অনলাইন ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গায় বিয়ে বাড়িতে মাংস বেশি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বরপক্ষ ও কনেপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আর এই সংঘর্ষের জের ধরে নববধূকে তালাক দেওয়া হয়েছে। গত রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার বদরগঞ্জ দশমিপাড়ায় এ ঘটনার পর রাতেই দুইপক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়।
জানা গেছে, গত রোববার বিকেলে বরপক্ষের তিনজনকে পিটিয়ে আহত করে কনেপক্ষের লোকজন। আহতরা হলেন- সদর উপজেলার সরোজগঞ্জের বোয়ালিয়া গ্রামের আলমগীর আলী ছেলে শাহ জামাল (২৮), একই এলাকার মৃত গোলাম রাব্বানীর ছেলে ফারুক হোসেন (৩৫) ও আব্দুর রহিমের ছেলে আসমান আলী (৩৫)। আহতদের মধ্যে শাহ জামালকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
বরপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বদরগঞ্জ দশমিপাড়ার রহিম আলীর ছেলে সবুজের সঙ্গে গত রোববার একই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে সুমি খাতুনের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বরপক্ষের লোকজনকে খেতে দেওয়া হয়। বর সবুজের সঙ্গে খেতে বসেন তার বন্ধুসহ আত্মীয়-স্বজনরা। খাওয়া শেষ হওয়ার মুহূর্তে বরপক্ষের লোকজন আরও মাংস চান। আরও মাংস দিতে কনেপক্ষ অপরাগতা প্রকাশ করলে উভয়পক্ষের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলে কনেপক্ষের লোকজন বরপক্ষের তিনজনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।
এ ঘটনায় কনেপক্ষের লোকজনের অভিযোগ, বরপক্ষের লোকজন ভাত না খেয়ে শুধু মাংস খেতে থাকেন। বারবার মাংস চাওয়াতে তারা পরে দেবেন বলে জানালে বরপক্ষের লোকজন তাদের ওপর চড়াও হন। তারা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। যদিও এ ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ করেনি কোনোপক্ষই। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।