অনলাইন ডেস্ক : আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানাডা দখল নেয়ার হুমকি শুধু কথার কথা নয়। এটা ঘোর বাস্তব। কারণ, ট্রাম্পের লক্ষ্য তাদের দেশের সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সম্পদ। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি), এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কানাডার ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতাদের সতর্ক করেছেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার এক সরকারি সূত্র এমনটাই দাবি করেছে।
৪ ফেব্রুয়ারি মেক্সিকোর পাশাপাশি কানাডার পন্য আমেরিকায় আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সোমবার অবশ্য তিনি জানিয়েছেন, আন্তঃসীমান্ত অপরাধের মোকাবিলায়, বিশেষ করে ফেন্টানাইল চোরাচালানের বিরুদ্ধে কানাডা যদি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সেই ক্ষেত্রে কানাডা থেকে আমেরিকায় আসা পণ্যগুলোর উপর ওই চড়া শুল্ক আরোপ তিনি ৩০ দিন পিছিয়ে দেবেন। কী ভাবে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের জোরাল প্রতিক্রিয়া দেয়া যায়, সেই বিষয়েই এ দিন কানাডার ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতাদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন ট্রুডো। আলোচনায় কানাডাকে ৫১তম আমেরিকান রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করার ট্রাম্পীয় পরিকল্পনার প্রসঙ্গও ওঠে।
টরেন্টো স্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈঠকে ট্রুডো বলেন, ‘তারা (আমেরিকান প্রশাসন) আমাদের সম্পদ সম্পর্কে সচেতন। আমাদের কী কী আছে সে সম্পর্কে খুব সচেতন এবং তারা সেগুলির ফায়দা নিতে চায়। ট্রাম্প জানেন এটা করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো আমাদের দেশকে আত্মসাৎ করা। এটা কিন্তু ঘোর বাস্তব।’ এর আগে প্রকাশ্যেই ট্রুডো বলেছিলেন, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকি যদিও বা এড়াতে পারে কানাডা, তার পর আমেরিকার দীর্ঘ রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে তাদের। কী ভাবে তা এড়ানো যেতে পারে? ট্রুডো বলেছেন, কানাডা সরকার যে ফেন্টানাইলের ব্যবহার মোকাবিলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করছে, তা ওয়াশিংটনকে বোঝাতে হবে। একাধিক সূত্রের তথ্য অনুসারে, আমেরিকায় যত মাদক বাজেয়াপ্ত হয়, তার মাত্র ০.২ শতাংশ ঘটে কানাডার সীমান্ত থেকে আসে।
সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস।