অনলাইন ডেস্ক : মৌসুম অনুযায়ী খাদ্যতালিকায় সেসব মৌসুমি ফল থাকা অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে শীতকালে। মৌসুমি ফল যেমন সুস্বাদু, তেমনই প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর। শীতের সময় শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ মৌসুমি ফল দারুণ উপকারী। তাই সুস্থ থাকতে এই শীতে এই ৬ ফল খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।
আপেল
শীতকালে প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এই ফলে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এ ছাড়া আপেল হৃদরোগ, হজমে সহায়তা করে। সকালের নাস্তায় বা যেকোনো ডেজার্টে আপেলের টুকরো মিশিয়ে খেলে শরীর পুষ্টি পাবে।
বেদানা
টুকটুকে লাল বেদানা শুধু স্বাদেই নয়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং প্রয়োজনীয় খনিজের উৎস। নিয়মিত এই ফল খেলে হার্ট ভালো ও সুরক্ষিত থাকে। এই ফল শরীরের প্রদাহ হ্রাস করে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে দারুণ কাজ দেয়। কোনো খাবারে বেদানার লাল দানা মিশিয়ে দিলে খাবারে স্বাদ যেমন বাড়ে, তেমনই তা পুষ্টিকর হয়ে ওঠে।
পেয়ারা
পেয়ারা হলো ভিটামিন সি, ডায়েটারি ফাইবার ও পটাশিয়ামের ভাণ্ডার। এই ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজম ক্ষমতা উন্নত করে এবং কার্ডিওভাসকুলার ফাংশনকে সহায়তা করে। শুধু টাটকা ফল হিসেবেই নয়, পেয়ারার রস এবং স্যালাদও খুব সুস্বাদু।
আঙুর
সবুজ হোক বা কালো কিংবা লাল, সব ধরনের আঙুরই শীতকালীন খাবার হিসেবে আদর্শ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আঙুর কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
যেকোনো অবস্থাতেই আঙুর খাওয়া যায়।
কমলালেবু
শীতকাল আর কমলালেবু যেন একে অপরের পরিপূরক। শীত পড়লে বাঙালির খাদ্যতালিকায় কমলালেবু থাকবেই। ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফাইবারে ভরপুর কমলালেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আনারস
আনারসকে যদিও একচেটিয়াভাবে শীতকালীন ফল বলা যায় না, তবুও এই ঠাণ্ডায় আনারস খাওয়া অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ আনারস রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে এবং হজম উন্নত করতে দারুণ কাজ দেয়। আনারসের টক-মিষ্টি স্বাদ প্রায় সকলেরই ভালো লাগে।