রবার্ট ইগার : (দা ওয়াল্ট ডিজনী কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হিসাবে রবার্ট ইগারের পনের বছরে অর্জিত শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা। ২০০৫ সালে রবার্ট ইগার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন যখন কোম্পানি এ যাবৎ কালে সর্বাধিক সঙ্কটময় পরিস্থিতি অতিবাহিত করছে। তিনটি মূলনীতির উপর ভর করে তিনি এগুলেন এক. গুণগত মানের শ্রেষ্ঠতা বজায় রাখা, দুই. নিত্য নতুন প্রযুক্তির সাথে প্রতিযোগিতা না করে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিৎ করা এবং তিন. গন্ডির বাইরে বিশ্বব্যাপী নিজেদের চিন্তা-চেতনার প্রসার ঘটানো। চৌদ্দ বছরে তিনি ডিজনিকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মর্যাদাসম্পন্ন মিডিয়া কোম্পানিতে রূপান্তর করলেন। এখন পিক্সার, মার্ভেল, লুকাসফিল্ম, টুয়েন্টি ওয়ান সেঞ্চুরি ফক্স প্রভৃতি স্বনামধন্য কোম্পানির মালিক দা ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি। রবার্ট ইগারের লেখা “দা রাইড অফ এ লাইফ টাইম” সাপ্তাহিক ‘বাংলা কাগজ’এ ধারাবাহিকভাবে অনুবাদ করছেন উন্নয়ন সংগঠক ও অনুবাদক কোরবান আলী)
বায়ান্ন…
দ্বাদশ অধ্যায়
নতুন কিছু উদ্ভাবন না করলে আপনি মারা যাবেন
(পূর্ব প্রকাশিতের পর) আমি ভাবছিলাম রুপার্ট এবং আমি বাকি সময়ে আর কি প্রসংঙ্গে কথা বলব। তিনি পরের ঘন্টার প্রায় সমস্তটা ব্যাপী আমাদের নিজ নিজ ব্যবসার আশংকাগুলো তুলে ধরলেন : বড় প্রযুক্তি কোম্পানির অনুপ্রবেশের কথা, যে গতিতে আমাদের ব্যাবসার প্রতিবেশ পরিবর্তিত হচ্ছিল সে সম্পর্কে, নিজেদের কতটা গতিতে পরিবর্তীত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে। তিনি স্পষ্টতই ‘ফক্স টুয়েন্টি ওয়ান সেঞ্চুরির’ ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। তিনি বেশ কয়েকবার একই কথা উচ্চারণ করলেন। বললেন, ‘আমাদের পরিবর্তনশীলতা মাপার কোন যন্ত্র নেই’। তারপর বললেন, ‘একমাত্র আপনিই হচ্ছেন আপনাদের কোম্পানির পরিবর্তনশীলতা মাপার যন্ত্র ।’
আমি তাকে সাহায্য করতে পারিনি। সন্ধ্যায় তাকে বিদায় জানালাম। কিন্তু তিনি যে কাজটি করার আগ্রহ দেখালেন বা ইঙ্গিত দিলেন তা অচিন্তনীয়। আমি ড্রাইভ করে বাড়ি ফেরার পথে অ্যালান ব্রেভাম্যানকে ফোন দিয়ে বললাম, ‘আমি এইমাত্র রুপার্টের সাথে কথা বলে বাড়ি ফিরছি। আমার মনে হয়েছে তিনি তার ‘ফক্স টুয়েন্টি ওয়ান সেঞ্চুর’ বিক্রি করতে আগ্রহী। আমি অ্যালানকে আইনী দৃষ্টিকোণ থেকে ফক্সের সমস্ত সম্পদের একটি তালিকা তৈরি করতে বললাম।
আমি কেভিন মায়ারের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানার জন্য তাকে ফোন করে আমাদের মিটিং সম্পর্কে বললাম। আমি কেভিনকে ফক্সের সমস্ত সম্পদের একটা তালিকা সংগ্রহ করে অধিগ্রহণের সম্ভাব্যতা সম্পর্কে চিন্তা করতে বললাম। পরের দিন আমি রুপার্টের কাছে একটি ফোন কল দিলাম। বললাম, ‘যদি আমি আপনাকে সঠিকভাবে পড়ে থাকি তবে আমি বলতে চাই আমরা আপনার কোম্পানী বা এটির অধিকাংশ অধিগ্রহণে আগ্রহী, আপনি কী আপনার মতামত জানাবেন?’
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ। আপনি কি সিরিয়াসলি কিনতে আগ্রহী?’ আমি তাকে বললাম আমার একটা গোপন ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আমাকে চিন্তা করার জন্য কিছু সময় দিতে হবে। তিনি বললেন, ‘আপনি আপনার বর্তমান অবসরের তারিখের পরেও যদি কোম্পানিতে থাকতে রাজি না হন, তবে আমি বিক্রি করব না,’। আমার অবসরের তারিখ ছিল ২০১৯ এর জুন মাস।
আমি রুপার্টকে বললাম আমি মনে করি যে আমাদের বোর্ড কখনই অধিগ্রহণে সম্মত হবেন না, যদি না আমি আমার মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব বিবেচনা করি। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আবার কথা বলার শর্তে আমরা আমাদের ফোনালাপ শেষ করলাম। হঠাৎ আমার মনে এমন একটা অনুভূতি সৃষ্টি হল যে আমার জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন হতে চলেছে এবং রাষ্ট্রপতি পদের জন্য নির্বাচনী দৌড়ই এই পরিবর্তনের অনুঘটক হতে যাচ্ছে।
পরের কয়েক সপ্তাহে অ্যালান এবং কেভিন এবং আমি ফক্স অধিগ্রহণ সম্ভব কিনা সে বিষয়ে বিচার বিশ্লেষণ করার কাজে মনোনিবেশ করলাম এবং দেখার চেষ্টা করলাম এই অধিগ্রহণ আমাদের জন্য কি অর্থ বহণ করে। বেশ কিছু ফক্স সম্পদ অ্যালান তাৎক্ষণাত নাকচ করে দিলেন । সম্ভাব্যতা যাচায়ের নিয়মগুলি নির্দেশ করে – যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে দুটি ওভার-দ্য-এয়ার ব্রডকাস্ট নেটওয়ার্কের মালিকানা ক্রয় করা যুক্তিযুক্ত হবে না (এটি আজকের বিশ্বে কিছুটা পুরনো এবং এটি ক্রয় করা নির্বোধের কাজ হবে)। তাই ফক্স টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ক্রয়ের গ্রহণযোগ্যতা হারাল। আমরা তাদের দুটি প্রাথমিক ক্রীড়া নেটওয়ার্কের সাথে প্রতিযোগিতা করি, তাই তাদের মালিকানা ক্রয়ের জন্য অত্যধিক বাজার শেয়ারের প্রয়োজন হবে। সুতরাং আমরা সেগুলি কিনব না।
এরপর ফক্স নিউজের পালা। এটি রুপার্টের মূল্যবান সম্পত্তি, তাই আমি কখনই আশা করিনি যে সে এটি বিক্রি করবে। এছাড়াও আমার জানা মতে আমরা কখনও এ ধরণের সম্পদ ক্রয় করিনি। এটি যেমন আছে তেমন রেখেও যদি আমরা পরিচালনা করি তাহলে আমারা বামপন্থিদের হাতিয়ার হয়ে পড়বো। আবার আমরা যদি সাহস করে এটি কেন্দ্রের দিকে সরিয়ে আনি তখন আমরা ডানপন্থিদের হাতিয়ারে পরিণত হবো। আমি ফক্স নিউজ নিয়ে কি ভাবছি সেটা কোন বিষয় না। যদিও আমরা জানি না রুপার্ট এটি বিক্রি করবে কিনা।
আরও কিছু অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট সম্পদ ছিল। কিন্তু সেগুলোর গুরুত্ব আর ব্যাপ্তি ছিল অসীম। বাকি সম্পদের পোর্টফোলিও আমাদের বিস্তৃত কাজের মধ্যে ডুবিয়ে দিল। ফক্স সার্চলাইট ছবি সহ মুভি স্টুডিও; হুলুর অংশীদারিত্ব, যা আমাদের কোম্পনিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের মালিকানা দেবে; এফএক্স নেটওয়ার্ক; আঞ্চলিক ফক্স স্পোর্টস নেটওয়ার্ক (যা আমাদের পরে বিক্রি করে দিতে হবে); ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক টিভি চ্যানেলের নিয়ন্ত্রণকারী মালিকানা; আন্তর্জাতিক অপারেশনের একটি বিস্তৃত এবং বৈচিত্র্যময় সেট, বিশেষ করে ভারতে স¤প্রচারের জন্য স্থাপিত; এবং স্কাই টিভি চ্যানেলের ৩৯ শতাংশ মালিকানা যেটি ইউরোপের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে সফল স্যাটেলাইট প্ল্যাটফর্ম।
এই সম্পদ সমূহের একটা আর্থিক এবং কৌশলগত বিশ্লেষণের দায়িত্ব কেভিনকে দেওয়া হয়েছিল। কেভিন আর তার দলকে একটা শ্রমসাধ্য পরীক্ষা নিরীক্ষার দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের খুব মৌলিক কাজগুলো হচ্ছে প্রত্যেকটি ব্যবসার শুধুমাত্র বর্তমান পারফর্মেন্স বিশ্লেষণ করা না বরং ব্যাবসাগুলো ভবিষ্যতে কেমন ফল দ্বায়ক হবে তা নির্ণয় করা এবং এগুলো চলমান বিঘ্নিত বিশ্বে কিভাবে পারফর্ম করবে তারও একটা বিশ্লেষণ প্রস্তুত করা। আমরা আমাদের সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত ‘প্রধান কর্মকর্তা-অর্থ’ ক্রিস্টিন ম্যাকার্থিকে এই কর্মযোগ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছি, যিনি আমাদের পূর্ববর্তী অধিগ্রহণে জড়িত ছিলেন না কিন্তু তিনি এই কাজে বেশ আগ্রহী – এবং এটি তার জন্য একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ।
আমরা তাদের ব্যবসার বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ মূল্য সম্পর্কে একটা ধারনা পাওয়া মাত্র আমাদের সামনে দুটি প্রশ্ন উঁকি দেবে: এই দুটি কোম্পানি একত্রিত হলে কি লাভ হবে? এবং কিভাবে আমরা যৌথভাবে আরো মূল্য সংযোজন করতে পারবো? স্পষ্টতই আমরা যৌথভাবে অধিক দক্ষ হয়ে উঠবো। উদাহরণস্বরূপ আমাদের এখন দুটি সিনেমা স্টুডিও হবে এবং দুটি স্টুডিও এক ছাতার নিচে কাজ করলে আমাদের স্টুডিওর দক্ষতা বাড়বে। তারপর সিনেমার বাজারেও আমরা কিছু সুযোগ-সুবিধা পাবো। আকস্মিকভাবে আরও স্থানীয় সম্পদের মালিক হওয়ার কারণে আমাদের প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে কি ধরনের সুফল পাবো? ভারতে তাদের একটি বড় ব্যবসা আছে তাদের তুলনায় আমরা নবজাতক মাত্র। তাদের ইতমধ্যে বড় স্থাপনা রয়েছে যার মাধ্যমে তারা সরাসরি ভোক্তার সাথে ব্যবসা করতে সক্ষম। তাদের একটা দুর্দান্ত টেলিভিশন স্টুডিও আছে এবং সৃজনশীল প্রতিভা সৃষ্টিতে তারা প্রচুর বিনিয়োগ করেছিলেন এবং আমরা তাদের থেকে অনেক পিছিয়ে ছিলাম। ইতিপূর্বে অন্যান্য কোম্পানি অধিগ্রহণের সময় আমরা তাদের সৃজশীল প্রতিভা সমূহের মূল্যায়ন করেছি। তাদের সৃজনশীল মানুষ জন কি আমাদের ব্যবসার জন্য আরও সাফল্য বয়ে আনতে সক্ষম? উত্তর অবশ্যই অনেকগুলো ‘হ্যাঁ’এর অনুরণন ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে না।
আমরা অনুমান করেছি দুটি কোম্পানির মিলিত ফলাফল কোম্পানি দুটির একক ফলাফলের চেয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বেশি লাভ হবে। কর্পোরেট ট্যাক্স আইনে পরিবর্তন আসার কারণে সংখ্যাটি আরও বড় হবে। কেভিন আমাকে সম্পদগুলোর একটা সাধারণ হিসাব দেবার পর বললেন, ‘বব, কোম্পানিটি অধিগ্রহণ করলে বিশাল সম্পদ অর্জনের সম্ভাবনা আছে।’আমি বললাম, ‘আমি জানি কোম্পানিটি অধিগ্রহণ করলে এক টন সম্পদ পাওয়া যাবে। কিন্তু কিভাবে? এর পক্ষে যুক্তি কি?’ কেভিন বললেন, ‘আপনি ইতিপূর্বে যে যুক্তি দেখিয়েছেন, এখানে একই যুক্তি কার্যকর’। আমরা এখনও ক্রয়ের আলাপ-আলোচনা শুরুই করিনি তাতেই কেভিনের মনের গিয়ারগুলি বাঁক নিতে শুরু করেছে। তিনি আরও বললেন, ‘আপনিই বলেছিলেন উচ্চ গুণগত মান সম্পন্ন বিষয়বস্তু, উন্নত প্রযুক্তি আর বিশ্বব্যাপী বাজারের কথা।’ তিনি বললেন আমাদের নতুন কৌশল প্রণয়নের সময় আপনি লেন্সের মাধ্যমে এই সমস্ত সম্পদ দেখেছিলেন এখন এগুলো খালি চোখে দেখা যায়, আকারে অনেক বড় হয়েছে। কোম্পানিটির অধিগ্রহণ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কেভিন, অ্যালান এবং ক্রিস্টিন সবাই আমাকে ক্রয়ের পক্ষে তাদের সমর্থন দিয়েছেন। তাদের মতে কোম্পানিটির প্রতিনিধিত্ব পিক্সার, মার্ভেল এবং লুকাসফিল্মের চেয়ে অনেক বড় হবে এবং এটির অধিগ্রহণের মিলিত ফলাফল সীমাহীন হবার সম্ভাবনা অনুভূত হচ্ছে। তাই এখানে ঝুঁকিও বেশি। তারা রুপার্টের সাথে অধিগ্রহণ সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা এগিয়ে নেবার কথা বললেন।
ত্রয়দশ অধ্যায়
সততা ও ন্যায়পরায়ণতা অমূল্য সম্পদ
রুপার্টের কোম্পানি বিক্রির সিদ্ধান্ত সরাসরি আমাদের কোম্পানির নতুন কৌশলপত্র নির্মাণে প্ররোচিত করেছিল । এমন একটি বিপর্যস্ত পৃথিবীতে তিনি তার কোম্পানির ভবিষ্যত নিয়ে ভাবছিলেন এবং তিনি সবচেয়ে স্মার্ট সিদ্ধান্ত নিয়ে তার শেয়ারহোল্ডারদের এবং তার পরিবারকে টুয়েন্টি ফাস্ট সেঞ্চুরি ফক্সের স্টককে ডিজনির স্টকে রূপান্তর করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন ডিজনি অনেক ভাল অবস্থানে আছে এবং একত্রিত হলে আমরা আরও শক্তিশালী হব।
আমাদের ইন্ডাস্ট্রি কি পরিমান বিপদ সংকুল, আমাদের সমস্যাগুলো কতটা ব্যাপক তা বোঝানো কঠিন। তিনি প্রায় কিছু না থেকে এই স্বনামধন্য কোম্পানিটি নির্মাণ করেছিলেন। এখন তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন সেই কোম্পানি ভেঙ্গে দেবেন। আমি বলবো এটি একটি যুগান্তকারী এবং অনিবার্য সিদ্ধান্ত। রুপার্ট এবং আমি প্রবেশ করছি একটি প্রায় দুই বছর দীর্ঘ প্রকল্পে, যার মাধ্যমে আমরা একটা বিশাল চুক্তি সম্পন্ন করবো এবং যে চুক্তি মিডিয়ার দৃশ্যপট বদলে দেবে। এছাড়াও একটি রূপান্তরিত সামাজ কাঠামোর শুভ সূচনা হবে। প্রযুক্তিগত দিক থেকেও বিশাল পরিবর্তন আসবে । বিশেষ করে আমাদের মিডিয়া শিল্পে সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য আচরণ নিয়ে অসংখ্য গুরুতর অভিযোগের পাহাড় জমা হয়ে আছে। যৌন শিকারী মনোভাব ও আচরণ যেন দীর্ঘদিনের কর্মের অনুঘটক হয়ে উঠেছে। হলিউড এবং অন্যত্র নারীদের জন্য সমান সুযোগ এবং সমান বেতন দেয়া হয় না। বিশেষকরে হার্ভির ওয়েইনস্টেইনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট এবং ভয়ঙ্কর অভিযোগ অনেককে উৎসাহিত করেছিল তারা যেন নিজেদের সম্মান হানির দাবি নিয়ে এগিয়ে আসেন। বিনোদন শিল্পের প্রায় প্রতিটি সংস্থাকে তাদের সংস্থার অভ্যন্তরীণ অভিযোগের সাথে লড়াই করতে হয়েছে, বিচার করতে হয়েছে। (চলবে)
কোরবান আলী, অনুবাদক, টরোন্ট, ক্যানাডা।