু শব্দে বয়ে যাচ্ছে। চারদিকে জনমানবহীন। পাহাড়টা মনে হচ্ছিল খুব সামনে। আমাকে দু’হাত বাড়িয়ে ডাকছে। মাঝে মাঝে দুরন্ত গতিতে কয়েকটা গাড়ি চলে যাচ্ছে, আমরা যে কয়জন ছিলাম প্রত্যকেই সেই মুহূর্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। কেউ রেললাইনের দিকে ছুটে যাচ্ছে, কেউ বা পাহাড়কে দু’হাতে আঁকড়ে ধরবে বলে ছুটছে। একে অপরকে দূর থেকে ডাকছে। অসম্ভব একটা সুন্দর বাতাস শরীর ও মনকে কেমন যেন ঠাণ্ডা করে দিচ্ছে। আমি কারো কাছে ছুটে যাচ্ছি না।

একা …শুধু একা। নিস্তব্ধ নির্জনে ঝিরিঝিরি বর্ষণে কতো কথা হয়েছিল। কার সাথে? বাতাসের সাথে। একটা দুষ্টু বাতাস আমার শাড়ির আঁচলকে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, যাবে না কেন? আমার প্রেমিক যে আমার প্রকৃতি। ও আমাকে পেয়েছে নীরবে-নিভৃতে। চোখ দিয়ে জল পড়ছে আমার কেন আমি জানি না। আমি সত্যিই ঘিস নদীর প্রেমে পড়ে গেছি।
আবার গাড়ি ছাড়ল। সঙ্গীদের ডাকে সাড়া দিয়ে ঘিস নদীর দিকে আরো একবার তাকালাম। আমার সারা শরীরে লেপে আছে ঘিস নদীর স্পর্শ, এতো প্রেম, এতো ভালোবাসা, এতো আদর, এতো শান্তি জীবনে কোনদিন পাইনি। ঘিস নদীকে পেছনে ফেলে আমরা পৌঁছালাম নাগরাকাটা টি স্টেটে। দু’পাশে চা বাগান। এরপর পেলাম লিস রিভার গার্ডেন। লিস নদীকেও দেখলাম দুচোখ ভরে। ঘিস আর লিস নদী একসাথে মিশে পড়েছে তিস্তাতে। তারপর আবার দুদিকে জঙ্গল, চা বাগান ছাড়িয়ে শুধু পাহাড় আর পাহাড়। ওয়াশাবাড়ি, এলেনবাড়ি ছাড়িয়ে মংপং, তারপর সেবক। সেবকের বাঘপুলটার গা ঘেঁষে জঙ্গলের আঁকাবাঁকা পথে রাস্তাটা নেমে পুরো তিস্তা নদীটার কাছে গিয়ে মিশেছে। সাদা বালির চর চিকচিক করছে।
একটা চায়ের দোকানে বসে চা খেলাম। সঙ্গে মোমো।

ততোক্ষণে আকাশটা পুরো লাল হয়ে গেছে। সূর্যাস্ত দেখলাম দুচোখ ভরে। গাড়িটা এবার রওনা দিল আমাদের শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে। সারাদিনের এক ঝাঁক স্মৃতি যা সকাল থেকে রাত অবধি আমাদের সঙ্গী হয়ে ছিল। বারো ঘন্টায় আমি পৃথিবীর সব সৌন্দর্য প্রাণ ভরে উপভোগ করলাম। জীবনে আর কি চাই!!!
মণিজিঞ্জির সান্যাল : কথাসাহিত্যিক, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ