অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই উত্তেজনার নেতিবাচক প্রভাব শেয়ারবাজারেও পড়েছে। শুক্রবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে টালমাটাল হয়ে পড়েছে এশিয়ার শেয়ারবাজার। সিএনএন অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় চেংদু শহরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বেইজিং। তার আগে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে চীনের কনস্যুলেট ৭২ ঘণ্টার (শুক্রবার) মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

দুই দেশের মধ্যে এমন উত্তেজনায় এশিয়ার শেয়ারবাজারে আজ বেশির ভাগ সূচক কমেছে।

চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক হারিয়েছে ২ শতাংশ দর। জাপানের নিকেই কমেছে শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ। তাইওয়ানের তাইপে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান সূচক কমেছে ১ শতাংশের বেশি।

এশিয়ার শেয়ারবাজারে আজ সবচেয়ে দর কমেছে প্রযুক্তি খাতের শেয়ারগুলোর। হংকংয়ের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি টেনসেন্টের শেয়ারের দর কমেছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে আলিবাবার শেয়ারের দর কমেছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে আবার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জুনে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল শ্রমবাজার, জুলাইয়ে তার প্রতিফলন কমই দেখা যাচ্ছে। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশটিতে বেকারভাতার আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় আবার ব্যবসায় কার্যক্রম কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে।

সব মিলিয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে গতকালের পুঁজিবাজারে। ওয়ালস্ট্রিটে প্রধান তিনটি সূচক ডাও জোন্স, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ও নাসডাক ২ দশমিক ৩ শতাংশ দর হারায়। আজকের পূর্বাভাসেও এই তিন সূচক কমতে পারে বলে বলা হচ্ছে।

আজ লেনদেনের শুরুটা ভালো দেখা যায়নি ইউরোপের শেয়ারবাজারে। জার্মানি ও ফ্রান্সের প্রধান সূচক লেনদেনের শুরুতে কমেছে ২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের প্রধান সূচক কমেছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।