অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়া কর্তৃক জোরপূর্বক অপহৃত ১২ শিশুকে ইউক্রেন ফিরিয়ে এনেছে। সোমবার রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ আন্দ্রি ইয়েরমাক এই কথা জানিয়েছেন।
ইয়েরমাক তার টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ‘ব্রিং কিডস ব্যাক ইউএ’-এর উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাশিয়ান দখলদারিত্বের চাপের মধ্যে থাকা ১২ শিশুকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।’
উদ্যোগের বিবৃতি অনুসারে, জেলেনস্কির অধীনে ‘ব্রিং কিডস ব্যাক ইউএ’ প্রোগ্রামটি ইউক্রেন থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত সকল শিশুকে দেশে ফিরিয়ে আনার একটি উদ্যোগ।
ফেরত আসা শিশুদের মধ্যে রয়েছে ১৬ ও ১৭ বছর বয়সী দুই কিশোরী এবং আট বছর বয়সী এক মেয়ে।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। রাশিয়ার শিশু অধিকার কমিশনারের কার্যালয় কর্মকালীন সময়ের বাইরে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধের তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কো এবং কিয়েভ শিশুদের তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে বেশ কয়েকটি বিনিময় করেছে।
ইউক্রেন বলেছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পরিবার বা অভিভাবকদের সম্মতি ছাড়াই ১৯ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি শিশুকে রাশিয়া বা রাশিয়া-অধিকৃত অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ অপহরণকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
তবে রাশিয়া জানিয়েছে, তারা স্বেচ্ছায় যুদ্ধক্ষেত্র থেকে মানুষকে সরিয়ে নিচ্ছে এবং দুর্বল শিশুদের রক্ষা করছে।
ইউক্রেনের পুনঃএকত্রীকরণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, কিয়েভ এখন পর্যন্ত ৩৮৮ জন শিশুকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রাশিয়ার শিশু কমিশনার মারিয়া লাভোভা-বেলোভা এবং রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অপহরণের অভিযোগে রাশিয়া এই পরোয়ানাগুলোকে ‘অপমানজনক এবং অগ্রহণযোগ্য’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স