Home আন্তর্জাতিক মার্কিন মদে ১৫০ শতাংশ করারোপ ভারতের

মার্কিন মদে ১৫০ শতাংশ করারোপ ভারতের

অনলাইন ডেস্ক : ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ কর আরোপে ট্রাম্প প্রশাসনকে কড়া জবাব দিলেন মোদি। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে, মার্কিন মদের ওপর ১৫০ শতাংশ করা আরোপ করেছে দিল্লি।

ভারতের শুল্ক আরোপ নিয়ে আগেও একাধিকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। বার বার তিনি বলেছেন, আমেরিকার কাছ থেকে বড্ড বেশি কর নেয় ভারত। নয়াদিল্লির ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ভারতের শুল্কনীতি নিয়ে আবার অসন্তোষ প্রকাশ করল আমেরিকা। মার্কিন মদের ওপর ভারত ১৫০ শতাংশ কর নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট।

এই চড়া শুল্কের কারণে ভারতের বাজারে মার্কিন মদের ব্যবসা করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, আমেরিকার কৃষি পণ্যের ওপরও ভারত বেশি শুল্ক নিয়ে থাকে।

পাশাপাশি আরো দুই দেশের শুল্ক নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্যারোলিন। শুল্কের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে নীতি নিয়েছেন, তা কতটা যথাযথ, ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ক্যারোলিন জানান, ভারতসহ একাধিক দেশ আমেরিকান পণ্যের উপর অত্যধিক শুল্ক নিয়ে থাকে। এত দিনে আমেরিকা এমন এক প্রেসিডেন্টকে পেয়েছে, যিনি আমেরিকানদের স্বার্থ সুরক্ষিত করছেন।

মার্কিন প্রেস সচিব বলেন, অনেক দেশ আমেরিকার পণ্যে চড়া শুল্ক নেয়। ভারতকেই দেখুন। আমেরিকার মদে ১৫০ শতাংশ শুল্ক নেয় ওরা! মার্কিন কোম্পানিগুলো এর ফলে ভারতের বাজারে মদ বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছে।

আমেরিকার কৃষি পণ্যের ওপর ভারত ১০০ শতাংশ কর নেয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। ক্যারোলিন মূলত আমেরিকার প্রতিবেশী কানাডার শুল্ক নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছিলেন।

তিনি জানান, বছরের পর বছর ধরে ‘সাংঘাতিক হারে’ শুল্ক নিয়ে নিয়ে আমেরিকা এবং সেখানকার মানুষদের শুষে নিয়েছে কানাডা। তার মতে, কানাডা যুগ যুগ ধরে আমেরিকা এবং তার পরিশ্রমী নাগরিকদের শুষে চলেছে।

এখন আমাদের প্রেসিডেন্ট এর জবাব দিচ্ছেন। কানাডা যে হারে আমেরিকার পণ্যের ওপর শুল্ক চাপিয়ে রেখেছে, তা জঘন্য। মার্কিন মাখন এবং চিজের ওপর ওরা ৩০০ শতাংশ শুল্ক নেয়।

এর পরেই ভারত এবং জাপানের শুল্কের প্রসঙ্গ তোলেন ক্যারোলিন। বলেন, জাপানকে দেখুন। চালের ওপরও ৭০০ শতাংশ কর চাপিয়েছে! প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পারস্পরিক নীতিতে বিশ্বাস করেন। উনি আমেরিকান ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকদের স্বার্থের কথা ভাবেন।

বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যে ভারসাম্য আনতে চান ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, কানাডা আমাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে ভালো ব্যবহার করছে না।

 

Exit mobile version