বৃষ্টির মধুর স্পর্শ
কালকে রাতে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছিল ঝরে
জানালার শার্শিটা তখন, ছিলেম আমি ধরে।
ভীষণভাবে পড়ছিল মনে ফেলে আসা সে তোমায়
মনে হচ্ছিল তক্ষুণি বুঝি, কাছে ডাকবে তুমি আমায়।
জানালার গ্রিল দিয়ে হাতটা বাড়িয়ে ছিলাম আমি
যদি অদৃশ্য হাতের স্পর্শ দিয়ে আমায় ছোঁও তুমি,
হয়তো তুমি বলবে এসে, চলো বৃষ্টিতে ভিজি দুজনে
গান গাইব আমরা দুজন বৃষ্টিতে ভিজে আনমনে।
চাপা গাছের তলায় যেয়ে বসব দুজনে জলধারায় মিশে
চাপা ফুলেরা আমাদেরই কোলে পড়বে, টুপ করে খসে,
বৃষ্টিভেজা গন্ধে মিশে যাবে ফুলের মন মাতানো গন্ধ
আমেজটুকু নেব আমরা দুজনে দর্শনেন্দ্রিয় করে বন্ধ।
হঠাৎ কোরে কোত্থেকে এক বেপরোয়া দামাল হাওয়া এসে
এক ঝটকায় স্নান করিয়ে দিলো আমার শরীরটা শেষে
সেই এক পশলা বৃষ্টির ঝাপটা লেগে মনে হলো তখনে
তোমার স্পর্শের স্বাদ পেলাম আমি আবার এ’জীবনে।
ভালোবাসা
ভালোবাসা কথাটার কি মধুর এক শক্ত বন্ধন,
ভালোবাসাকে হিংসা করতে পারে না খণ্ডন।
মা বাবা ভাই বোন স্বামী সন্তান বন্ধু বা স্বজনে
অবারিত ভালোবাসা দিয়ে, লেগে যাও অর্জনে।
জীবনেভর যত বেশি তুমি ভালোবাসা বিলাবে,
তার চেয়ে অধিক ভালোবাসা তোমায় মিলাবে।
শ্রদ্ধা স্নেহ ভালোবাসা তোমার জীবনের সম্পদ বড়ো,
তাইতো অন্যদেরকে সব সময় এগুলো প্রদর্শন কর।
এজীবনে যত বেশি ভালোবাসা তুমি অকাতরে দিবে,
তার চেয়ে ঢের বেশি অন্যের কাছ থেকে ফিরে নিবে।
অনন্ত ভালোবাসার আধার আছে সমগ্র ধরাময়,
পরস্পরে যত বিলাবে তবু পাত্র থাকবে যে অক্ষয়।
শরীরের আঁকার আছে, আত্মার আঁকার না হয়
পরস্পরের ভালোবাসার তাই আঁকা যায় না অবয়ব।
মানুষে-প্রাণীতে এ’ধরা মাঝে যত ভালোবাসা দিবে
শেষ বিদায়ের ক্ষণে সৃষ্টি কর্তা তোমাতে ততই তুষ্ট হবে।
অটোয়া, কানাডা