অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজার আল মাওয়াসিতে ইসরায়েলের হামলায় এবার যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ভয়ঙ্কর এমকে-৮৪ বোমা ব্যবহার করা হয়েছে।গাজার কর্মকর্তারা বলেছেন, দুই হাজার পাউন্ড ওজনের এই অস্ত্রের সরাসরি আঘাতের শিকার মানুষের মৃতদেহ গলে বিকৃত হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতের হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে জিও নিউজের প্রতিবেদনে এমন সব তথ্য উঠে এসেছে।

অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাওয়া বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গাজার আল মাওয়াসিতে ইসরায়েলের এবারের ভয়াবহ বিমান হামলার সঙ্গে ভূমিকম্পের তুলনা চলে। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের মারাত্মক হামলার প্রত্যক্ষদর্শী এবং বেঁচে থাকা মানুষ সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি ড্রোন তাদের ওপর একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে থাকে।

বোমা হামলার স্থান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে আমরা বসে ছিলাম। যখন পাঁচ/ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হলে আগুনের ফুলকি ফায়ার বেল্টের মতো ছড়িয়ে পড়ে। তখন আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম, বোমা হামলার স্থানের কাছে একটি তাঁবুতে বসবাসকারী ফিলিস্তিনি ইব্রাহিম আল-বাহশেতি এমনটি জানিয়েছেন।

তাঁবুগুলো দেখে মনে হয়েছিল যে এগুলো ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে। কোথাও কোথাও মাটি উল্টে যায়,’। আরেক নারী জানিয়েছেন তিনি ‘অকল্পনীয় ভয়’ পেয়েছেন। ‘আমরা নিজেদের তাঁবুতে ঘুমাচ্ছিলাম যখন ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আমাদের কাছাকাছি আঘাত হানে। আমরা অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। আমি কখনও কল্পনাও করিনি যে আমি বেঁচে থাকব। আমরা এখনও হতবাক,’ বলেন ইবতিসাম আল শাকের, যিনি আল-মাওয়াসিতে অবস্থান করছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘সবকিছু আমাদের ওপরে পড়েছিল। আমাদের সন্তানেরা বালিতে চাপা পড়ে যায়। আমরা চিৎকার করে দৌড়ে বেরিয়ে পড়ি এবং আমরা কেবল তাদের মাথা বালির নিচে চাপা পড়ে থাকতে দেখেছি।’ আমি মনে করি ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের উপর পড়েছিল। আমরা সেগুলো গুনতে পারিনি, কিন্তু দৃশ্যটি ছিল ভয়াবহ,’ তিনি যোগ করেন।