অনলাইন ডেস্ক : এ অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শ্রমবাজারভুক্ত দেশগুলোর ইস্যু করা এসব ভিসা বাতিল করবে, না-কি পুনরায় একই নামে ভিসা ইস্যু করে কর্মীদের যাওয়ার সুযোগ করে দিবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও ভিসার মেয়াদ বাড়বে বলে আশ্বাস দিচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ডিবিসি টিভি
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের আগে বিভিন্ন দেশে যাওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন ছিলো। বিএমইটির হিসেবে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ১ লাখ ৮১ হাজার ভিসা প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। যার মধ্যে ফ্লাইট বন্ধের কারণে বিএমইটির ছাড়পত্র নিয়েও অনেকে যেতে পারেননি।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি- বায়রা বলছে, সদস্যভুক্ত এজেন্সিগুলোর দেয়া তথ্য অনুসারে এই সংখ্যা ১ লাখের বেশি। যারা এরই মধ্যে বিদেশগামী কর্মীদের নিবন্ধন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, মেডিক্যাল ও টিকেট সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়ায় টাকা খরচ করে ফেলেছেন।
বায়রার নিবন্ধিত ১ হাজার ৬০০ এজেন্সির মধ্যে ৩১৩টি রিক্রুটিং এজেন্সির তথ্য অনুযায়ি ৮০ হাজার ভিসার তথ্য পাওয়া গেছে। এদের কেউই মার্চে ফ্লাইট বন্ধের পর আর বিদেশ যেতে পারেননি। তাদের মধ্যে- ভিসা স্ট্যাম্পের জন্য অপেক্ষমান- ২৯ হাজার ৯২৮ জন, ভিসা স্ট্যাম্পিং সম্পন্ন ১৫ হাজার ৫৪৪ জন, ভিসা বাতিল হয়েছে ২ হাজার ২৭০ জনের, জনশক্তি ছাড়পত্র পেয়েছে ২০ হাজার ৪৪৯ জন, ফ্লাইট বাতিল ৩ হাজার ৩৪ জনের, অনান্য সমস্যায় ৪ হাজার ৭৩৫ জনের ভিসা বাতিল হয়েছে।
এ অবস্থায় বিদেশ যেতে না পারলে ক্ষতির মুখে পড়বে কর্মীরা। তবে ভিসার মেয়াদ বাড়বে বলে দূতাবাস মাধ্যমে আশ্বাস দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এদিকে, করোনায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে ফিরেছে কয়েক হাজার অভিবাসী কর্মী।