Home আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতির খবরে ঘরে ফেরার আনন্দ-উচ্ছ্বাস ফিলিস্তিনিদের

যুদ্ধবিরতির খবরে ঘরে ফেরার আনন্দ-উচ্ছ্বাস ফিলিস্তিনিদের

অনলাইন ডেস্ক : গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ এলাকায় যুদ্ধবিরতির খবরে আনন্দে আত্মহারা বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। যুদ্ধের ভয়াবহতা পেছনে ফেলে প্রিয়জনের কাছে ফেরার আশা তাদের হৃদয়ে নতুন আলো জ্বালিয়েছে।

বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নারী উম সালাহ বলেন, আমার আনন্দের কোনো সীমা নেই। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমি দ্রুত জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়েছি। আমি গাজা সিটিতে ফেরার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আমার সন্তানরাও অত্যন্ত আনন্দিত। তারা পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং আমাদের জমি দেখার জন্য মুখিয়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, এখানে সবসময় ভয় আর উদ্বেগে দিন কাটে। কিন্তু বাড়ি ফিরে আমরা অনেক বেশি সুখী হবো। তখন আমাদের জীবনে আবার আনন্দ ফিরে আসবে।

একজন বাস্তুচ্যুত পুরুষও তার আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, আমরা খুব খুশি যে আমাদের বাড়ি, পাড়া-প্রতিবেশী এবং প্রিয় বাইত হানুনে ফিরে যেতে পারব। আমরা আবার আমাদের পরিবারকে দেখব। আমরা যুদ্ধ চাই না। ধ্বংস আর মৃত্যুর কোনো প্রয়োজন নেই। ফিলিস্তিনি জনগণ অনেক কষ্ট সয়েছে। আমিও সবার মতো ভুগেছি। আমার দুই ছেলেকে খাওয়ানোর দায়িত্ব আমার।

তিনি বলেন, আমাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে, কাজ শুরু করতে হবে এবং জমি-সম্পত্তির দেখভাল করতে হবে। বাইত হানুনে পৌঁছেই আমি আমার বাড়ি দেখতে যাব। ধ্বংসস্তূপের ওপর একটি তাঁবু খাটিয়ে সেখানেই থাকতে শুরু করব। আমি আবার আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী এবং প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যেতে চাই।

যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ পেরিয়ে ফিলিস্তিনিদের জীবনে নতুন সূচনা এবং ঘরে ফেরার এই আনন্দ যুদ্ধবিরতির এক নতুন অধ্যায়কে চিহ্নিত করে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় কয়েক ঘণ্টা বিলম্বের পর স্থানীয় সময় রবিবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে (৯টা ১৫ জিএমটি) বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এ কথা নিশ্চিত করেছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজিদ আল–আনসারি আজ এক বিবৃতিতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে ওই যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার তথ্য জানান।

Exit mobile version