সোনা কান্তি বড়ুয়া : অহিংসা পরম ধর্মে সম্রাট অশোকের বিজয়া দশমীতে আজও কলমওয়ালারা কলম হাতে লিখেন, সকল মানুষের অন্তর্জগত হিংসামুক্ত হোক, শান্তি, স্নিগ্ধতায় ভরে উঠুক, সকল মানুষ জ্ঞানালোকে উদ্ভাসিত হোক! সকলে মঙ্গল লাভ করুক, সকল মানুষের জীবন থেকে সমস্ত দুঃখ দূরিভ‚ত হোক, পৃথিবীতে শান্তি স্থাপিত হোক, জগতের সকল জীব সুখী হোক। যেখানে অহিংসার কদর নাই, যেখানে সংস্কৃতি মূল্যহীন, যেখানে মনকে শান্ত-সমাহিত করার কোন বিষয় নাই, যেখানে জ্ঞান সাধনা নাই, যেখানে মানবতাবাদ অর্থহীন, যেখানে পরমত সহিষ্ণুতার বিন্দুমাত্র ও গুরুত্ব নাই, যেখানে অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী, করুণা চর্চা হয়না, যেখানে বাস্তবতা বিবর্জিত, যেখানে ধর্মান্ধ অধর্মের মূল অন্ধবিশ্বাস, যেখানে ক‚পমণ্ডুকতা কাজ করে সেখানে কখনো শান্তি স্থাপিত হতে পারেনা। মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটার নাম ধর্মান্ধ ধর্মের হিংসা রাজনীতি! জগতের সকল জীব সুখী হোক।
সম্রাট অশোকের বিজয়া দশমী ছিল শারদীয় বুদ্ধ পূজার ঐতিহ্যে বিশ্বমানবতার অনিবার্য অভ্যুত্থানে অহিংসা পরম ধর্ম! আজও কলমওয়ালারা কলম হাতে লিখেন, শারদোৎসব হিংসার ধর্মান্ধ ধর্ম বিশ্বাস ই অধর্মের মূল! অহিংসা মনুষ্যত্বের ধর্ম এবং মানবতার অনিবার্য অভ্যুত্থানে সম্রাট অশোকের বিজয়া দশমী! সম্রাট অশোকের বিজয়া দশমী বুদ্ধ পূজার উৎসব বা ধম্মবিজয় উৎসব! বেদাতীত কাল থেকেই চলে আসছে এই শারদ উৎসব। আশ্বিন শুক্লা দশমী তিথিতে প্রিয়দর্শী সম্রাট অশোক ধর্মবিজয়ের উদ্দেশ্যে শারদীয় বুদ্ধ পূজার উৎসব। সম্রাট অশোক অধুনা তমলুক থেকে প্রিয় পুত্র মহেন্দ্র ও কন্যা সঙ্ঘমিত্রাকে সিংহল (বিজয়সিংহের) দ্বীপরাষ্ট্রে প্রেরণ করেছিলেন। তাই দিনটি অশোক বিজয়া দশমী বলে খ্যাত।
“অভিশপ্ত” বৌদ্ধ জাতিকে হিন্দু এবং মুসলমান রাজনীতি গ্রাস করে ফেলেছে। সম্রাট অশোকের বৌদ্ধ ভারত গোলেমালে হিন্দু ইন্ডিয়া এবং মুসলমান পাকিস্তান হল! মুসলমান রাজনীতি আফগানিস্তানের বামিয়ান বুদ্ধ মূর্তি এবং বৌদ্ধদেশেকে গ্রাস করে বৌদ্ধ জাতিকে মুসলমান করেছে। বাংলাদেশে রাজনীতির ইসলামীকরণ পার্বত্য চট্টগ্রামেকে গ্রাস করে ফেলেছে। নিজ বাসভ‚মেই পরবাসী করে দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামেকে। হিন্দু মুসলমান রাজনীতির ইতিহাস বলছে, সাতচল্লিশের ধর্মান্ধ ধর্মের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে স্বাধীনতার অভ্যুত্থান! বৌদ্ধ বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে ইসলামীকরণ কেন?
মুসলিম রাজনীতি আরব বিশ্বে আরব বিশ্বের প্রাচীন ইহুদিদের দেশ, প্রাচীন বৌদ্ধদের দেশ, প্রাচীন খৃস্টানদের দেশকে ধ্বংস করে কি ভাবে আরব বিশ্বে ইসলামীকরণ করল? বাংলাদেশের স্বাধীনতায় হিন্দু বৌদ্ধ পাহাড়ীসহ খৃস্টানদের ধর্মীয় নিপীড়ন কেন? মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটার নাম ধর্মান্ধ ধর্মেরমুসলিম রাজনীতি! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হলোকাস্টে প্রায় ৬০ লাখ ইহুদিকে নিধন করা হয় মূলত হিটলারের পরিকল্পনায়। এই হলোকাস্ট ফিলিস্তিনের মাটিতে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিকে জোরদার করে তোলে। মুসলিম রাজনীতি আরব বিশ্বে ইসলামীকরণ করল কেন?
গত ৭ অক্টোবর (২০২৩) ইসরায়েলে আকাশ, স্থল ও নৌপথে হামাসের চালানো সমন্বিত হামলায় নিহত হন ১ হাজার ৩০০ জন। এটা গত ৭৫ বছরের মধ্যে ইসরায়েলে সবচেয়ে বড় হামলা! ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটার সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীন ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষিত হয়। সীমানা নির্ধারিত হয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবানুসারে। লাখ লাখ ফিলিস্তিনির ওপর নেমে আসে নাকবা বা বিপর্যয়। এরপর ৭০ বছর ধরে চলছে সেই বিপর্যয়।
বাংলাদেশের কাছে ইসরায়েল এর স্বীকৃতি তো দূরের কথা, একজন বাংলাদেশী ইসরায়েল ভ্রমণ করতেও পারে না। ২০০৩ সালে বাংলাদেশী সাংবাদিক সালাহ চৌধুরীকে ইসরায়েল ভ্রমণের অপরাধে সাত বছরের জন্য জেলে পাঠানো হয়। যে পাকিস্তান ১৯৭১ এ ৩০ লক্ষ জেনোসাইড করেছিল তার সাথে বাংলাদেশ ক‚টনৈতিক সম্পর্ক রাখে কিন্তু ইসরায়েলের সাথে নয়, যারা মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছিল এবং স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে একদম প্রথম দিকে ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়া ছাড়া আর যে দেশটি ভারত কে সাহায্য করেছিল সেটি ছিল ইসরায়েল এবং অনেক মুসলিম দেশের আগে ৪ঠা ফেব্রæয়ারী ১৯৭২ সালে ইসরায়েল বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেয় এবং ক‚টনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী খোন্দকার মোশতাক আহমেদ চিঠি দিয়ে ইসরায়েল এর স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করেন।
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) তখন মদীনায় যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন তা ইসলামী রাষ্ট্র নয়, ইতিহাসের মতে তা ছিল ধর্মনিরপেক্ষ বা সেকুলার! মদিনা সনদের ২৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে “ইহুদিগণ ও মুসলমানগণ এক উম্মাহ (জাতি), ইহুদিদের জন্য তাদের ধর্ম, এবং মুসলমানদের জন্য তাদের ধর্ম (জনকণ্ঠ, ৫ নভেম্বর, ২০০৯)।” বাংলাদেশে ২০১২ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর রামুর বৌদ্ধ পল্লীতে নেমে আসে ধর্মান্ধ মুসলিম হায়েনার তান্ডব। সে দিন ভুলে যাওয়ার নয়। আজো চোখে ভাসে সে অসহায়ত্বের ছবি। এখনো কেঁদে উঠে মনপ্রাণ। এখনো চোখে ভেসে উঠে রামুর সেই বৌদ্ধদের আর্তনাদ রাতটি ছিল বৌদ্ধদের অনেক প্রত্যাশিত বুদ্ধকে মধুদান করার আগের রাত। জ্যোৎস্নার আলোও ছিল এলাকাময়। আর নিমিষেই সেটি হয়ে গেল বাংলাদেশের ইতিহাসে জঘন্যতম এক কালরাত। আজ সেই ভয়াল ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। বৌদ্ধদের কালো দিন আজ ২৯ সেপ্টেম্বর…!
আফগানিস্তান কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার শহরে -গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্র অসংখ্য বৌদ্ধ বিহার রয়েছে। এই প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারগুলি, যা হাজারো বছরেরও বেশি সময় ধরে বৌদ্ধদর্শন, মত ও বিশ্বাসকে, কীভাবে পুরোবিশ্বে বিস্তৃত করছে, যতবার পরিদর্শন করার সুযোগ হয়, তা গভীরভাবে অনুভব করি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় হতে এক আনন্দময় ভ্রমণে বহু পুরাতন কিছু বৌদ্ধ বিহারের ধারণকৃত কিছু মুহুর্ত। পাকিস্তান বৌদ্ধ দেশ ছিল এখন মুসলিম দেশ, আফগানিস্তান ছিল বৌদ্ধ দেশ এখন মুসলিম দেশ, কাজাখস্তান ছিল বৌদ্ধ দেশ – উজবেকিস্তান ছিল বৌদ্ধ দেশ এখন মুসলিম দেশ!
১৪ই অক্টোবর, ১৯৫৬ সাল বাসাহেব ডঃ ভীমরাও রামজী আম্বেদকর দীক্ষাদিবস, বৌদ্ধ ধম্মে প্রত্যাবর্তন করেন এবং সেদিন থেকে মূল ভারতীয়গণ প্রতি বছর দলে দলে সদ্ধর্মে প্রত্যাবর্তন করেন এই তিথিতে অথবা বিশেষ দিনটিতে। ভারতীয় বৌদ্ধ জন সমিতি, নাগপুর দ্বারা আয়োজিত কার্যক্রমের জন্য বাবা সাহেব ড. ভীমরাও আম্বেদকর ১৯৫৬ সালের ১৪ই অক্টোবর সকালেই শীঘ্র শয্যা ত্যাগ করে স্নানাদি প্রাতঃকৃত্য সমাপন করে দীক্ষা ভ‚মির দিকে যাত্রা করেছিলেন। রাস্তার উভয় পাশে কাতারে কাতারে লোকে লোকারণ্য ছিল। লোকদের মধ্যে ছিল সীমাহীন উৎসাহ। আকাশে- বাতাসে বুদ্ধ ও বাবা সাহেবের জয়ধ্বনিতে লোক মুখর হয়েছিলেন। সকলের ছিল প্রসন্ন বদন। বাবা সাহেব যখনই মঞ্চে পৌঁছলেন, তখন লোকেরা তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। মঞ্চে বিরাজমান ছিলেন ৮৩ বর্ষীয় চন্দ্রমণি মহাস্থবির, কুশীনগরের বার্মা বিহারের অধ্যক্ষ। তিনিই বাবা সাহেব ও তাঁর অনুসারীদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধম্ম দীক্ষা প্রদান করেছিলেন। আকাশে-বাতাস মুখরিত করে বাবা সাহেব ঘোষণা করেছিলেন- নিজেদের পুরাতন ধর্ম যা ছিল অসমানতা এবং অত্যাচার আধারিত তা ত্যাগ করে আজ আমি পুনর্জন্ম গ্রহণ করছি।
বাংলাদেশ ও যে একসময় বৌদ্ধপ্রধান দেশ ছিল তার প্রমাণ প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিক একটি হল হাজার হাজার পুরনো বৌদ্ধ বিহার সন্ধান পাওয়া। ৮শ থেকে ১২শ বছরে ধর্মচক্রসহ ১৬ বৌদ্ধ স্তুপ আবিষ্কার! পৃথিবীতে যতগুলি ধর্ম আছে তা’র প্রত্যেকটিতেই দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়া’বার কথা জোর দিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সদিচ্ছার উপর পার্বত্যচট্টগ্রাম চুক্তি নির্ভর করে! সত্য কখনো চাপা থাকে না!
কোথায় ইসরায়েলের গোয়েন্দারা অবস্থান করছেন এবং কীভাবে ইসরায়েলের দেওয়া বেড়ার ভেতরে প্রবেশ করবে, তা জানত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের ১০ জনের একটি দল (নিউইয়র্ক টাইমস)। ইসরায়েলে প্রবেশের পর তারা মোটরসাইকেল নিয়ে পূর্ব দিকে অগ্রসর হন। প্রতিটি মোটরসাইকেলের আরোহী দু’জন করে বন্দুকধারী। যেতে যেতে পথচারী ও গাড়ির ওপর গুলি চালাতে থাকেন তারা। ১০ মাইল অতিক্রমের পর একটি বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাওয়া সড়কের দিকে তারা গতি পরিবর্তন করেন এবং সেনাঘাঁটির বেনামি ফটকের সামনে থামেন। ছোট বিস্ফোরণের মাধ্যমে তারা ফটকটি ভেঙে দেন এবং ঘাঁটির ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা কয়েকজন মিলে গ্রæপ সেলফি তোলেন। তারপর টি-শার্ট পরা ইসরায়েলের এক নিরস্ত্র সেনাকে গুলি করে হত্যা করেন।
সাময়িক সময়ের জন্য হামলাকারীদের দেখে মনে হয়েছে, তাদের গন্তব্য অনিশ্চিত; তারা জানেন না কোথায় যাবেন। পরে তাদের একজন পকেট থেকে কিছু একটা বের করেন– ভবনের একটি রঙিন মানচিত্র। তারা একত্রিত হয়ে সুরক্ষিত ভবনে একটি খোলা দরজা আবিষ্কার করেন। এক পর্যায়ে একটি কক্ষে প্রবেশ করেন, যেখানে অনেকগুলো কম্পিউটার রাখা আছে। এটা সামরিক গোয়েন্দাদের আস্তানা। এখানে একটি কক্ষে তারা দুই সেনাসদস্যকে বিশ্রাম নিতে দেখেন। বন্দুকধারীরা তাদের দু’জনকে গুলি করে হত্যা করেন।
বন্দুকধারীদের প্রধান নিজেই এসব দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করেছেন। পরে ওই হামাস কমান্ডার গুলিতে নিহত হন। ভিডিও ফুটেজটি যাচাই করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। পরে এ নিয়ে ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছে গণমাধ্যমটি। এতে হামাস কীভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে প্রবেশ করল, সীমান্ত অতিক্রম করল, ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিল এবং দেড়শ মানুষকে জিম্মি করলÑ তার বিস্তারিত ও বিস্ময়কর তথ্য জানা গেছে।
ধর্মান্ধ ইজরাইল – ফিলিস্তিন যুদ্ধ ধর্ম বিশ্বাসই অধর্মের মূল! ফলে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ তো কেবল পত্রিকার শিরোনামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এর পেছনে আছে লাখ লাখ পরিবারের ত্যাগের গল্প। পরাশক্তির ক‚টচালের শিকার নিজ ভ‚মে পরবাসী এই ফিলিস্তিনিরা। “অভিশপ্ত” ইহুদী জাতি! এবারে দেখে নিন বিজ্ঞান সাহিত্য ও মানব সভ্যতার উৎকর্ষ সাধনে “অভিশপ্ত” ইহুদী জাতির অবদান । এঁদের এই অবদান ছাড়া মানুষ পড়ে থাকতো কয়েক শতাব্দী পিছনে।
১) ফিজিক্সএ ৫১টি নোবেল পুরস্কার (ফিজিক্স নোবেলের ২৬%)
২) কেমিস্ট্রি তে ৩৬টি নোবেল পুরস্কার (কেমিস্ট্রি নোবেলের ২০%)
৩) মেডিসিন বা ফিজিওলজিতে ৫৫টি নোবেল পুরস্কার (মেডিসিন নোবেলের ২৬%)
৪) অর্থনীতিতে ২৯টি নোবেল পুরস্কার (অর্থনীতি নোবেলের ৩৮%)
৫) শান্তিতে (পিস) ৯টি নোবেল পুরস্কার (পিস্ নোবেলের ৯%)
৬) সাহিত্যে ১৪টি নোবেল পুরস্কার (সাহিত্য নোবেলের ১৩%)
সারা পৃথিবীতে ইহুদি জনসংখ্যা মাত্র ১.৫ কোটির কিছু বেশি (প্রায় ৭০-৮০ লক্ষ ইসরায়েলে, বাদবাকী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে)।
ইসরায়েলের এক সাংবাদিক প্রশ্ন তুলেছিলেন, খোমেইনীর কথা মত সমগ্র মুসলিম দুনিয়া তো দূরের কথা, শুধুমাত্র ইরান যদি বয়কট করে “anything and everything of Jewish people” তাহলে ইরানের শিশুদের পোলিও টিকা নেওয়া বন্ধ করতে হবে কারণ এটা এক ইহুদী বিজ্ঞানীর আবিস্কার। ইরানের মুসলমানদের সিফিলিস এবং গনোরিয়া রোগ এবং খোমেইনীর হৃদযন্ত্র এবং ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা হয় ইহুদী বিজ্ঞানীদের আবিস্কার করা ওষুধে। ডিপথেরিয়া থেকে কানের ব্যাথা, ব্রেন ড্যামেজ থেকে মনবিজ্ঞানের চিকিৎসা, ইনসুলিন থেকে স্ট্রেপ্টোমাইসিন সবকিছুই ইহুদী বিজ্ঞানীদের আবিস্কার। মেডিসিনে ৫৫টি নোবেল পুরস্কার তারা এমনি এমনি পায়নি।
ভারতের সাথে ইসরায়েলের ক‚টনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় ১৯৯২ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার দু-তিন বছর পর বিশ্ববিখ্যাত ইহুদী বিজ্ঞানী আইনস্টাইন নেহেরুকে অনুরোধ করেছিলেন ইসরায়েল এর সাথে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার, কিন্তু নেহেরু থেকে ইন্দিরা গান্ধী সবারই দ্বিধা ছিল, কারণ এতে নাকি ভারতের মুসলমানদের মধ্যে বিরূপভাব তৈরী হবে এবং মধ্যপ্রাচের আরব দেশগুলির সাথে সম্পর্ক খারাপ হবে। ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কারের রূপকার পি ভি নরসীমা রাও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই সব ভন্ডামি তুচ্ছ করে ইসরায়েলের সাথে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। সেই থেকে ইসরায়েল ভারতের এক অকৃত্রিম বন্ধু দেশ। ভারত এবং ইসরায়েলের সম্পর্ক স্থাপনে ইসরায়েলের যতটা না লাভ হয়েছে, ভারত লাভবান হয়েছে তার কয়েকগুন। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি, কৃষিক্ষেত্র, মহাকাশ গবেষণা, ডিফেন্স টেকনোলজি এবং ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস এ ইসরায়েলি সহায়তা ভারতকে সমৃদ্ধ করেছে এবং করছে। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে কার্গিল যুদ্ধে ইসরায়েল একমাত্র দেশ যারা ভারতকে অত্যাধুনিক রাডার এবং স্যাটেলাইট দিয়ে সাহায্য করেছিল।
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘উলঙ্গ রাজা’ কবিতার চিত্রনাট্য আর কি। “কেউ-বা নিজের বুদ্ধি অন্য মানুষের কাছে বন্ধক দিয়েছে;/ কেউ-বা পরান্নভোজী, কেউ/ কৃপাপ্রার্থী, উমেদার,প্রবঞ্চক।” তবুও কিছু কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা প্রতিবাদে সরব হন। আজও কলমওয়ালারা কলম হাতে রাখেন, সম্মিলিত হন, দানা বাঁধেন, পথে নামেন। শিরদাঁড়া সোজা রাখা মানুষগুলো আছেন বলেই কবির কলমে উঠে আসে— “বরং তাকেই একদিন রাস্তা ছাড়তে হয়,/ যার স্পর্ধা আকাশ ছুঁয়ে যায়।” আসলে অতীত রোমন্থনে দেখা যায়, “কেউ কারোকে রাস্তা ছেড়ে দেয় না,/ যত দিন এই পৃথিবীতে গান থাকে,/ গানের মানুষ থাকে, স্বপ্ন থাকে…।” (বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ) ! ফিলিস্তিনে হামাসের অভিব্যক্তি— “ভাল মোর অধিকার আছয়ে নগরে।/ কালুকা পাইমু তোরে হস্তের উপরে।।” ফলে ভীতসন্ত্রস্ত ধনা চাল দিতে বাধ্য হয়। আসলে এ এক ধারাবাহিক ব্যাধি। সভ্যতার উষালগ্ন থেকে ছিল; আজও আছে, থাকবেও হয়তো। রাজনৈতিক সাঙ্গোপাঙ্গরা তো থাকবেই। এরাই তো সরকারের মুখ। অতীতেও ছিল। বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!