অনলাইন ডেস্ক : লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের হামলায় ইরান-সমর্থিত লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ এক কমান্ডার নিহত হয়েছেন। বুধবার ইসরায়েলি হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন বলে লেবাননের দুটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে।

নিহত ওই কমান্ডারকে গত প্রায় ৯ মাস ধরে চলা সংঘাতে হিজবুল্লাহর সর্বোচ্চ পদের কর্মকর্তাদের একজন হিসেবে অভিহিত করেছে লেবাননের নিরাপত্তা সূত্রগুলো।

গাজা যুদ্ধের সমান্তরালে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে সামরিক বাহিনীর অবস্থানে প্রায় প্রত্যেক দিন হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। সম্প্রতি এই হামলা-পাল্টা হামলা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইসরায়েল-লেবাননের মাঝে নতুন করে বড় ধরনের যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা জোর প্রচেষ্টা শুরু করেছেন।

হিজবুল্লাহর এক বিবৃতিকে নিহত কমান্ডারের নাম মোহাম্মদ নাসের বলে জানানো হয়েছে। তবে হিজবুল্লাহর এই কমান্ডারের বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য দেয়নি গোষ্ঠীটি। এছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

লেবাননের নিরাপত্তা সূত্র বলছে, ইসরায়েল সীমান্তে হিজবুল্লাহর একটি অংশের অভিযানের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন নাসের; যেখানে ২০০৬ সালের হিজবুল্লাহ-ইসরায়েলের যুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত চলছে।

বুধবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় টাইরে শহরের কাছের একটি এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন তিনি। একটি সূত্র বলছে, নাসের ছাড়াও হিজবুল্লাহ আরেক যোদ্ধা ও এক বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছেন।

এর আগে গত জুন মাসে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর আরেক শীর্ষ কমান্ডার তালেব আব্দুল্লাহ নিহত হন। বুধবারের হামলায় নিহত কমান্ডার নাসের গোষ্ঠীটির কাছে একই পদমর্যাদা ও গুরুত্বের অধিকারী ছিলেন। তালেব আব্দুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধে ওই সময় ইসরায়েলে গত ৯ মাসের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ড্রোন ও রকেট হামলা চালিয়েছিল হিজবুল্লাহ।

বুধবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় যেকোনও ধরনের পদক্ষেপ নেবে। তবে তারা আলোচনার ব্যবস্থাকে বেশি পছন্দ করেন।

রয়টার্সের হিসেব অনুযায়ী, লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ৩০০ জনেরও বেশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ৮৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলি ১৮ সৈন্য ও ১০ বেসামরিক নিহত হয়েছেন।