অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষবারের মতো ভাষণ দিয়েছেন জো বাইডেন। এসময় তাকে আবেগতাড়িত হয়ে কাঁদতে দেখা যায়।

মঙ্গলবার দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, মার্কিনিদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে; সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচনে পরাজিত করার এখনই উপযুক্ত সময়।

বাইডেন যখন কথা বলতে ওঠেন, তখন ডিএনসিতে যোগ দেওয়া দলের সমর্থকরা বলতে থাকেন, ‘থ্যাংক ইউ বাইডেন’। এসম তাদের হাতে বিভিন্ন ধরনের পোস্টার দেখা যায়। তাতে লেখা ‘লাভ ইউ বাইডেন’। কয়েক মিনিট ধরে চলে এই দলের কর্মীদের এই স্লোগান। এসব দেখে আবেগতাড়িত বাইডেনের চোখে কোণে অশ্রু দেখা গেল। এরপর দলের কর্মীদের কাছে তার বিদায়-ভাষণ শুরু করলেন বাইডেন।

মাসখানেক আগেই বাইডেন ঘোষণা করেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। তিনি চান, কমলা হ্যারিস প্রার্থী হোন। তারপর দলের এই সম্মেলন হচ্ছে। এই সম্মেলনের গুরুত্ব হলো, দল যে একজন প্রার্থীকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে, তা দেখানো। সেজন্যই এই সম্মেলন ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্যই বিদায়-ভাষণ দিতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন বাইডেন।

এসময় বাইডেন দেশের গণতন্ত্রের বিপদ সম্পর্কে সবাইকে সাবধান করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রের সামনে বিপদ স্পষ্ট। ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন অতি দক্ষিণপন্থিরা উৎসাহিত হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্প তো পুটিনের সামনে ঝুঁকে পড়েন। আমি কখনো তা করিনি। কমলা হ্যারিসও করবেন না। তার অভিযোগ, ট্রাম্প দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া সেনার অপমান করেছেন।

বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই। যখন জিতবে, তখনই শুধু বলবে, দেশকে ভালোবাস, এটা হয় না। যুক্তরাষ্ট্রে ঘৃণার কোনো স্থান নেই।

তার সাফল্যের কথাও তুলে ধরেছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, দেশের উন্নতির পথে একটা অসাধারণ চার বছর সময় আমরা কাটিয়েছি। অ্যামেরিকার অর্থনীতি এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি। মানুষের রোজগার বেড়েছে। মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। ওষুধের দাম কমানো সম্ভব হয়েছে।

বাইডেন তার প্রশাসনের প্রশংসা করে বলেছেন, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে প্রকল্পগুলির রূপায়ণ হয়েছে। তার দাবি, ট্রাম্পের আমলে কোনো কাজই হয়নি।

তার দীর্ঘ ভাষণের শেষে বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তার মতে, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলো, আমেরিকার আত্মাকে রক্ষা করার লড়াই। সেই লড়াইয়ে তিনি কমলা হ্যারিসের পাশে আছেন।