অনলাইন ডেস্ক : মেয়েকে দিন দিন সুন্দর হতে দেখে সন্দেহ হয় বাবার। তিনি খেয়াল করে দেখেন, বাবা-মা কারও সঙ্গেই মেয়ের চেহারার মিল নেই। পরে গোপনে ডিএনএ টেস্ট করে নিশ্চিত হন যে, ওই মেয়ের বাবা তিনি নন। এরপর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটে। ভিয়েতনামের হো চি মিন শহরে ঘটেছে এ ঘটনা।

তবে ঘটনার শেষ এখানেই নয়। স্বামীর এই অভিযোগ অস্বীকার করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান মেয়ের মা। তার নাম হং ও মেয়ের নাম ল্যাং। বাবার নাম প্রকাশ করা হয়নি। শহর ছেড়ে মেয়েকে নতুন স্কুলে ভর্তি করেন হ্যাং। কিন্তু সেখানে আরও চমক অপেক্ষা করছিল তার জন্য।

সেই স্কুলে নতুন এক মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ল্যাংয়ের। তাদের দুজনের জন্মসাল ও দিনও এক ছিল। তাই বন্ধুত্বও হয় গাঢ়। জন্মদিনে দুজনের জন্য অনুষ্ঠান করেন মেয়ের মা। আর সেখানেই ল্যাংকে দেখে বিস্মিত হয়ে যান তিনি। একদম নিজের কিশোর বয়সের ছাপ দেখতে পান ল্যাংয়ের মাঝে। পরে তিনি ল্যাংয়ের মার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং জন্ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান।

আলোচনায় বেরিয়ে আসে যে, দুজন মেয়েই একই সময়ে একই হাসপাতালে জন্ম নেয়। নার্সদের ভুলে তারা ভুল বাবা-মার কাছে পৌঁছায় আর সেখানেই বড় হতে থাকে। বিষয়টি জানার পর ল্যাংয়ের বাবাও আবার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেন।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন দুই পরিবারই একসঙ্গে সময় কাটায়। তবে মেয়েদের বিষয়টি জানাননি তারা। উপযুক্ত সময়ে সবকিছু জানানোর পরিকল্পনা তাদের।