অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস উভয় পক্ষই তাদের কঠোর অবস্থানে থাকলেও হামাসের সিনিয়র নেতা ইসমাইল হানিয়া যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনার আভাস দিয়েছেন। মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক বিবৃতিতে ইসমাইল হানিয়া এসব কথা জানান।

ইসমাইল হানিয়া জানান, তাঁরা কাতারের মধ্যস্থতাকারীদেরকে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে দেশটির বেশ কিছু নাগরিককে জিম্মি করে হামাস। তাদের মুক্তি দিতে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালাচ্ছে কাতারসহ বিভিন্ন পক্ষ। তবে বারবার ইসরায়েল হাসপাতাল ও বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের উপর হামলার জেরে পিছিয়ে যাচ্ছে এ বন্দি বিনিময় চুক্তি।

এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, যুদ্ধ বিরতি ও বন্দি মুক্তির ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিরবি আরও জানান, মধ্যস্থতাকারীরা নারী, শিশু ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মুক্তির বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।

তবে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে হামাসের সর্বশেষ বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইসরায়েল। কাতারভিত্তিক মধ্যস্থতার বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে শুরু থেকেই বিরত থাকছে ইসরায়েল।

তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলের চ্যানেল টুয়েলভ টেলিভিশন নাম প্রকাশ না করে সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের চুক্তির বিষয়ে আগ্রহ আছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। ২৪০ জনকে বন্দি করে নিয়ে যায় হামাস। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, জার্মানিসহ বেশ কিছু দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে। অপর দিকে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।