Home আন্তর্জাতিক মুখোমুখি বসছেন বাইডেন-শি জিনপিং

মুখোমুখি বসছেন বাইডেন-শি জিনপিং

অনলাইন ডেস্ক : বাণিজ্যযুদ্ধ এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মধ্যে সোমবার মুখোমুখি আলোচনায় বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দুই নেতার এই বৈঠকে সহযোগিতার কোনো ক্ষেত্র বেরিয়ে আসে, নাকি তাতে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধ আরো দৃঢ় হয়, সেদিকে তাকিয়ে আছে এখন বিশ্ব। শুক্রবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন পসাকি বলেছেন, সোমবার সন্ধ্যায় সাক্ষাতে মিলিত হবেন বাইডেন এবং শি। বৈঠকটি হবে ভার্চু্যুয়াল। এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা আছে তার ব্যবস্থাপনা নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করবেন। যেসব ক্ষেত্রে আমাদের স্বার্থ আছে সেসব ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার পন্থা নিয়েও তারা আলোচনা করবেন। পুরো আলোচনায় চীনের কাছে প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ও অগ্রাধিকার পরিষ্কার করে তুলে ধরবেন। এ সময়ে আমাদের উদ্বেগের বিষয়েও তুলে ধরবেন বাইডেন।

গ্লাসগোতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্র বিরলভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমিয়ে আনতে একমত হয়েছে। তারপরই এই বৈঠক হতে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ওই চুক্তি বুধবার ঘোষণা করা হয়। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির গাইডলাইন্স অনুসরণ করে এই চুক্তি করা হয়েছে। এতে কার্বন ও মিথেন নির্গমন কমিয়ে আনা এবং বন উজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে দৃঢ় পদক্ষেপের অঙ্গীকার করা হয়েছে।
কয়েক বছরে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের কর্মকা-ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে হংকং, সিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও তাইওয়ান ইস্যুতে এমন উদ্বেগ ও উত্তেজনা তুঙ্গে।

পরস্পরবিরোধী অবস্থানে থাকলেও দুই দেশ অক্টোবরে সম্পর্ক উন্নয়নে আলোচনা শুরু করেছে। ওই সময়েই কর্মকর্তারা ঘোষণা দেন যে, শি জিনপিং এবং জো বাইডেনের মধ্যে এ বছর শেষ হওয়ার আগেই একটি ভার্চ্যুয়াল বৈঠক হবে। সেই বৈঠক দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় হতে যাচ্ছে। এ সময় দুই নেতা কোভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তন, পারমাণবিক অস্ত্র এবং চীনের সামরিক প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন বলে ওয়াশিংটন থেকে জানিয়েছেন আল জাজিরার সাংবাদিক অ্যালান ফিশার। তিনি বলেন, অনেক বিষয়ে মুখোমুখি হতে হবে এই দুই নেতাকে। তারা কি একদিনের বৈঠকে এসব সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হবেন? নিজেই প্রশ্ন রেখে ফিশার বলেন, সম্ভবত না। তবে তারা যদি ন্যূনতম সহযোগিতা দেখাতে পারেন, যেমন রপ্তানি এবং ভিসা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তাহলে এই বৈঠককে সফল বলে ধরে নেয়া হবে।

Exit mobile version