পয়লা আষাঢ় ১৪৩০

আষাঢ়স্য প্রথম দিবস
আষাঢ়ের প্রথম দিন, ক্যালেন্ডারে আছে তা লেখা
আমার প্রকৃতিতে কোথাও নেই তার দেখা।

বাইরের আকাশে নেই সে মেঘের ঘনঘটা,
শুষ্ক ধরা – বৃষ্টির নেই যে কোনো বারতা।

হেথায় বর্ষা আসে বর্ষা চলে যায়
কদম আর ফোটে না আমার আঙিনায়।

ফেসবুক ভরে আছে হাজারো কদম ফুলের পোস্টে
হয়তো কদমের দেখা মিলবে না আর মোর অদৃষ্টে।

হবে না আর দেখা শাল-পিয়াল তাল-তমালের বীথিকা
পারবো না গাঁথতে মালা দিয়ে বর্ষার যূথিকা।

বকুল, পারুল, জারুল, কদম, কৃষ্ণচূড়ায়,
রাজ করবে শুধু আমার স্বপ্ন আঙিনার চূড়ায়।

মধু মাসের আম কাঁঠালের সৌরভে ভরা প্রকৃতি
পৌঁছে দেয় বাংলার ঘরে আষাঢ়ের আকুতি।

হেথা মোর জীবনে প্রকৃতি আনে না মধু মাস,
না পাই হেথা বৃষ্টি ভেজা ফুলের, ফেলে আসা সুবাস।

এসেছি হেথায় জীবন জীবিকার মধুর স্বাদের টানে
তাইতো ভরে আছে মন, প্রবাসী বৈরি প্রকৃতির বাণে\

 

বাদল ধারা

এক পশলা বৃষ্টিতে
ইলিশের এই কৃষ্টিতে
আনন্দ এলো সৃষ্টিতে!

পেখম মেলে ময়ূরটা
দেখে জুড়ায় চোখটা
কী যে সুন্দর পেখমটা!

আষাঢ়ের আজ প্রথম
ফুটলো গাছে কদম
ধরতে কী যে নরম!

কাগজে বানানো নৌকা
ভাসানোর এই মওকা
বানিও নাযে চৌউকা!

চাতকের অপেক্ষার শেষে
বৃষ্টি এলো ভাই হেসে
ভিজলে মরবে কেশে!

প্রবল বৃষ্টি যে হলো
রাস্তায় জল জমে গেলো
বৃষ্টির মজা হারালো।

স্কুলে যাওয়া হলো না
বন্ধুর সাথে খেলা গেল না
বৃষ্টির মজা তাই রইল না!

স্কুল থেকে ফেরার পথে
বৃষ্টি যদি ঝেড়ে আসতে
মনের আনন্দে বাড়ি ফিরতাম ভিজতে ভিজতে\
অটোয়া, কানাডা