অনলাইন ডেস্ক : প্রতারণার মামলায় ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।

এ ঘটনার পর আদানিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তিনি।

রাহুল বলেন, আদানির হয়ে আগাগোড়া তাঁবেদারি করে চলা ও দুর্নীতির সঙ্গী ভারতের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘সেবি’–এর প্রধান মাধবী পুরী বুচের বিরুদ্ধেও দ্রুত তদন্ত শুরু করা দরকার।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও গৌতম আদানি দু’জনেই দুর্নীতিগ্রস্ত। এখনই আদানিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। কিন্তু আদানিকে গ্রেফতারের ক্ষমতা মোদির নেই। কারণ, তিনি নিজেই রয়েছেন আদানির নিয়ন্ত্রণে।

রাহুল বলেন, নরেন্দ্র মোদিই আদানিকে সব সময় সুরক্ষা দিয়ে চলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি অফিস থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে গৌতম আদানিসহ অন্য কয়েকজনকে কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করা হয়। অভিযোগ, এক সৌর শক্তি প্রকল্প পেতে ভারতীয় সরকারি কর্তাদের তারা ২ হাজার ২৩৭ কোটি রুপি ঘুষ দিয়েছিলেন। প্রকল্পের বিনিয়োগকারী ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে তারা এই তথ্য গোপন করেছিলেন। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বন্ড মারফত লগ্নির চেষ্টা করেছিলেন। এবং সে সময় ঘুষের বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন।

গৌতম আদানি ছাড়াও ঘুষকাণ্ডে অভিযুক্ত হয়েছেন তার ভাইপো সাগর আদানি। আর আছেন আদানি গ্রিণ এনার্জি লিমিটেডের সিইও বিনীত জৈন, রঞ্জিত গুপ্ত, রুপেশ আগরওয়াল, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের নাগরিক সিরিল ক্যাবানেস, সৌরভ আগরওয়াল ও দীপক মালহোত্রা।

গৌতম আদানি ও সাগর আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকলিন ফেডারেল কোর্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

আদানির বিরুদ্ধে রাহুল অনেকদিন ধরেই দুর্নীতির অভিযোগ করে আসছেন। ভারতীয় সংসদেও তিনি বারবার মোদি–আদানি সম্পর্ক নিয়ে সরব হয়েছেন। বুধবার শেষ রাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই খবর আসার পর বৃহস্পতিবারই রাহুল কংগ্রেসের সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে, দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস