অনলাইন ডেস্ক : মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর কারসাজিতেই অস্থির হয়ে উঠেছিলো ডলারের বাজার। এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা। এরই মধ্যে কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিতের কাজও শুরু করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তার মতে, ১২৮ টাকা পর্যন্ত ডলারের দর ওঠার পেছনে কারও অনৈতিক দায় থাকলে, নেয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় ১২৩ টাকার ওপরে ডলার কিনছে না বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।

অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরের মাস তিনেক ১২০ থেকে ১২২ টাকার মধ্যে মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল ডলারের বাজার। এই সময়ে প্রায় পৌনে তিন বিলিয়নের দায়-দেনা মাত্র ৪শ মিলিয়নে নিয়ে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে স্বস্তির এই পালে নতুন করে অস্বস্তির হাওয়া লাগে ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে। কোনো কারণ ছাড়াই খোলা বাজারে যা উঠে যায় ১২৮ টাকা পর্যন্ত।

অথচ গেলো ছয় মাসের তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, আরও স্থিতিশীল হওয়ার কথা বিদেশি এই মুদ্রার বাজার। কেননা জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিমাসে গড়ে রপ্তানি আয় এসেছে ৪ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। সেই সাথে রেমিট্যান্স প্রবাহও ছিল সোয়া দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি। অর্থাৎ এই দুই খাত থেকে গড় আয় ছিল প্রায় ৭ বিলিয়ন করে। বিপরীতে একই সময়ে আমদানি নিষ্পত্তি হয় গড়ে ৫ বিলিয়ন হারে। সে হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার কথা বড় একটা অংশ। তারপরও কেনো এই অস্থিরতা?

অবস্থা অনুকূলে আনতে, ডলার কেনার ক্ষেত্রে মৌখিক নির্দেশনা দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সে অনুযায়ী, এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে ক্রয়মূল্য সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা। আর এই সিদ্ধান্তের পর কিছুটা দাম কমে খোলা বাজারে। অন্যদিকে দাম বৃদ্ধির পেছনে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের কারসাজির কথাও বলছেন কেউ কেউ। যেগুলোর বিরুদ্ধে নেয়া হতে পারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও।

ডলারের দর নির্ধারণ ও বাজারমুখী করতে ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে নতুন ব্যবস্থা।