Home সাহিত্য রাশিদা আউয়াল-এর কবিতা

রাশিদা আউয়াল-এর কবিতা

নারী নহে বারবণিতা

পুরুষের তরে-ই নারী হয় বারবণিতা
এ সমাজে কলঙ্ক লাগে তাঁদের গায়,
পুরুষের ছোঁয়ায় তারাদের পতিতাবৃত্তি
পুরুষই সুখ ভোগ করো তায়।
পুরুষের তরে পুস্প ফুঁটিত যৌবন বিতরণ
নারী করে অন্ন, বস্ত্র, খুদা নিবারণ।
পুরুষ তৃষ্ণা মিটায় নারীর দেহ ভোগে
জীবন যৌবনে রাজত্ব আসে নারীর ত্যাগে।
রাত্রি শেষে নীশি প্রভাতে সূর্য উঠা ভোরে
তাদের কথা কি আর কভু মনে পড়ে?
আমোদ প্রমোদ বিলাসিতা পুরুষের
শুধু কষ্টগুলো, ক্ষত চিহ্ন রয়ে যায় নারীদের।
হয়তো কখনো পুরুষের বিলাসিতার প্রতীক
রয়ে যায় নারীর মনে, অঙ্গে দেহের ভাঁজে,
দুঃখ-কষ্ট বুকে চেঁপে বে-নামি সন্তান জন্ম দেয়
হয় কোনো এক মস্ত বড় অফিসার এই সমাজে।
পুরুষের খেলার ও ভোগের সামগ্রী নারী
ভালোবাসার প্রিয় সুখ-দুঃখের জীবন সাথী,
জগতময় নারী ব্যাভিচারিনী কলঙ্কিনি তবু
নারী সর্ব ক্ষেত্রে জ্বেলে যায় সদা প্রেমের বাতি।

নারী তুমি- নারী

নারী তুমি কন্যা জায়া জননী তুমি প্রেমিকা ঘরণী
নারী তুমি পৃথিবীর সেরা, সকল সন্তানের গর্ভধারিনী।

নারী তুমি কখনো বয়ে আনো, সফলতা কখনো বিফলতা
তোমার মাঝেই পুরুষের দুর্বলতা, তবু কখনো নিরবতা।

নারী কখনো সত্য ভাষণ কখনো অসুভ আচরণ
কখনো কঠিন শাষন আবার কখনো ত্যাগ বিসর্জন।

নারী তুমি আগুনের উত্তাপ নিদ্রাহীন রাত অমাবস্যার চাঁদ
কখনো পূর্ণিমা রাত তোমার সান্নিধ্যে মিলায় অবসাদ।

নারী তুমি প্রয়োজনে বিরঙ্গনা কখনো বেভিচারিনি
কখনো যুদ্ধ ক্ষেত্রে রণাঙ্গিনি আত্মঘাতী দেহপসারিনি।

নারী তুমি মহান সকলের তরে নিজেকে করো বলিদান
মানব সেবায় রয়েছে তোমার সর্ব ক্ষেত্রে অবদান,
নারী তুমি তুলনাহীন, সকল ধর্মে সেরা মহিয়ান,
“নারী” ধর্মে কর্মে রয়েছে তোমার সর্ব উচ্চ সম্মান।
কানাডা

Exit mobile version