অনলাইন ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বক্তব্য রাখছেন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি রাজনীতিকে নষ্ট করেছিল, রাজনীতিতে কালো টাকা এবং ‘মাসলম্যান’ (পেশীশক্তি) আমদানি করেছিল। বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিয়ন-ডিআরইউ সাগর-রুনি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও স্বাধীনতা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী এসময় গত ২৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুকন্যার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলেন, আর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর সামনে উন্নয়নের রোল মডেল। জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিনি একজন জীবন্ত কিংবদন্তী, তার জীবনগাথা একটি সংগ্রামী জীবনের উপাখ্যান, পৃথিবীর সামনে তিনি এক অনুকরণীয় নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত।
ড. হাছান বলেন, আজকে যখন দেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, যখন বিশ্ব সম্প্রদায় দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছেন, তখন একটি দল বিএনপি আর তার মিত্ররা প্রশংসা করতে পারেনা, তারা শুধু সমালোচনা আর নানা ধরণের বিষোদগারেই ব্যস্ত।
বিএনপি’র সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির অন্য নেতারা গতকাল তাদের বক্তব্যে বলেছেন, আজকে না কি নষ্ট সময় যাচ্ছে। অথচ প্রকৃতপক্ষে তারাই রাজনীতিকে নষ্ট করেছিল। জিয়াউর রহমান দম্ভ করেই বলতেন যে, ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’। বিএনপিই রাজনীতিতে কেনা-বেচার হাট বসিয়েছিল। বিএনপির বড় বড় নেতা যারা আজকে বড় বড় কথা বলে তারা অনেকেই রাজনীতির হাটে বিক্রি হওয়া রাজনীতিবিদ। তারা যখন সময় নিয়ে প্রশ্ন রাখে, তখন মনে করতে হবে সময়টা ভালো যাচ্ছে।
‘বাংলাদেশে গুম-খুনের রাজনীতি চালু করেছিল বিএনপি, খুনের রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপির প্রতিষ্ঠা’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু খুন নয়, বঙ্গবন্ধুহত্যার পর যাতে হত্যার বিচার না হয়, সেজন্য তারা সংসদে আইন পাস করেছিল। বিএনপি’র আমলে ২০০২ সালে অপারেশন ক্লিনহার্ট পরিচালনায় প্রায় শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আর এই সমস্ত হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার না হওয়ার জন্য তারা আবার ইমডেমনেটি দিয়ে হত্যাকান্ডকে আইনগত বৈধতা দিয়েছে । যারা এই ধরণের কাজ করে তারা যখন এ নিয়ে কথা বলে, তখন এটি হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়।
‘বিএনপি নারী ধর্ষণকারীরও দল’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচনের পরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে পুরো গ্রাম অবরুদ্ধ করে অন্তসত্ত্বা মহিলাসহ শতশত নারীকে ধর্ষণ-নির্যাতন করা হয়েছে । সুতরাং বিএনপি শুধু খুনির দল নয়, তারা ধর্ষণকারীরও দল । কারণ এই নারী ধর্ষণের কোনো বিচার তারা করেনি বরং দলগতভাবে তাদেরকে বাহবা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মো: জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন টয়েল, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি অরুণা বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, কুয়েত আওয়ামী লীগ সভাপতি সাদেক হোসেন, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।