Home আন্তর্জাতিক যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার সুইজারল্যান্ডে ব্যাংক খাতে অস্থিরতা

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার সুইজারল্যান্ডে ব্যাংক খাতে অস্থিরতা

অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের পর ব্যাংক খাতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ডে। এবার দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশটির অন্যতম বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট সুইস ব্যাংক। ১৬৭ বছরের পুরনো এ ব্যাংকটি বাঁচাতে চলছে সর্বোচ্চ চেষ্টা। বিস্তারিত রাকিব হাসানের রিপোর্টে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার ব্যাংকের পর এবার দেউলিয়া হওয়ার পথে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংক ক্রেডিট সুইস। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ আর্থিক লেনদেনকারী এ প্রতিষ্ঠানটিকে কিনে নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে ইউনিয়ন ব্যাংক অব সুইজারল্যান্ড।

ক্রেডিট সুইস অধিগ্রহণে সরকারের কাছে ৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছে ইউবিএস এজি। ব্যাংক নিয়ন্ত্রকরা ২০ মার্চের আগেই এ সমস্যার সমাধান করতে চাচ্ছে। তবে এ প্রক্রিয়া যে সহজ হবে না তা ভালো করেই জানেন ব্যাংক নিয়ন্ত্রকরা।

যদি এ দুটি ব্যাংককে এক করা হয় তাহলে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ চাকরি হারাতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে, ক্রেডিট সুইস বন্ধ করার ও আইনি খরচ এই ব্যাংককে বহন করতে হবে, এমন নিশ্চয়তা চাইছে ইউবিএস এজি। তবে এসব ব্যাপারে ক্রেডিট সুইস, ইউবিএস জি এবং সুইজারল্যান্ডের সরকার কোনো মন্তব্য করেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক দুটির পর যখন ক্রেডিট সুইসে আঘাত আসে তখন সেটি বাঁচাতে এগিয়ে আসে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকটির বিপর্যয় ঠেকাতে কয়েক বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এছাড়া ক্রেডিট সুইস ব্যাংক অধিগ্রহণের জন্য ইউবিএস এজিকে চাপ দেয় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মাধ্যমে সুইজার‌ল্যান্ডে ক্রেডিট সুইসের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাবে।

সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই দুই ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করতে কাজ চলছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, ক্রেডিট সুইসকে পতনের হাত থেকে বাঁচাতে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্রও।

ক্রেডিট সুইস বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী একটি ব্যাংক। এটিকে বিশ্বের ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকের একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কোনোভাবে ব্যাংকটিতে ধস নামলে এটি পুরো আর্থিক ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

গত সপ্তাহে ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক দরপতন হয়। এতে ব্যাংকটি চার ভাগের এক ভাগ সম্পত্তি কমে যায়। শেয়ারের দরপতন ও অন্যান্য কেলেঙ্কারির কারণে গ্রাহকদের আস্থা হারায় ব্যাংকটি। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দারস্থ হয় এটি।

Exit mobile version