পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই এক একটি পৃথিবী। সব ভ‚খণ্ডের মত ‘ম্যাপল লীফ’ এর দেশ কানাডার মানুষের মধ্যেও রয়েছে এক অদ্ভুত বৈচিত্র্যময়তা। এদের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর প্রায় সব অঞ্চলের সংস্কৃতির এক স্রোত বয়ে যায় কানাডার জনপদ থেকে জনপদে আর প্রান্তর থেকে প্রান্তরে। একেবারে নিজস্ব ভাবনা, চিন্তা আর জীবনযাপনের এই মানুষগুলোর স্বরূপ অনুসন্ধানে এ সপ্তাহে ‘বাংলা কাগজ’ এর পক্ষ থেকে কথা বলা হয়েছে তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মী তানভীর শাহনওয়াজ এর সাথে। কথোপকথনটি ‘বাংলা কাগজ’ এর পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হলো।
বাংলা কাগজ : তানভীর শাহনওয়াজ, আপনার জন্ম কোথায় এবং কত সালে?
তানভীর শাহনওয়াজ: আমি জন্মেছি টরন্টোর ইস্ট ইয়র্ক জেনারেল হসপিটালে, যার নাম এখন মাইকেল গ্যারন হসপিটাল। সালটা ছিল ১৯৯৫।
বাংলা কাগজ : আপনার পিতা-মাতা কি এখানে জন্মেছেন?
তানভীর : না, তাঁরা দু’জনেই বাংলাদেশে জন্মেছেন। তাঁদের জন্ম এবং বেড়ে উঠা বাংলাদেশেই।
বাংলা কাগজ : আপনি কানাডায় জন্মেছেন, কিন্তু চমৎকার সুন্দর বাংলা বলেন, এটা কিন্তু কানাডার নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশীদের মধ্যে সচারচর দেখা যায় না। আপনার পরিবারে নিশ্চয় বাংলা ভাষার একটা সুন্দর চর্চা আছে?
তানভীর : আমাদের পারিবারিক পরিবেশটা সত্যিই এক চমৎকার সুন্দর জায়গা। আমরা দু’ভাই খুব বেশি কেয়ারিং বাবা-মা’র কাছে ধীরে ধীরে বড় হয়েছি। কেয়ারিং এর ধরনটা কিন্তু একেবারে বন্ধুত্বের মত। আমার মা একেবারে গৃহিণী হলেও তিনি খুব সচেতন এবং একজন জ্ঞানী মানুষ। আমার বাবা খুবই মননশীল এবং বাংলা সংস্কৃতিপ্রাণ মানুষ। তিনি একই সাথে আমাদের দুই ভাইয়ের পরম বন্ধু। আমার ভাই আমার চেয়ে বড়। তিনি একজন ব্যাংকার। বাবা আমাদেরকে একেবারে ছোটবেলা থেকে শিখিয়ে এসেছেন কিভাবে অনেক বেশি মানবিক হওয়া যায়, আর কিভাবে জীবনে সত্যিকারভাবে মঙ্গলময় কাজ করা যায়।
বাংলা কাগজ : আপনার বাবা সম্পর্কে কি কিছু জানতে পারি?
তানভীর : আমার বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশুনা করেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রথম প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন। সত্তরের দশকের শেষের দিকে তিনি কয়েক বছরের জন্য জার্মানীতে ছিলেন। সেখান থেকে তিনি ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান পড়াশুনা করতে। পড়াশুনা শেষ করে তিনি বাংলাদেশে ফিরে যান। তারপর ১৯৯১ সালে তিনি আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য আসেন। পরে তিনি সিদ্ধান্ত নেন কানাডায় বসবাসের। ফলে ১৯৯৫ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
বাংলা কাগজ : আপনি কখনও বাংলাদেশে গেছেন?
তানভীর : হ্যাঁ, তিন বার গিয়েছি।
বাংলা কাগজ : আপনি জন্মেছেন কানাডায় এবং বেড়ে উঠেছেন এখানেই। কিন্তু বাংলাদেশ আপনার বাবা-মা এবং পূর্ব পুরুষের ভ‚মি। এই দুই দেশ সম্পর্কে আপনার চিন্তাভাবনা বা মূল্যায়ন কেমন?
তানভীর : আমি একজন কানাডিয়ান। আমার জন্ম, পড়াশুনা থেকে শুরু করে সব কিছুই এই দেশে। আমি এখানকার ভাষা, এখানকার সংস্কৃতিকে মনে প্রাণে ধারণ করি। সেই সাথে সব সময় নিজেকে একজন গর্বিত কানাডিয়ান হিসেবে দেখি। কারণ এই দেশ আমাকে এক সুন্দর মূল্যবোধ শিখিয়েছে, শিখিয়েছে কিভাবে স¤প্রীতির সাথে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে একে অপরকে সম্মান জানিয়ে বাস করা যায়। আমি সত্যিই অনেক বেশি ভাগ্যবান, এমন একটা দেশে জন্মেছি বলে।
আর, বাংলাদেশ আমার কাছে এক অপূর্ব অনুভ‚তির নাম। এই দেশ আমার শেকড়। ‘বাংলাদেশ’ শব্দটা মাথায় আসলেই আমি অতীতে ফিরে যায়। আমাদের বর্তমান আর ভবিষ্যতের জন্য অতীত এক মূখ্য ভ‚মিকা পালন করে। আমার বাবা-মা নিজেরা প্রবাসী হয়ে অভিবাসীদের যে সংগ্রামী জীবন কাটিয়েছেন, সেটা আমাদেরকে অনেক সুন্দর ফল উপহার দিয়েছে। আমি যে তিন বার বাংলাদেশে গেছি, তিন বারই আমি মুগ্ধ হয়েছি আমার আত্মীয়-স্বজন এবং আশপাশের মানুষের ভালোবাসার উষ্ণতার পরিচয় পেয়ে। আমি বাংলাদেশের ইতিহাস পড়ে বার বার শিহরিত হয়। বাংলদেশের মানুষ নিজেদের মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিতে কার্পণ্য করেনি। সেই একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পেয়েছে। এক সপ্তাহ আগেই কানাডার পার্লামেন্ট সারা দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটি পালনে বিল পাশ করেছে। এটা অনেক বড় একটা বিষয়। আর এর সাথে আমার শেকড়ের ভ‚মি জড়িত, সেটা ভাবতেই ভালো লাগে। সেই সাথে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আমাকে অনেক বেশি আলোড়িত করে। বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষদের আমি সব সময় প্রাণ থেকে সমর্থন করি এবং শ্রদ্ধা জানাই তাঁদের ত্যাগ’কে। আমি যে প্রভিন্সে বাস করি সেই অন্টারিও প্রভিন্সের পার্লামেন্ট ২০১৬ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাস অর্থাৎ মার্চ মাসকে ‘বাংলাদেশী হেরিটেজ মান্থ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দুই দেশের এই সুন্দর সুম্পর্ক আমাকে সব সময় পরম আনন্দ দেয়। আমার মনে হয়, বাংলাদেশ এবং কানাডা আত্মিকভাবে একে অপরের সাথে জড়িত, যেমন আমার অনুভ‚তিটা দুই দেশের সাথে জড়িয়ে আছে আমার দেহ মনে আষ্টেপৃষ্টে।
আমার ভাবতেই ভালো লাগে, এমন দুটো সুন্দর দেশকে আমি আমার নিজের করে পেয়েছি।
বাংলা কাগজ : আপনার পড়াশুনার জীবন কেমন? অর্থাৎ আপনি কোথায় কোথায় পড়াশুনা করেছেন?
তানভীর : আমি প্রথমে পড়তে যাই ক্রিসেন্ট টাউন এলিমেন্টারী স্কুলে, সেখানে আমি জুনিয়র কিন্ডার গার্ডেন থেকে গ্রেড ফাইভ পর্যন্ত পড়েছি। তারপর আমি মিডল স্কুলে যাই, ওটার নাম হচ্ছে, ডি এ মরিশন। পরে স্বাভাবিকভাবেই আমি হাই স্কুলে যাই। আমার হাই স্কুল ছিল, ড্যানফোর্থ কলেজিয়েট এন্ড টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট। আমি ২০১৩ সালে সেখান থেকে গ্রাজুয়েট হই। তারপর আমি ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো’র স্ক্যারবরো ক্যাম্পাসে পড়াশুনা করি। ইউনিভার্সিটিতে আমার বিষয় ছিল ‘পাবলিক পলিসি এন্ড সিটি স্টাডিজ’। আমি ২০১৮ সালে ইউনিভার্সিটি গ্রাজুয়েট হই।
বাংলা কাগজ : আপনার স্কুল জীবনটা কেমন ছিল।
তানভীর : আমার স্কুল জীবনটা অন্য সব ছাত্রছাত্রীদের মতই ছিল। তবে আমি হয়তো স্কুলের মূল পড়াশুনার পাশাপাশি কো-কারিকুলার একটিভিটিজগুলোতে একটু বেশি সময় দিতাম। আসলে আমি সবার সাথে মিলেমিশে কাজ করতে খুবই আনন্দ পেতাম। স্কুলের ড্রামা ক্লাব থেকে শুরু করে সব ধরনের খেলাধুলায় আমি সব সময়ই খুবই একটিভ থাকতাম। ফলে যখন ডি এ মরিশন মিডল স্কুলে আমাদের গ্রাজুয়েশন সিরিমনি হয়, তখন আমাকে সেরা শিক্ষার্থী হিসেবে ‘ভ্যালেডিক্টোরিয়ান’ (Valedictorian) সম্মানে সম্মানীত করা হয়। পরবর্তীতে যখন আমি হাই স্কুলে যাই, তখন আমার এই কাজ কর্মের ধারাবাহিকতা আমি বজায় রাখি। সেখানেও আমি আমার সহপাঠীদের ভোটে ‘ভ্যালেডিক্টোরিয়ান’ সম্মানে সম্মানীত হই। ফলে ২০১৩ সালে যখন ড্যানফোর্থ কলেজিয়েট এন্ড টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট এ আমাদের গ্রাজুয়েশন সিরিমনি হয়। সেই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গ্রাজুয়েশন স্পীচ (Graduation Speech) দেবার জন্য আমাকে মনোনীত করা হয়। নিঃসন্দেহে, একজন শিক্ষার্থীর জন্য এমন এক মনোনয়ন খুবই সম্মানের। আমাকে সেই সম্মানে সম্মানীত করার জন্য আমি সব সময় আমার শিক্ষকমণ্ডলী এবং সহপাঠীদের প্রতি সব সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। হাই স্কুল গ্রাজুয়েশনের পর আমার মধ্যে প্রবলভাবে কাজ করে, আমি এমন কিছু কাজের সাথে নিজেকে জড়িত রাখবো, যাতে আমার আশে পাশের মানুষের আমি উপকারে আসতে পারি এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের পলিসি মেকিং এ কাজ করতে পারি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার সময় আমি বেছে নিই ‘পাবলিক পলিসি এন্ড সিটি স্টাডিজ’ বিষয়টি।
বাংলা কাগজ : ২০১৮ সালে ইউনিভার্সিটির ডিগ্রী নেবার পর কি আপনি চাকুরীতে যোগ দিয়েছিলেন।
তানভীর : সত্যি বলতে কি, আমি ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় থেকেই আমি বিভিন্ন ধরনের জব বা ভলান্টারী কাজের সাথে নিজেকে জড়িত রাখি। ২০১৫ সালে কানাডার ফেডারেল পার্লামেন্টে নির্বাচনে আমি যে এলাকায় বসবাস করি, সেই রাইডিং এর লিবারেল পার্টির প্রার্থী ন্যাথানিয়েল এরিস্কিন-স্মিথের পক্ষে একজন ভলান্টিয়ার হিসেবে প্রত্যক্ষভাব কাজ করি। সেই নির্বাচনে ন্যাথানিয়েল জয়ী হলে আমাকে তাঁর রাইডিং অফিসে পার্ট টাইম চাকুরীর প্রস্তাব দিলে সেটা আমি গ্রহণ করি। অতঃপর পার্ট টাইম জব করার সাথে সাথে আমি আমার ইউনিভার্সিটির পড়াশুনাটা শেষ করি।
এখন পর্যন্ত সেই অফিসেই কাজ করছি। এখন আমি সেখানে অর্থাৎ ইস্ট ইয়র্ক-বিচেস এর ‘রাইডিং ম্যানেজার’ হিসেবে ফুট টাইম কাজ করি।
বাংলা কাগজ : আপনিতো বিভিন্ন ধরনের ভলান্টারী কাজের সাথে নিজেকে যুক্ত করেছেন ছাত্রাবস্থায় থেকে। এ ধরনের কাজ করতে গিয়ে আপনার কী মনে হয়েছে? আর এসব কাজের জন্য কি কোন স্বীকৃতি পেয়েছেন?
তানভীর : আসলে কানাডায় ভলান্টারী কাজ একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এখানে সব শিক্ষার্থীই এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত থাকে। তবে সবাই হয়তো পুরোপুরি এ ধরনের কাজে মনোনিবেশ করতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি, কেউ যদি যথার্থ ডেডিকেশন এর সাথে এই কাজ করে, তবে সে সমাজ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। একজন ডেডিকেটেড ভলান্টিয়ার হাতে কলমে কাজ করতে পারে। সেই সাথে তার মধ্যে সমাজকে সূ²ভাবে দেখার বা সামাজিকরণের যে দক্ষতা গড়ে উঠে, সেটা ব্যক্তি মানুষ হিসেবে তার এই অর্জন খুবই মূল্যবান। আমি যেহেতু লিবারেল পার্টির একজন ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলাম, সে কারণে রাজনৈতিক সচেতনা আমার মধ্যে ভালোভাবে গড়ে উঠেছে। আমার বারবার মনে হয়েছে, একটি সমাজ এবং রাষ্ট্রকে সঠিকভাবে চালিত করার জন্য ভালো রাজনৈতিক নেতা বা কর্মী সবচেয়ে মুখ্য ভ‚মিকা পালন করতে পারে। আমার এই কয়েক বছরের কাজ আমার মধ্যে এক রাজনৈতিক জ্ঞান এনে দিয়েছে এবং আমি প্রতিনিয়ত উপলব্ধি করি, রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় আমি ধীরে ধীরে শাণিত হচ্ছি।
আমার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৯ সালে লোকাল লিবারেল এসোসিয়েশন আমাকে ‘ভলান্টিয়ার অব দ্য ইয়ার’ এর স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে লোকাল রোটারি ক্লাব আমার এই ভলান্টারী কাজের জন্য আমাকে একটা স্কলারশীপ দেয়। ওটার একটা আর্থিক মূল্য ছিল। স্কলারশীপটা ছিল ইয়ুথ লিডারশীপ প্রোগ্রামের। রোটারি ক্লাব অব ইস্ট ইয়র্ক সেই বছরে শুধু আমাকেই সেই স্কলারশীপটা দেয়। এটার মূল লক্ষ্য ছিল, আমার মধ্যে নেতৃত্বের যে ক্ষমতা ছিল, সেটা আরও বৃদ্ধি করা।
আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, তখন অন্টারিও’র প্রিমিয়ার ছিলেন ক্যাথলিন ওয়েন। সেই সময় সারা অন্টারিও থেকে ২৫ জন তরুণ নেতাকে মনোনীত করা হয়েছিল, যারা মূলত অন্টারিও’র তরুণদের মুখপাত্র হিসেবে প্রিমিয়ারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে কাজ করতো। অন্টারিও’র সেই ২৫ জন্য তরুণ নেতার মধ্যে আমি ছিলাম একজন। আমরা তখন বিভিন্ন মন্ত্রীদের সাথে কাজ করেছি, এবং অন্টারিও’র সকল তরুণের হয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণে অবদান রেখেছি।
বাংলা কাগজ : আপনিতো লিবারেল পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত। আপনি কি বর্তমানে লিবারেল পার্টির কোন দায়িত্বে আছেন?
তানভীর : আমি লিবারেল পার্টির স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করি। এর মধ্যে আমি লিবারেল পার্টির স্ক্যারবরো সাউথওয়েস্ট এর একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইস্ট ইয়র্ক-বিচেস লিবারেল এসোসিয়েশন এর একজন ডিরেক্টর।
বাংলা কাগজ : এই মুহূর্তে আপনি কি ধরনের কাজ করছেন?
তানভীর : আমি এখন ইস্ট ইয়র্ক-বিচেস এর পার্লামেন্ট সদস্য ন্যাথানিয়েল এরিস্কিন-স্মিথের রাইডিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছি। এই রাইডিং এ প্রায় এক লক্ষ দশ হাজার মানুষ বাস করেন। তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচী গ্রহণ করার সাথে সাথে সেগুলো বাস্তবায়নের কাজ করি।
বাংলা কাগজ : আপনাকে কি আমরা আগামীতে নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে দেখবো?
তানভীর : আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি, সুন্দর সমাজ ও দেশ গড়ার জন্য রাজনীতির কোন বিকল্প নেই। আমি অবশ্যই মানুষের মঙ্গলের জন্য সব সময় কাজ করে যাব। তবে রাজনীতির নির্বাচনে প্রার্থী হবার বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে দলের সিদ্ধান্তের উপর এবং এলাকার মানুষের পছন্দের উপর। আমার লিবারেল পার্ট যদি কখনও মনে করে, আমি নির্বাচনে প্রার্থী হবার যোগ্যতা ও দক্ষতা রাখি এবং আমার নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করা উচিৎ, তবে অবশ্যই নির্বাচন করবো।
বাংলা কাগজ : ‘বাংলা কাগজ’ এর পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ দিতে চাই, আমাকে সময় দেবার জন্য। নিশ্চয় আমরা আগামীতে আপনাকে নির্বাচনের মাঠে দেখবো। আপনার জীবন সুন্দর হোক।
তানভীর : আপনার প্রতিও আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আমার সাথে কথা বলার জন্য। ‘বাংলা কাগজ’ এর পাঠকদের প্রতিও রইল আমার গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।