Home খেলাধুলা রক্তাক্ত এমবাপে,আত্মঘাতী গোলে ফ্রান্সের জয়ের স্বস্তি

রক্তাক্ত এমবাপে,আত্মঘাতী গোলে ফ্রান্সের জয়ের স্বস্তি

স্পোর্টস ডেস্ক : ইউরোতে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই এমন কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তা হয়তো ভাবতেই পারেনি ফ্রান্স।আসরের হট ফেভারিটদের শুধু মাঠে পরীক্ষায় ফেলেনি অস্ট্রিয়া, এমবাপেকে হারানোর ভয়ও পাইয়ে দিয়েছিল এক পর্যায়ে। তবে কঠিন লড়াই করেও নিজেদের ভুলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে অস্ট্রিয়াকে।

ডুসেলডর্ফে সোমবার রাতে ঘটনাবহুল ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে দিদিয়ে দেশামের দল।৩৮ মিনিটে অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার ম্যাক্সিমিলান ওবারের আত্মঘাতী গোল ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেয়।

ম্যাচের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে কতটা উজ্জীবিত ফুটবল খেলেছে অস্ট্রিয়া।এমবাপে-কন্তেদের বিপক্ষে ম্যাচের ৫২ শতাংশ সময়ই বল নিজেদের দখলে রেখেছিল দলটি।তবে আক্রমণে(১৪) পরিষ্কার এগিয়ে ছিল ফ্রান্সই।

ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত ২০২২ সালের রানার্সআপরা।আদ্রিওঁ রাবিওর বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে জোরালো শট নেন এমবাপে, ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান অস্ট্রিয়া গোলরক্ষক পাত্রিক পেন্স।এরপরেও বেশ কয়েকটি সুযোগ হারায় দিদিয়ে দেশামের দল।

দারুণ পাল্টা আক্রমণে ভালোই জবাব দিচ্ছিল অস্ট্রিয়া। তবে ৩৮ তম মিনিটে দলটি হঠাৎ এক ভুল করে বসে।যেখানে অবশ্য অবদান আছে এমবাপেরও।বক্সে থালা গ্রিজম্যানের উদ্দেশ্য তার বাড়ানো ক্রস হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন ডিফেন্ডার মাক্সিমিলিয়ান উবা।এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্রান্স।

৫৪ তম মিনিটে ব্যবধান দিগুনের সহজ সুযোগ হারাম এমবাপে।সতীর্থের বাড়ানো পাসে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন সাবেক এই পিএসজি তারকা।তবে সামনে গোলরক্ষককে একা পেয়েও অবিশ্বাস্যভাবে জাল খুঁজে পাননি এই এমবাপে।

সেই আফসোস অবশ্য যন্ত্রণাই শেষ হয়েছে এমবাপের।৮৬তম মিনিটে হেড করতে গিয়ে অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার কেভিন দানসোর সঙ্গে সংঘর্ষে চোট পান এই তারকা। তাঁর নাক থেকে রক্ত ঝরতেও দেখা যায়।এই সংঘর্ষে তার নাকের হাড় ভেঙে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে উঠে দাঁড়ালেও খেলা শুরু হওয়ার খানিক পর তীব্র ব্যথায় ফের মাঠে বসে পড়েন এই ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।’সময় নষ্ট করার’ অভিযোগে দেখেন হলুদ কার্ডও।বাড়তি কোনো ঝুঁকি না নিয়ে তাই তাঁকে বদলি করেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম, নামান অলিভিয়ের জিরুকে। ৩৭ বছর ২৬১ দিন বয়সী জিরু তাতে রেকর্ড বইতে নাম তোলেন ইউরোতে ফ্রান্সের সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হয়ে।শেষ পর্যন্ত সেভাবে আধিপত্য দেখাতে না পারলেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।

এই জয় ফ্রান্সের কোচ হিসেবে দিদিয়ের দেশমের ১০০তম জয়। বিশ্বকাপজয়ী দেশমের অধীনে এ দিন ১৫৬তম ম্যাচটা খেলেছে ফ্রান্স।

Exit mobile version