অনলাইন ডেস্ক : শ্রীলঙ্কায় শনিবার দিবাগত রাতে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। দেশটিতে শনিবার দিনে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনার মধ্যে এ কারফিউ জারি করা হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় শ্রীলঙ্কার পুলিশ আট ঘণ্টার জন্য কারফিউ ঘোষণা করে। ‘জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা’ করে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে দেশটির নির্বাচন কমিশন এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে দেশটির ইতিহাসে ‘সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করে। নির্বাচন কমিশনের এ ঘোষণার অল্প সময় পরে পুলিশ কারফিউ ঘোষণা করে।
শনিবার সকাল ৭টা ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। আজ রোববার ফল ঘোষণার কথা রয়েছে।
এবার ভোট পড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। কিন্তু নির্বাচনের মহাপরিচালক সামান শ্রী রত্নায়কের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এবার ভোট গ্রহণের পরিমাণ শেষ পর্যন্ত ৭৫ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। ২০১৯ সালে দেশটির সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৮৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।
শ্রীলঙ্কার এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ৩৯ জন। তবে ভোট গ্রহণ শেষে এখন আলোচনায় তিনজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে একজন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। দ্বিতীয়জন বিরোধী দল সঙ্গী জন বালাওয়াগার (এসজেবি) নেতা ও গুপ্তহত্যার শিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট রানাসিংহে প্রেমাদাসার ছেলে সাজিথ প্রেমাদাসা। তৃতীয়জন একসময় মার্ক্সবাদী হিসেবে পরিচিত ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার পার্টির নেতা অনুড়া কুমারা দিশানায়েকে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, শেষের দুজনই বিক্রমাসিংহের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তাঁদের যেকোনো একজনের কাছে বিক্রমাসিংহের পরাজয় হতে পারে। তবে কোনো প্রার্থীর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।