অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি বিদেশি দর্শনার্থী আটক ও তাদের নির্বাসনের কারণে এবার দেশটিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ক্ষেত্রে সমস্ত নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

পররাষ্ট্র দপ্তর আরও জানিয়েছে, ‘মার্কিন কর্তৃপক্ষ প্রবেশের নিয়ম কঠোরভাবে নির্ধারণ ও প্রয়োগ করে। আপনি যদি নিয়ম ভঙ্গ করেন, তাহলে গ্রেফতার বা আটক হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এতে আরো বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতর নাগরিকদের ‘প্রবেশ, ভিসা ও অন্যান্য প্রবেশের শর্তাবলি মেনে চলতে’ বলেছে।

অন্যদিকে, জার্মানি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রাপ্তি দেশটিতে প্রবেশের কোনো নিশ্চয়তা প্রদান করে না। এমন অন্তত তিনটি উদাহরণ রয়েছে বলেও জানা গেছে। কোন ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারবেন কি না তার চূড়ান্তভাবে নির্ভর করবে দেশটির সীমান্ত কর্তৃপক্ষের ওপর।

চলতি মাসের শুরুতে জেসমনি মুনি নামে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করা একজন কানাডীয় অভিনেত্রী মেক্সিকোর সীমান্ত দিয়ে দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাকে আটক করে ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের সদস্যরা ওই অভিনেত্রীর মায়ের দাবি, আটকের ১২দিন পর অত্যন্ত শোচনীয় অবস্থায় কানাডার ভ্যানকুভারের একটি ফ্লাইটে তাকে উঠিয়ে দেয়া হয়।এ ছাড়া গত মাসে একজন ফরাসি বিজ্ঞানীর ফোনে ট্রাম্পবিরোধী বার্তা পাওয়ায় তাকেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

এই আটকের ঘটনা আন্তর্জাতিকভাবে মিত্র দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মার্কিন প্রশাসন বলেছে, দেশটিতে প্রবেশের নিয়মনীতি কঠোর হতে পারে। কোনো ব্যক্তি যদি নিয়মভঙ্গ করেন, তবে তিনি আটক হতে পারেন বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

এরপরই সতর্কতা জারি করেছে ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই দেশ।