অনলাইন ডেস্ক : শেষ ইচ্ছে পূরণ হলো না জালাল সরকারের। মৃত্যুর আগে দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। গত ২৬ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় ছিলেন। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে সেদেশের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন জালাল সরকার। এ সময়ে তার পাশে ছিলেন না স্বজনেরা। তার বড় ইচ্ছে ছিল দেশে ফেরার। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় দেশেও ফিরতে পারেননি। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের উদ্যোগে কয়েকটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালিত হলেও সেই ফ্লাইটে ফেরার সুযোগ পাননি তিনি। গত তিন মাস ধরে মানবেতর দিন কাটাচ্ছিলেন ৫৬ বছর বয়সী জালাল। অবশেষে শুক্রবার (১৭ জুলাই) মালয়েশিয়াতেই মারা গেলেন তিনি।

জালাল সরকারের ছেলে আনিসুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার সকালে বাবা মালয়েশিয়ায় মারা গেছেন।’ কুমিল্লার দাউকান্দিতে জালালের পরিবার এখন তার লাশ ফেরানোর অপেক্ষা করছেন।

গত ৪ জুলাই আলাপে দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছিলেন জালাল সরকার। বারবার বলেছিলেন ‘মরার আগে দেশে ফিরতে পারবো তো’। দেশে ফেরার কথা বলতে বলতে কাঁদতে থাকেন। সে দিন জালাল সরকার বলেছিলেন, ‘মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে কিছু বিশেষ ফ্লাইট গেলেও সেই ফ্লাইটে দেশে আসার সুযোগ পাইনি। দেশে ফেরার অধিকারও কি প্রবাসীদের নেই। মরার আগে দেশে ফিরতে পারবো তো! মৃত্যুর জন্য দিন গুনছি। বেঁচে থাকতে যেহেতু দেশে নিচ্ছে না, তাহলে আমার লাশ দেশে নেবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, মানবিক দৃষ্টিতে আমাকে দেশে ফেরার সুযোগ করে দিন।’