স্পোর্টস ডেস্ক : হ্যারি কেইনের সম্ভাব্য দলবদল নিয়ে ক’দিন ধরেই সরব ইংলিশ মিডিয়া। গুঞ্জন ছিল, চড়া দামেই ইংলিশ স্ট্রাইকারকে কিনতে চায় ম্যানচেস্টার সিটি। এ জন্য ফুটবল বিশে^র নজরটা ছিল টটেনহ্যাম হটস্পারের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল লেভির দিকে। ইংলিশ সংবাদমাধ্যম জানালো কেইনকে দলবদলে সম্মতি দিয়েছেন টটেনহ্যাম চেয়ারম্যান। ইংলিশ দৈনিক দ্য সান জানিয়েছে, নতুন বৃটিশ রেকর্ড গড়ে ১৬০ মিলিয়ন পাউন্ডের ট্রান্সফারে টটেনহ্যাম থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে পাড়ি দিচ্ছেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের অধিনায়ক। এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগে কেইন নিজেই জানিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার সিটিতে যেতে চান তিনি।
কেইনের ট্রান্সফারে ভেঙে যাচ্ছে পল পগবার রেকর্ডটি। ২০১৬ সালে বৃটিশ ক্লাবগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৯ মিলিয়ন পাউন্ডের ট্রান্সফারে ফরাসি মিডফিল্ডার পগবাকে দলভুক্ত করে সিটিজেনদের নগর সতীর্থ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।ম্যানচেস্টার সিটিতে সপ্তাহে ৪ লাখ পাউন্ড বেতন পাবেন হ্যারি কেইন।
এর আগের খবরে জানা গিয়েছিল হ্যারি কেইনকে দলে পেতে নগদ অর্থের সঙ্গে একজন খেলোয়াড়কে দিতে চায় ম্যান সিটি। তবে শেষ পর্যন্ত টটেনহ্যাম চেয়ারম্যানের হাঁকা দামেই কেইনকে দলে ভেড়াচ্ছে আরব আমিরাতি ধনকুবের শেখ মনসুরের মালিকানাধিন ক্লাবটি।
১১ বছর বয়সে টটেনহ্যাম হটস্পার ক্লাবে যোগ দেন হ্যারি কেইন। সিনিয়র দলে খেলছেন ২০১২ থেকে। ক্লাবটির জার্সি গায়ে ৩৩৬ ম্যাচে ২২১ গোল করেছেন হ্যারি কেইন। উত্তর লন্ডনের ক্লাবটিতে কেইনের চেয়ে বেশি গোল রয়েছে কেবল জিমি গ্রিভসের। টনেহ্যামের জার্সি গায়ে ১৯৬১ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত ক্যারিয়ারে ৩৮১ ম্যাচে ২৬৬ গোল করেন এ ইংলিশ স্ট্রাইকার।
সাম্প্রতিক ফুটবলে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল ক্লাবের ছবিটা ম্যানচেস্টার সিটির। গত চার মৌসুমে তিনবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা, চারটি লীগ কাপ, একটি এফএ কাপ জয়সহ একবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনাল খেলেছে সিটিজেনরা।
বৃটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে সিটির স্প্যানিয়ার্ড কোচ পেপ গার্দিওলার নজর রয়েছে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের ইংলিশ উইংগার জ্যাক গ্রিলিশের ওপরও। এ জন্য শীর্ষ খেলোয়াড়দের বিক্রি করে দিতে রাজি তিনি। ইংলিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পর্তুগিজ মিডফিল্ডার বারনার্দো সিলভা ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়ছেন অনেকটাই নিশ্চিত। আর নতুন ঠিকানা সন্ধানে রয়েছেন ইংলিশ তারকা রাহিম স্টারলিং, ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও আলজেরিয়ান প্লে মেকার রিয়াদ মাহরেজ।