অনলাইন ডেস্ক : জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বোরিস পিস্টোরিওস বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে রাশিয়ার সম্ভাব্য হাইব্রিড আক্রমণের জবাব দিতে বার্লিনকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। হাইব্রিড হামলা হলো এক ধরনের সাইবার আক্রমণ। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এই হামলার মাধ্যমে একটি দেশের আইটি, নেটওয়ার্ক ও বিভিন্ন ডিভাইসে প্রবেশের চেষ্টা করা হয়।

জার্মানির সংবাদমাধ্যম ফুংকে মেডিয়েনগ্রুপকে রবিবার জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হাইব্রিড হামলার দিকে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

আর এর লক্ষ্য হলো জার্মানি। তিনি ভালো করেই জানেন, কিভাবে আমাদের খোঁচা দিতে হয়।’

এ সময় তিনি জার্মানির অবকাঠামো ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে নর্থ সি ও বাল্টিক সির ঘটনা, যার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হয়।

তার মতে, জার্মান সমাজকে বিভক্ত করতে ক্রেমলিনপন্থী গোষ্ঠীগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে ডানপন্থী ও জনপ্রিয়তা পাওয়া দলগুলো লাভবান হবে।

পিস্টোরিওস বলেন, ‘এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্যাম্পেইন চলছে, নির্বাচনী প্রচারণায় হস্তক্ষেপ ও বিভিন্ন মতবাদকে, যেমন এএফডি ও বিএসডাব্লিওকে অর্থায়ন করা হচ্ছে, যারা বলছে, আমরা নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’

পুতিনের এই কৌশল ঠেকাতে সামর্থ্য অনুযায়ী সব কিছুই করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

মস্কোর পক্ষ থেকে এই মুহূর্তে কোনো হুমকি না থাকলেও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই বলে সতর্ক করেছেন—রাশিয়াকে ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করতে পারেন পুতিন। এর ফলে দেশটি ন্যাটোর সদস্যদের ওপর হামলা চালানোর সক্ষমতা লাভ করবে।

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতে, আগামী কয়েক বছরে ন্যাটে ভূখণ্ডের বিভিন্ন জায়গার দিকে এগিয়ে এসে সামরিক জোটটি কতটা জোটবদ্ধ তা-ও পরখ করার চেষ্টা করতে পারেন পুতিন।

তিনি জানান, ইউক্রেনে পুরোদমে হামলা চালানোর পর পুতিন রাশিয়াকে যুদ্ধ-অর্থনীতিতে পরিণত করেছেন। এ সময় প্রতি মাসে রাশিয়া যেই পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদন করছে তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশ এক বছরে উৎপাদন করে থাকে।