সোনা কান্তি বড়ুয়া : জয় বাংলা বাংলার জয়! একুশ প্রত্যহ বাঙালির রক্তে রক্তে প্রবহমান। হৃদয়ে একুশ নিয়ে বাংলা রাষ্ট্রভাষায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্য উদ্ভাসিত এবং ১৯৫২ সালের ২১শে ফ্রেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি! বাঙালির অন্তর জগতে সালাম-জব্বার-রফিকের কবর, কল্পবৃক্ষের তলে! ৬৯টি বছর ভিজিয়ে রেখেছে কোটি নয়নের জলে। ১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারির পাকিস্তানের বীভৎস হত্যালীলার অন্তর্লোক এবং সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের ছাত্র আবদুল মতিন ও গাজীউল হক উভয়ই ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার প্রস্তাব করলে চতুর্দিকে গগণ বিদারী শ্লোগান ওঠে, ১৪৪ ধারা মানি না। ধর্মের নামে অবিচারকে বাদ দিয়ে বাঙালি জাতি একতাবদ্ধ হয়ে মায়ের ভাষা বাংলা ভাষার জন্যে প্রাণ দান সালাম বরকত রফিক জব্বারের ইহলোক কেড়ে নিল পাকিস্তানের রাক্ষুসী বুলেট রাত্রি অন্ধকার। জনঅরণ্যের নরদেহধারী পরাজিত পাকিস্তানের মানব সমাজে পশু মানুষের কি ভাই বোন নেই? বিশ্বশান্তি স্থাপন করতে পৃথিবীর সর্বপ্রথম বাংলা বইয়ের নাম “চর্যাপদ!”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন আমাদের বাঙালি অস্তিত্ত্বের সর্বকালের অভিব্যক্তি একমাত্র বাংলা ভাষা মাতৃকণ্ঠস্বর। ১৯৪৮ সালে (March 17) মুহম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় এসেছিলেন বাঙালি জাতির মুখের ভাষা কেড়ে কেড়ে নিয়ে ঊর্দূ ভাষা শেখাতে! বাংলা ভাষা আরবীয় এবং পাকিস্তানের মুসলমানদের ভাষা নয় বলে! জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামি জঙ্গীরা ভাষা আন্দোলন ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত হয়েছে। বাংলাদেশের জনতা পলিটিক্যাল ইসলামকে জয় করে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার ইতিহাস! পাকিস্তানের শাসকেরা বাংলাদেশের জনগণকে ভীত সন্ত্রস্ত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এই সন্ত্রাস ভাষা আন্দোলনে ও মুক্তিযুদ্ধে নামিয়ে আনেন।
উচ্চারণ করি আমার লেখা কবিতা:
হে মোর চিত্ত গণতীর্থে জাগোরে ধীরে
বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের শহীদ মিনারের স্মৃতির সাগর তীরে।
বাঙালির অন্তর জগতে সালাম-জব্বার-রফিকের কবর, কল্পবৃক্ষের তলে-
৬৯টি বছর ভিজিয়ে রেখেছে কোটি নয়নের জলে।
হেথায় দাঁড়িয়ে দু’বাহু বাড়ায়ে নমি ভাষা সৈনিকদের সুর্বণ জয়ন্তি।
বাংলা ভাষার অর্ঘ্যে পরমানন্দের বন্দন করি তাঁদের নীতি বিশ্বশান্তি।
ব্রহ্মপুত্র পদ্মা মেঘনা নদ-নদী ভরা বাংলাদেশ আমার,
সুরমা কর্ণফুলির বঙ্গোপসাগর
আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখের স্মৃতি ঘেরা এদেশ আমার।
সালাম বরকত রফিক জব্বারের ইহলোক কেড়ে নিল।
পাকিস্তানের রাক্ষুসী বুলেট রাত্রি অন্ধকার।
চলেছে শহীদদের জীবনদান যজ্ঞ, যুগ হতে যুগান্তর পানে-
শত্রুর সকল বন্ধন মাঝে ধরিয়া সাবধানে বাংলা ভাষার মশাল।
শুনিয়াছি মাতৃভাষার জন্য কত যে শহীদ অকাতরে দান করে গেল,
সাধ অহ্লাদ দুর্লভ মানব জীবন। শহীদ প্রাণ যুদ্ধক্ষেত্রে ও সহিয়াছে;
পলে পলে শক্রর আক্রমন বিষাদের জ্বালা-
নাম না জানা শহীদের অলিখিত স্মৃতিতে বিদ্যমান শহীদ মিনারে।
হে আমার বাঙালি ভাইবোন! / একুশের ডাকে আমি আত্মহারা-
আসলো নেমে দুঃখের ছায়া / বাঁচাতে বাংলা ভাষা ভাঙ্গলো শিখল-
যারা আসবে না কখনো ফিরে। / বাংলা বর্ণমালায় প্রাণ গাহে গান।
বাঙালির মনে ৮ই ফাল্গুন জ্বললো / ভাষার দেশ গড়তে আত্মবলিদান।
অমর একুশের রক্তাক্ত ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে পাকিস্তানকে পরাজিত করে প্রতিষ্ঠিত “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” আলোকিত বিশ্বের গৌরবোজ্জ্বল প্রতিশ্রুতি। রক্তাক্ত ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের ক্ষেত্রে বাঙালির অখন্ড সাধনা এবং এই অখন্ড সাধনার ফলেই সালাম বরকত রফিক জব্বারের স্মৃতি, এসো স্মরণ করি ভাইদের কুরবানি।
বাংলাদেশে বৌদ্ধ পালরাজাগণ চারশত বছর (720 A.D. – 1130 A.D) রাজত্ব করেছিলেন! বাংলা রাষ্ট্রভাষা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্য পরাজিত পাকিস্তান ও জামায়াতের মুসলিম রাজনীতির ভীতির কবলে কেন? ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর নতুন সরকার জামায়াতকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং দলের নেতারা পাকিস্তানে নির্বাসনে চলে যান। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব হত্যাকান্ডের পর এবং কয়েকটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর ১৯৭৭ সালে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলে জামায়াতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশী হত্যাযজ্ঞই কি পাকিস্তানী ইসলাম? মসজিদ মন্দিরে যাবার আগে, বাঙালি মন হঠাৎ করে চলে যায় শহীদ মিনারে। বাঙালি মুসলমান হত্যাযজ্ঞে পাকিস্তানের ধর্মান্ধ ইসলাম! বাংলাদেশে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ছিল ২৪ বছর এবং পাকিস্তানের শাসকেরা বাংলাদেশের জনগণকে ভীত সন্ত্রস্ত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এই সন্ত্রাস ভাষা আন্দোলনে নামিয়ে আনেন। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিলে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সালাম, রফিক, বরকত, শফিউরসহ নাম না জানা অনেকে। এরপর বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেয় তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায়ই ১৯৭১ সালে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ- বাঙালির সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাসের কথা অনুষ্ঠানে মনে করিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাতৃভাষার জন্য পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতির পিতা যে সংগ্রামের সূচনা করেছিলেন, তার মধ্য দিয়েই রচিত হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা!
“পাকিস্তানি শাসকরা যখন আমাদের উপর একটি বিজাতীয় ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল, তখন ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে করাচিতে একটি শিক্ষা সম্মেলন হয়। সেখানেই ঘোষণা হয়েছিল ঊর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। কিন্তু ঊর্দু কোনো মাতৃভাষা না, আর পাকিস্তান নামে যে দেশটি হয়েছিল, তার জনসংখ্যার ৫৬ ভাগের উপরেই আমরা বাঙালি। আমাদের ভাষা বাংলা ভাষা। কিন্তু সেই বাংলা ভাষা বাদ দিয়ে বিজাতীয় ভাষা আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
সেই ঘোষণাটা পূর্ববঙ্গে আসার সাথে সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তখন প্রতিবাদ জানায়। তখনকার যিনি মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীও বলা হত, তার বাড়ির সামনে গিয়েও তারা সেখানে প্রতিবাদ জানিয়ে আসে।
“এরপর ১৯৪৮ সালে চৌঠা জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগ নামের সংগঠন গড়ে তোলেন। এবং তারই প্রস্তাবে এই ভাষা আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয়।”
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের (General Yahya Khan, General Abdul Khan several officers and 92 thousand Soldiers) মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত হয়েছে!
২০০৯ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নের জন্য যেসব ভূমিকা নিয়েছেন, তারই ধারাবাহিকতায় সুশীল সমাজসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে জাগরণ তৈরি হওয়ার আগেই নারীর সুরক্ষা নিশ্চিতে এবারও ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নির্ধারণ করেছেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্ষণকে কেন্দ্র করে একটি সোরগোল করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সেটিকে ইস্যুকে বানিয়ে জনভিত্তিহীন কিছু রাজনৈতিক দল সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ প্রতিটি জায়গায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ধর্ষণের মতো একটি জঘন্য অপরাধকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করার অপপ্রয়াস সম্পর্কে এসব কথা বলেছেন – বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের (General Yahya Khan, General Abdul Khan several officers and 92 thousand Soldiers) মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত হয়েছে! ধর্ষণ বাংলাদেশে পাকিস্তানের এক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। পাকিস্তানের শাসকেরা বাংলাদেশের জনগণকে ভীত সন্ত্রস্ত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এই সন্ত্রাস মুক্তিযুদ্ধে নামিয়ে আনেন। ধর্ষকদের পুষে রাখে এবং সুযোগ বুঝে এই ধর্ষকদের দ্বারা প্রকাশ্যে ধর্ষণ করিয়ে বীভৎসতা এবং সন্ত্রাস নামিয়ে আনে।
২০০৯ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নের জন্য যেসব ভূমিকা নিয়েছেন, তারই ধারাবাহিকতায় সুশীল সমাজসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে জাগরণ তৈরি হওয়ার আগেই নারীর সুরক্ষা নিশ্চিতে এবারও ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নির্ধারণ করেছেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্ষণকে কেন্দ্র করে একটি সোরগোল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এবং সেটিকে ইস্যুকে বানিয়ে জনভিত্তিহীন কিছু রাজনৈতিক দল সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ প্রতিটি জায়গায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ধর্ষণের মতো একটি জঘন্য অপরাধকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করার অপপ্রয়াস সম্পর্কে এসব কথা বলেছেন – বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামি জঙ্গীরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত হয়েছে। বাংলাদেশের জনতা পলিটিক্যাল ইসলামকে জয় করে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার ইতিহাস!
বহু চড়াই উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে এবং নানা ষড়যন্ত্রের দুর্ভেদ্য প্রাচীর বিদীর্ণ করে প্রতিষ্ঠিত হলো বাংলা ভাষার সর্বপ্রথম বই “চর্যাপদ! বাংলাভাষা পালিভাষার বিবর্তিত রূপ! গৌতমবুদ্ধের সময়ের বাংলা লিপি (বিশ্বকোষ ১৩শ ভাগ, পৃষ্ঠা ৬৫) এবং গৌতমবুদ্ধ বাংলাভাষাসহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষা ব্রাহ্মণদের হাত থেকে রক্ষা করেন (দেশ, কোলকাতা ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ এবং নয়া দিগন্ত, এস. কে. বড়ুয়া, ২৫ আগষ্ট ২০১০)। ধর্মের নামে পাকিস্তানী ইসলামপন্থী দলের বিধি-নিষেধের কবলে পড়ে সেখানে ভাস্কর্য শিল্পকলার তেমন উন্মেষ ঘটেনি। ভাষার প্রশ্নে বলতে হয় -আমাদের জীবন চলবে মাতৃভাষার মাধ্যমে। তবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য সাধ্যমতো অন্য ভাষাও শিখতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক, সর্বস্তরে আজও বাংলা ভাষার প্রচলন সম্ভব হয়নি।
কাবা ঘর (Mecca) ও একটা ভাস্কর্য! মাটি, কাঠ, পাথর ইত্যাদি দ্বারা তৈরি বস্তুকে ইতিহাস বা শ্রদ্ধা বা প্রার্থনার বিশিষ্ট করা হলেই তাহা ভাস্কর্য। ১৭৮৭ সালে এন্টনিও ক্যানোভা কর্তৃক খোদাইকৃত ভাস্কর্য সাইকি রিভাইভড বাই লাভ’স কিস! যিনি প্রস্তরাদি, কাঠ ইত্যাদি দিয়ে মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ করেন, তিনি ভাস্কররূপে জনসমক্ষে পরিচিতি লাভ করেন। ভাস্কর্য (ইংরেজি: Sculpture) ত্রি-মাত্রিক শিল্পকর্মকে ভাস্কর্য বলে। অর্থাৎ, জ্যামিতিশাস্ত্রের ঘণকের ন্যায় ভাস্কর্যকে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং গভীরতাসহ ত্রি-মাত্রিক হতে হবে। বাংলাদেশ এবং চীনের ন্যায় বিশ্বের সর্বত্র বিভিন্ন ধরনের, বহুমূখী আকৃতির ভাস্কর্য দেখতে পাওয়া যায়। রেনেসাঁ এবং আধুনিককালে এটি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। পুতুল, মুখোশ, মাটির জিনিসপত্র ভাস্কর্যের উদাহরণ। কিন্তু প্রায় চারশত বছর পূর্বে তুরস্কে ইসলামপন্থী দলের বিধি-নিষেধের কবলে পড়ে সেখানে ভাস্কর্য শিল্পকলার তেমন উন্মেষ ঘটেনি।
“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে আর কোন প্রকার ধৃষ্টতা দেখালে দাঁতভাঙা জবাব দেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়াছ খান জয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ হুশিয়ারি দেন তিনি।” আজ বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ হুশিয়ারি দেন তিনি। ‘উগ্র সা¤প্রদায়িকতা এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বিএনপি জামাতের নাশকতা, জ্বালাও পোড়াও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা যদি মাঠে নামি তাহলে আপনারা কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার সুযোগও পাবেন না।
পাকিস্তান ইসলাম ধর্মকে তলোয়ার বানিয়ে অপব্যবহার করে ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা, ২ লক্ষ মা-বোনকে ধর্ষণ এবং বুদ্বিজীবি হত্যা করেছিল। ভাষা আন্দোলনে (21, Feb.1952) বাংলাদেশী হত্যাযজ্ঞে পাকিস্তানী রাষ্ট্রধর্ম! ইসলাম রক্ষার নামে রক্তাক্ত ইতিহাস! পবিত্র কুরআন শরীফের বিভিন্ন আয়াত (৬ : ১০৯ এবং ২২ : ৩৮) লঙ্ঘন করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আলবদর চক্র যেখানে সেখানে পুরুষদের বস্ত্র উন্মোচন করে মুসলমানিত্ব পরীক্ষা করা হতো, মুসলমান না হওয়ার একমাত্র শাস্তি ছিল তাৎক্ষণিক মৃত্যু।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য, প্রতিকৃতি ও Mural (মুরাল) বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গৌরবের প্রতীক এবং এর সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই, জনগণের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিবকে গণমাধ্যম ও অন্যান্য উপায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত!
জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে শহীদ মিনারের স্মৃতির সাগর তীরে দাঁড়িয়ে আজ আমরা সগৌরবে উচ্চারণ করি আমার লেখা কবিতা:
মসজিদ মন্দিরে যাবার আগে
বাঙালী মন হঠাৎ করে চলে যায় শহীদ মিনারে।
শহীদের আত্মদান দেখিয়াছি আমি, তাই কোরবানির মর্মার্থ
বিশ্লেষণ করতে চাই না আর। অগ্নিগিরি জেগে ওঠে শহীদ মিনারের পাশে।
আটই ফাল্গুনে দেখি কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে আগুন, যেন বাঙালী মনের অগ্নিগর্ভ।
কবি সরহপাদ বাংলাভাষা ও সাহিত্যের আদি পুরুষ চর্যাপদ যুগের
অশোকের শিলালিপির মত ইতিহাস বিজয়ী আমাদের শহীদ মিনার।
শহীদের কাফনের মত পবিত্র জাতীয় পতাকা ও সঙ্গীত আমাদের
বাঙালী অস্তিত্বের সর্বকালের অভিব্যক্তি একমাত্র মাতৃকণ্ঠস্বর।
মৃত্যুর পর মৃত্যু পেরিয়ে বাঙালির ৮ই ফাল্গুন বা
একুশ প্রত্যহ বাঙালির রক্তে রক্তে প্রবহমান।
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রণেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!