সোনা কান্তি বড়ুয়া : জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক। আমার আত্মজীবনীমূলক রচনায় আমি নিঃসঙ্গ পথিক! আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাবলী আমি আমার লিখিত ESSAYS & গ্রন্থাবলীতে আমার সমস্ত আবেগ ও অনুভ‚তি দিয়ে সাজিয়েছি। মানবতার চিৎকার শুনতে কি পাও’? ‘আমি-যে দেখেছি প্রতিকারহীন শক্তের অপরাধে / বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে!”
শিক্ষার পণ্যায়নের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ১৩০ বছর পূর্বে বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের ভাষায়, ‘‘শিক্ষক দোকানদার, বিদ্যাদান তাহার ব্যবসা। তিনি খরিদ্দারের সন্ধানে ফেরেন। ব্যবসাদারের কাছ থেকে লোক বস্তু কিনতে পারে, কিন্তু তাহার পণ্য তালিকার মধ্যে স্নেহ, শ্রদ্ধা, নিষ্ঠা প্রভৃতি হৃদয়ের সামগ্রী থাকিবে এমন কোনো প্রত্যাশা করিতে পারে না। এই প্রত্যাশা অনুসারেই শিক্ষক বেতন গ্রহণ করেন ও বিদ্যাবস্তু বিক্রয় করেন। এখানে ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষক ও জ্ঞান অনুশীলনের সমস্ত সম্পর্ক শেষ।’
বাংলাদেশে ফেসবুকে মানবতায় ঢুকেছে স্বার্থ আর অহং বোধের নির্লজ্জতা! চার পা বিশিষ্ট শিয়ালের হাঁক ডাক শোনতাম সন্ধ্যা বেলায়, এক শিয়াল ডাক দিলে ক্রমান্বয়ে অনেক শিয়াল জড়ো হত আর হাক্কা হোয়া করত। বন জঙ্গল হারাচ্ছে, ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে শিয়ালের বংশধর। তাতে কি? বনের শিয়ালের অভাব গুচাচ্ছে দুপা বিশিষ্ট শিয়াল তবে তাদের স্থান বনে জঙ্গলে নয় ফেসবুকে। এ শিয়ালগুলো এতোই একতাবদ্ধ যে তারা সব সময় কান খাড়া করে রাখে কখন ডাক পড়বে আর সবাই মিলে হাক্কা হোয়া করে চিৎকার করে গলা ফাটাবে। স্বার্থ আর অহংবোধে তারা এতোই অন্ধ যে, নিজেদের পদ পদবী ভুলে গিয়ে যেখানে সেখানে হাক্কা হোয়া করতে থাকে তাতে যে তারা হেয় হচ্ছে তারও ধার ধারে না। আবার মাঝে মাঝে দেখি বাইরের কুত্তাও যোগ দেয়। শিয়াল কুকুর এক সাথে ডাকে, ডাকতে ডাকতে গলা দিয়ে বমি করে সেই বমি আবার নিজেরা খায়।
আজ জাতীয় অধ্যাপক আবু সাঈদ স্যারের বক্তব্যের চুম্বক অংশ বড়ই প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে। তিনি বলেছেন…. প্রকৃত জ্ঞানী আর শিক্ষিতরা আজ বড়ই নিঃসঙ্গ ও একা কারণ তাদের সম্মান হানির ভয় আছে , স্বার্থবাদী আর মূর্খরা মূর্খরা একতাবদ্ধ কারণ তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য একতাবদ্ধ হওয়ার দরকার আছে। জয় শিয়ালের জয়। প্রকৃত জ্ঞানীরা আজ বড়ই নিঃসঙ্গ ও একা!“
বিশেষ করে ইন্টারনেটের আবিষ্কার প্রযুক্তি এখন পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষের সঙ্গে অপর প্রান্তের চির অপরিচিত মানুষের মেলবন্ধন ঘটিয়েছে এবং তাদের পরস্পরের মাঝে গড়ে তুলেছে গভীর সখ্য; তথ্য আদান-প্রদান থেকে শুরু করে বহু কিছুই; যেটি একসময় আমাদের কল্পনায়ও ছিল না; বস্তুজগতের এমন প্রায় সব কিছুর আদান-প্রদানই সম্ভব ও বাস্তব করে তুলেছে এই তথ্যপ্রযুক্তি; অল্প সময়ের ভেতর শুধু নয়; অল্পমূল্যেও; এমনকি ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার সাধ্যের মধ্যেই। বিশেষ করে ইন্টারনেটের আবিষ্কার বিশ্বের প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের সামনে প্রযুক্তির এক আশ্চর্য দুয়ার উন্মোচন করে দিয়েছে; বিপুল জনবহুল এই পৃথিবীকে পরিণত করেছে এক বিশ্বগ্রামে; মানুষ দূরতিক্রম্য দূরত্বকে জয় করতে সক্ষম হয়েছে; ঘরে বসে বাইরের বিশ্বকে এখন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে এই বিস্ময়কর প্রযুক্তির কল্যাণে।
বাংলাদেশে অধ্যাপককে পিটিয়ে নিয়োগে স্বাক্ষর নিলেন (SAMAKAL 6 MAY 2023) চেয়ারম্যান পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ না করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছেন খুলনার কয়রা উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যান। এমনকি নির্যাতনের পর আটকে রেখে নিয়োগের সুপারিশে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত জবির ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এখন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা যায়, শুক্রবার কয়রা উপজেলার উত্তরচক কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগে শিক্ষক প্রতিনিধি ছিলেন এই অধ্যাপক। মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ওই অধ্যাপককে তাঁর বাড়িতে আটকে রেখে মারধরের পর এ কাজ করতে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ ওই শিক্ষকের (SAMAKAL 6 MAY 2023)।
ড. অর্থদর্শী বড়ুয়ার (অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, খুলশী চট্টগ্রাম) ভাষায়, শীলঘাটা গ্রামের কৃতি সন্তান লেখক, গবেষক, ধর্ম দর্শন ও ইতিহাস বিষয়ে অত্যন্ত প্রাজ্ঞ, বিশ্ব বৌদ্ধ সৌভ্রাতৃত্ব সংঘ (WFB) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রাক্তন লাইব্রেরিয়ান ও সহসাধারণ সম্পাদক বর্তমান কানাডা প্রবাসী শ্রদ্ধেয় দাদা সোনা কান্তি বড়ুয়ার সহধর্মিণী বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী মিসেস যুথিকা বড়ুয়া ভারতের কলকাতার বাটানগর (বাপের বাড়িতে) বেড়াতে এসে গতকাল পরপারগত হন। সাথে তাঁর বড় মেয়ে ইন্দিরা বড়ুয়া ও ভ্রমণ এসেছিলেন। বৌদির আকস্মিক প্রয়াণ সংবাদ শুনে আমি গভীরভাবে শোকাহত । পুণ্য দানে বৌদির পারলৌকিক সদগতি ও শান্তি কামনা করছি। দাদা সোনা কান্তি বড়ুয়াসহ পরিবারের কলের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। উল্লেখ যে শ্রদ্ধেয় সোনা কান্তি বড়ুয়া স্বদেশ ভ্রমণ আসলে আমার অনুপ্রেরণায় আমাদের নির্মাণাধীন বিহারের জন্য একলক্ষ টাকা এবং সাতকানিয়া লোহাগাড়া বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদে এককালীন ২৫০০০/- টাকা দান দিয়ে মাতাপিতার নামে স্মৃতি বৃত্তি প্রদান করে পৃষ্ঠপোষক পদ অলংকৃত করেন। সূদুর বিদেশে অবস্থান করলেও মাতৃভ‚মির প্রতি তাঁর অপরিমেয় আকর্ষণ থাকায় প্রায়শই তিনি স্বদেশের খবরাখবর খোঁজ নিয়ে থাকেন।তাঁর লিখিত গ্রন্থাবলী পণ্ডিত মহলে সমাদৃত। “রবীন্দ্রনাথের বুদ্ধ বন্দনায় বাংলা ও ভারতীয় ভাষার জনক” PRE- VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM AND MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE. বৌদ্ধ বিশ্বে বহুল প্রচারিত।”
সকেেলর মধ্যে পাপ ও অকুশলের প্রতি লজ্জা, ভয়,ও ঘৃণা উৎপন্ন হোক।আসুন আমরা পাপীকে ঘৃণা করবো না। বরং নিরন্তর সম্যক জ্ঞানে সর্বপ্রকার অকুশল কর্মকে ঘৃণা করে, আলোকিত মানুষ হয়ে আত্মদীপ ও ধর্মদীপ হয়ে বিহার! বিঃ দ্রঃ- কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে আমার এ লেখা নয়। শুধুমাত্র সমকালীন সময়ের প্রেক্ষাপটে এ লেখা। যদি কাকতালীয়ভাবে কারও চলমান জীবনের সাথে মিলে যায়, তৎজন্য ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি কামনা করছি। সমাজ পরিবর্তনে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সুকুমার মনোবৃত্তির প্রত্যাশায় এ লেখা।
এবার আসি মূল প্রসঙ্গে! সোনা কান্তি বড়ুয়াকে নিচে ফেলা সনদ বড়ুয়ার আক্রোশ! যুথিকা বড়ুয়ার মৃত্যুতে নির্লজ্জ সনদ বড়ুয়ার PUBLIC MONEY (Donation টাকা-পয়সা) COLLECTION কেন? সনদ বড়ুয়ার পাপে নির্লজ্জতা ও অসংকোচ! সনদ বড়ুয়া সোনা কান্তি বড়ুয়ার ক্লেশমার শত্রু! আমি-যে দেখেছি গোপন হিংসা কপট রাত্রিছায়ে / হেনেছে নিঃসহায়ে, / আমি-যে দেখেছি প্রতিকারহীন শক্তের অপরাধে / বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে! সোনা কান্তি বড়ুয়ার বিরুদ্ধে সনদ বড়ুয়ার ক্রোধ ও শত্রুতা, নির্লজ্জতা ও অসংকোচ নীতি অসংখ্য ষড়যন্ত্র করে চলেছে। মনস্তত্বের দৃশ্যকাব্যের মতো সনদ বড়ুয়ার জীবন নদী স্থির নয়, সদা অনিত্য পরিবেশে চল ও চলমান।
বিশ্বপ্রবাহের নির্মমতা আজ যুথিকা বড়ুয়ার মৃত্যুতে নির্লজ্জ সনদ বড়ুয়ার নির্লজ্জতা ও অসংকোচ, ক্রোধ ও শত্রুতা, সোনা কান্তি বড়ুয়াকে নিচে ফেলা ও আক্রোশ, ঈর্ষা ও কৃপণতা, মায়া ও শঠতা, একগুঁয়েমি ও হঠকারীতা, মান ও অহংকার, মত্ততা ও প্রমত্ততা সনদ বড়ুয়া কে কাঁধে চাপড়িয়ে একবিংশ শতাব্দীর মহাকালের মোহনায় দাঁড় করায়। প্রাজ্ঞ ব্যক্তিত্ববিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী মিসেস যুথিকা বড়ুয়ার মৃত্যুতে সোনা কান্তি বড়ুয়ার কত শোকদহন!
সনদ বড়ুয়ার পাপেনির্লজ্জতা ও অসংকোচ, ক্রোধ ও শত্রুতা, অন্যকে নিচে ফেলা ও আক্রোশ, ঈর্ষা ও কৃপণতা, মায়া ও শঠতা, একগুঁয়েমি ও হঠকারীতা, মান ও অহংকার, মত্ততা ও প্রমত্ততা, তৃষ্ণা ও অবিদ্যা; তিন প্রকার অকুশল মূল, তিন প্রকার দুশ্চরিত্রতা, এভাবে তিন প্রকার করে কলুষতা, মল, বিসম সংজ্ঞা, বিতর্ক, ও প্রপঞ্চ; চার প্রকার বিপরীত অন্বেষণ, আস, গ্রন্থি, প্লাবন (IN), সংযোগ (যোগ), অগতি, তৃষ্ণা থেকে উপাদান; পাঁচটি চিত্তের অকর্মণ্যতা (চেতোখিল), বন্ধন, নীবরণ!
Lt ADAARSHA KUMAR বড়ুয়ার ভাষায়, শীলঘাটা গ্রামের কৃতি সন্তান লেখক, গবেষক, ধর্ম দর্শন ও ইতিহাস বিষয়ে অত্যন্ত প্রাজ্ঞ, বিশ্ব বৌদ্ধ সৌভ্রাতৃত্ব সংঘ (WFB) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রাক্তন লাইব্রেরিয়ান ও সহসাধারণ সম্পাদক বর্তমান কানাডা প্রবাসী বন্ধুবর সোনা কান্তি বড়ুয়ার সহধর্মিণী বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী মিসেস যুথিকা বড়ুয়া ভারতের কলকাতার বাটানগর (বাপের বাড়িতে) বেড়াতে এসে গতকাল পরলোক গমন করেন।সকলের পুণ্য দান কামনা করছি।”
Mr. SANATH বড়ুয়ার ভাষায়, “সুপ্রিয় বন্ধুরা, আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে, টরোন্টোর বাংলাদেশী কমুনিটির অতি জনপ্রিয় শিল্পী মিসেস জ্যুতিকা বড়ুয়া, কলকাতায় অকাল মৃত্যু বরণ করেন। তিনি একজন কানাডিয়ান নাগরিক। তাঁর মৃতদেহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা টরোন্টোতে নিয়ে আসার ব্যাপারে আপনাদের সাহায্য পার্থনা করছেন। জ্যোতিকা বৌদি বিগত ২৫ বছর যাবৎ তাঁর সুরের জাদু দিয়ে আমাদের কমিউনিটি সেবা করেছেন। ঈদ হোক, পূজা হোক, খ্রীষ্টমাস বা বুদ্ধ পূর্ণিমা হোক যাঁরাই উনাকে ডেকেছেন উনি কখনো অনুরোধ উপেক্ষা করেন নাই। অনেক সময় আমরা উনার সঠিক পারিশ্রমিক দিতে পারি নাই।
ইউটিউব; সেটি আজ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে ডেভিলস ব্রিদের চেয়েও ভয়ানক, তীব্র আর মারাত্মক এক নেশা; আর এই মারাত্মক নেশায় আসক্ত হয়ে আমরা হয়ে পড়েছি এক কাল্পনিক জগতের বাসিন্দা। পৃথিবীর সব প্রান্তের মানুষে মানুষে মেলবন্ধন ঘটানোর লক্ষ্যে অভ‚তপূর্ব যোগাযোগ স্থাপনসহ তথ্য আদানপ্রদান ও অন্যান্য আনন্দ-বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে যে ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম; বিশেষ করে বহুলব্যবহৃত ফেসবুক ও ফেসবুক আজ বিপথগামী হয়ে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়েছে।
মোবাইলের নেশাতুর রঙিন পর্দায়; তরুণ-তরুণীরা পড়াশোনার বদলে উদ্দীপ্ত হয়ে উঠছে অবাধ যৌনতার হাতছানিতে; এমনকি বিবাহিত-অবিবাহিত পুরুষ-রমণীরা লিপ্ত হয়ে পড়ছে পরকীয়া নামক অনিয়ন্ত্রিত ও সামাজিকভাবে অস্বীকৃত এক অসুস্থ সম্পর্কে; ফলত বহু দম্পতির মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে পারস্পরিক সন্দেহ ও অবিশ্বাস এবং দাম্পত্য কলহ; স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্ততির সুন্দর ভবিষ্যৎ হারিয়ে যাচ্ছে গভীর অন্ধকারে; আর প্রযুক্তির এই নেতিবাচকতার প্রবল প্লাবনে আমরা হারিয়ে ফেলছি আমাদের স্বপ্নের ভবিষ্যৎ।
এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের পরস্পরের সঙ্গে পরস্পরকে যুক্ত করে দিয়েছে ঠিকই; কিন্তু‘ তার চেয়েও যেন অধিকতরভাবে আমরা পরস্পরের থেকে বিযুক্ত হয়ে পড়েছি ধীরে ধীরে এবং আশ্চর্যজনকভাবে নিজেদের অজান্তেই; আমরা হয়ে পড়েছি আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থপর। লক্ষ্য করলে দেখবেন, দশজন কিশোর-কিশোরী কিংবা দশজন তরণ-তরুণী একসঙ্গে বসে আছে এক চমৎকার রোদেলা বিকালে; কিন্তু কোনো কথা নেই তাদের পরস্পর-পরস্পরের সঙ্গে; কোনো গল্প নেই তাদের পরস্পরের ভেতরে; তারুণ্যের কোনো উচ্ছ¡াস নেই; হাসি-আনন্দ কিছুই নেই; তবে যা আছে তার সব তারা ঢেলে দিয়েছে!
সবার হাতেহাতে দামি মোবাইল ফোন আর তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ সেই মহামূল্যবান বস্তুটিতে; তারা একসঙ্গে থেকেও বড্ড একা আর নিঃসঙ্গ ভেতরে ভেতরে! এক ভোগসর্বস্ব প্রজন্ম বোধহীন আর স্বপ্নহীনভাবে বেড়ে উঠছে দিনে দিনে; তারা তো ভবিষ্যতের বোঝা ছাড়া আর কিছু নয়! ফেসবুক কিংবা ইউটিউবের কন্টেন্টে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় কোমলমতি কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে যে কোনো বয়সের নারী-পুরুষের মোবাইল কিংবা টিভির পর্দায় চলে আসছে অনাকাক্সিক্ষত আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ; যা দর্শন করে অনেক কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী ফেসবুক আজ বিপথগামী হয়ে পড়ছে।
তাই জ্ঞানের বাহন হিসেবে চলমান শিক্ষা ব্যবস্থা বা পদ্ধতি জ্ঞানচর্চা ও বিস্তারের কতটুকু সহায়ক তা যুগ চিন্তক এবং ঐতিহাসিকগণই বিচার করবেন। সময়ের প্রক্রিয়ায় জীবনমান ও প্রকৃতির বহুমাত্রিক আচরণের মধ্য দিয়ে জ্ঞানের বহুমাত্রিকতা যোগ হয়েছে। জ্ঞানের শাখা প্রশাখার নানা মাত্রিক কৌশল আজ বিশ্বসমাজকে নিয়ন্ত্রণ করলেও সমাজবিজ্ঞানীরা জ্ঞান আহরণের দুটি মাধ্যমকে চিহ্নিত করেছেন। এর একটি হলো এক্সপ্লিসিট নলেজ (Expilicit Knowledge), যাকে বাংলা স্পষ্ট জ্ঞাপন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
অর্থাৎ যে জ্ঞান বইপত্রে পরিষ্কারভাবে বর্ণিত, সুব্যক্ত, স্পষ্টভাষিত সেটি এক্সপ্লিসিট নলেজ; যা পড়াশোনার মাধ্যমে অর্জন করা যায় এবং সহজেই হস্তান্তর বা স্থানান্তর করা যায় বা একজন অন্যজনকে দান করতে পারেন। দ্বিতীয়টি Tacit Knowledge। এটি স্বচ্ছ জ্ঞান, যা মানুষের মনে অনুবিদ্ধ বা খচিত। এটি জীবনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে অর্জিত। স্বচ্ছ জ্ঞান অন্তর্গত বিধায় অন্তদৃষ্টিতে অনুধাবন বা বুঝতে হয়। যা প্রকাশ বা ট্রান্সফার করা কষ্টকর।
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages)
সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!