অনলাইন ডেস্ক : ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয় সরিষার তেল, ফ্রিজ, এসিসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি ক্ষেত্রে ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর (মূসক) অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে তিনি এই প্রস্তাব করেন। তিনি ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন।
বাজেটে স্বর্ণ আমদানিতে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে স্বর্ণের দাম কমতে পারে। অটোমোবাইল, ফ্রিজ, এসির দাম কমতে পারে। দাম কমতে পারে সরিষার তেলের। ডিটারজেন্টের কাঁচামালের ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে গুঁড়া সাবানের দাম কমতে পারে। একইভাবে দাম কমতে পারে স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপারের। কারণ, এগুলোর কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।
এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একইভাবে তিনি রসুন ও চিনি আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন। এসব নিত্যপণ্যের দামও কমতে পারে। নিত্যপণ্য ছাড়াও স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত এম এস স্ক্র্যাপ সরবরাহের ওপর উৎসে আয়কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন। এছাড়া হাঁস-মুরগির খাদ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে হাঁস মুরগির খাদ্যের দামও কমতে পারে। এছাড়া ইস্পাত শিল্পের রিফ্রাক্টরি সিমেন্টের ওপর শুল্ক কমানো হবে। এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমতে পারে। রেফ্রিজারেটর ও এসির কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে।