অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ইলেকট্রনিক ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অভিজিৎ হীরার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে যুক্তরাষ্ট্রের মার্কেট ইউনিভার্সিটির ল্যাব থেকে সহকর্মীরা তার মরদেহটি উদ্ধার করেন।
এসময় মরদেহের পাশে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও পাসওয়ার্ড, দুইটি মোবাইল ও ল্যাপটপ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আবেদন সংবলিত একটি চিরকুট পাওয়া যায়। চুয়েটের ইলেকট্রনিক ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. আজাদ হোসাইন শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া পিএইচডি সম্পন্ন করার জন্য টেক্সাসে অবস্থানরত একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুরসাদুল মামুন জানান, অভিজিৎ হীরার রুমমেটের মাধ্যমে তিনি জানতে পেরেছেন, গত ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি অভিজিৎ হীরা আবহাওয়া জনিত কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবেই অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
তিনি জানান, বর্তমানে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের কাছে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশি প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এছাড়া মারকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ওয়েবপোর্টালে এ মৃত্যুর সংবাদকে ‘অপ্রত্যাশিত মৃত্যু’ বলে প্রচার করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নের টুঠামান্দ্রা গ্রামের মৃণাল কান্তি হীরা ও স্মৃতি কণা হীরার তিন সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ অভিজিৎ হীরা। ছোটবেলা থেকে অভিজিৎ হীরা ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমী। ২০০৯ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রনিক ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি হন।
কুয়েট থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক সম্পন্ন করে ২০১৮ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে চুয়েটে যোগ দেন। এরপর ২০১৯ সালের আগস্টে তিনি পিএইচডি সম্পন্ন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মারকেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পাড়ি জমান।
তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও চুয়েট শিক্ষক সমিতি শোক প্রকাশ করেছেন। পৃথক শোক বার্তায় তার আত্মার শান্তি ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তারা। এছাড়া তার মৃত্যুতে শুক্রবার মারকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি স্মরণসভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।