স্পোর্টস ডেস্ক : ছাত্র নয়, এমন অনেক মানুষই প্রেমে পড়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার খাবারের। কী নেই সেখানে। ভাত থেকে শুরু করে শত রকমের ভর্তা। স্বাদ ও দাম দুটিই অনন্য। দেশের এই অপরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দোকানগুলো ভালোবাসার অংশ। জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের জন্যও তা ব্যতিক্রম নয়। এখনকার একজন মেধাবী ছাত্র তিনি। সবার মতো মুশফিকের কাছেও তার ক্যাম্পাসের দোকানগুলো খুব আপন।

তবে করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩ মাস ধরে বন্ধ। ছাত্র-ছাত্রীরা সবাই নিজ নিজ বাড়িতে। যে কারণে এসব দোকানে কাজ করা পরিবার ও মালিকদের জীবিকা বন্ধ। কষ্টে দিন পার করছে তারা। এমন সংবাদ পেয়ে চুপ করে থাকতে পারেননি মুশফিক। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রত্যেক দোকানিকে দিবেন তার ভালোবাসার উপহার। প্রায় ২০০ জনকে এক মাসের খাদ্য সহায়তা দিবেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’। বিষয়টি দৈনিক মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশনের উপপরিচালক ও ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, মুশফিক আমাদের জানিয়েছেন দোকানিদের তালিকা তৈরি করতে। বটতলা ছাড়াও গোটা ক্যাম্পাসের সব দোকানের তালিকা তৈরি করছি। মুশফিককে আমরা ধন্যবাদ জানাই এমন কাজের জন্য। করোনার এই ভয়াবহ বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সে শুধু মেধাবী ছাত্রই নয়, সবার ভালোবাসার একজন। আগেও এই ক্যাম্পাসে অনেক মানবিক কাজে অংশ নিয়েছে সে।’

ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা ছাড়াও প্রায় সব দোকান মালিক ও কর্মচারীদের অবস্থা বেশ নাজুক। জানা গেছে মুশফিককে তার অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গে মুশফিক সিদ্ধান্ত নেন তাদের জন্য কিছু করার। জানা গেছে আগামী সপ্তাহে দুর্গতদের জন্য উপহার দেয়া শুরু হবে মুশফিকের পক্ষ থেকে। দেশসেরা উইকটকিপার-ব্যাটসম্যান করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাধ্যমত। এর আগে দেশের হয়ে টেস্টে তার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাটটিও নিলামে তোলেন মুশফিক। ১৭ লাখ টাকায় সেই ব্যাট কিনে নেন পাকিস্তানের ক্রিকেট তারকা শহীদ আফ্রিদি। যার পুরো টাকাই মুশফিক ব্যয় করছেন করোনা প্রাদুর্ভাবে অসহায় মানুষের জন্য।