অনলাইন ডেস্ক : চলতি বছরের শস্য উৎপাদন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা। চাষের জমি বাড়ায় ভুট্টা ও সয়াবিনের উৎপাদন বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। কিন্তু শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে গম, ক্যানোলা, বার্লি, ওটসসহ অন্যান্য শস্যের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও জানানো হয়েছে। খবর ওয়ার্ল্ডগ্রেইন।
পশ্চিম কানাডায় শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে অধিকাংশ শস্য উৎপাদন কমার কথা জানানো হয়েছে। বেশির ভাগ অঞ্চলজুড়ে কম বৃষ্টিপাত ও অত্যধিক তাপমাত্রা শস্য উৎপাদনকে বাধাগ্রস্ত করেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে মৌসুমের শুরু থেকে পূর্ব কানাডায় গড়ের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর ভুট্টার উৎপাদন ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ১ কোটি ৪৭ লাখ টনে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভুট্টার ফলন হার প্রতি একর জমিতে ২ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ১৫৬ দশমিক ১ বুশেলে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে চাষের জমির পরিমাণ ৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৩৭ লাখ একরে উন্নীত হবে বলেও প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে।
সয়াবিন উৎপাদন বছরওয়ারি ২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ৬৭ লাখ টন ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। শস্যটির ফলন হার ৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমে একরপ্রতি ৪৪.৩ বুশেলে নেমে আসবে বলেও জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে চাষের জমির পরিমাণ ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৫৬ লাখ একর হবে।
গম উৎপাদনে শীর্ষ দেশ কানাডা। বছরওয়ারি শস্যটির উৎপাদন চলতি বছর ১৪ দশমিক ২ শতাংশ কমে ২ কোটি ৯৫ লাখ টনে নেমে আসবে। চাষের অঞ্চলগুলোয় শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে প্রতি একর জমিতে ফলনের হার ১৯ শতাংশ কমে ৪১ দশমিক ২ বুশেল হবে বলে জানা গেছে। যদিও শস্যটি উৎপাদনে ব্যবহৃত জমির পরিমাণ ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ২ কোটি ৬৩ লাখ একরে পরিণত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ক্যানোলার উৎপাদন ৬ দশমিক ১ শতাংশ কমে ২০২৩ সালে ১ কোটি ৭৬ লাখ টনে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। ফলন হার কমার কারণে এর উৎপাদন কমেছে। প্রতি একরে ফলনের হার ৮ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ৩৫ দশমিক ৪ বুশেল হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ শস্য উৎপাদনে ব্যবহৃত জমির পরিমাণও ৩ শতাংশ বেড়ে ২ কোটি ১৯ লাখ একর হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।