মনিস রফিক : গত ৩১ মার্চ, শুক্রবার বিকেলে কানাডায় বসবাসরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘কানাডিয়ান এলামনাই এসোসিয়েশন অব রাজশাহী ইউনিভার্সিটি (কারু)’র আয়োজনে টরন্টোতে সফররত রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এলামনাই এসোসিয়েশন (রুয়া)’র, ঢাকা ইউনিটের সভাপতি ও রুয়া’র সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির সদস্য সচিব আইয়ুব আলী খান এর সম্মানে টরন্টোর ড্যানফোর্থ এভিনিউ’র ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৫৩ সালের ৩১শে মার্চ বাংলাদেশের রাজশাহী শহরে স্থাপিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। ৭৫৩ একর জায়গা জুড়ে দেশের সবচেয়ে প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টি ফ্যাকাল্টি এবং ৬০টি বিভাগ রয়েছে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক জীবনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনামের সাথে কাজ করার সাথে সাথে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছেন। কানাডায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য সাবেক শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন।
কারু’র সদস্য আখতারুজ্জামান স্বপনের উপস্থাপনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথি আইয়ুব আলী খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সুদূর কানাডায় এসে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঝাঁক প্রাক্তন শিক্ষার্থীকে কাছে পেয়ে মনে হচ্ছে, ‘মতিহার’ নামে পরিচিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আমি ফিরে গেছি। আমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, তাদের আত্মার সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয় জড়িয়ে আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলো-বাতাস এখনও আমাদের সকলের জীবনকে আলোকিত করে চলেছে। এই বিকেলে টরন্টোর মত এক ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ শহরে এতজন প্রাক্তন শিক্ষার্থীকে দেখে আমার বারবার মনে হচ্ছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে বেঁধে দিয়েছিল, সেটা কখনও মলিন হবার নয়। আমার বিশ্বাস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন সকল সদস্য আমরা আজীবন এক পরিবারের সদস্য হিসেবে বেঁচে থাকবো।’
আইয়ুব আলী খান এই বন্ধনকে টিকিয়ে রাখার জন্য ‘রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এলামনাই এসোসিয়েশন (রুয়া)’র যাত্রাপথ এবং বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘কানাডিয়ান এলামনাই এসোসিয়েশন অব রাজশাহী ইউনিভার্সিটি’ (কারু) সুদূর কানাডায় যে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, সেটা অব্যাহত থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন ‘রুয়া’র সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে এবং ভবিষ্যতে যৌথভাবে কার্যকরী কর্মসূচী গ্রহণ করবে। আইয়ুব আলী খান ছাড়াও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কারু’র সভাপতি মোস্তাফিজ খান পাপ্পু এবং সাধারণ সম্পাদক সুমন জাফর। অনুষ্ঠান শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ইফতারে অংশগ্রহণ করেন।