অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনিকে (৪৪) চায়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। নাভালনিকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। নাভালনির মুখপাত্রের বরাতে বিবিসি অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, আজ বৃহস্পতিবার সকালে নাভালনিকে সাইবেরিয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগের উপসর্গ দেখা গেছে বলে দাবি করেছেন নাভলনির মুখপাত্র।
অ্যালেক্সেই নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশ বলেন, সাইবেরিয়া থেকে মস্কো আসছিলেন নাভালনি। কিন্তু ফ্লাইটে তিনি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন এবং অচেতন হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় ওমস্কে তাঁর বিমানের জরুরি অবতরণ করানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, নাভালনিকে দেওয়া চায়ের মধ্যে বিষ মেশানো হয়েছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ৪৪ বছর বয়সী অ্যালেক্সেই নাভালনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক। গত জুনে আরও দুই দফা ক্ষমতায় থাকার জন্য রাশিয়ার সংবিধান সংশোধন করেন পুতিন। তখন ওই ঘটনাকে ‘সংবিধান লঙ্ঘন’ উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন নাভালনি।
কিরা ইয়ারমিশ বলেন, সকাল থেকে তিনি শুধু চা খেয়েছিলেন। ওই চায়ের সঙ্গেই বিষ মেশানো হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগেও নাভালনিকে বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। গত বছর থেকে তিনি মারাত্মক অ্যালার্জিতে ভুগতে শুরু করেন। তখন চিকিৎসকেরা জানান, অপরিচিত কোনো রাসায়নিকের বিষক্রিয়ায় প্রতিক্রিয়ার কারণে ওই অ্যালার্জি দেখা দেয়।
আইনজীবী ও দুর্নীতিবিরোধী কর্মী হিসেবে সোচ্চার থাকায় এবং ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আয়োজন করায় তাঁকে জেলেও যেতে হয়েছে।
ইউরোপের মানবাধিকার আদালত রুল জানান, ২০১২ ও ২০১৪ সালে নাভালনিকে গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদ ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন।