সোনা কান্তি বড়ুয়া
বিক্রমপূরের বজ্রযোগীনির রাজপুত্র ছিলেন অতীশ দীপংকর। আজ বাংলাদেশে তাঁর (অতীশ দীপঙ্করের) জন্মস্থানে “অতীশ দীপংকর বিশ্ববিদ্যালয়” এবং আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ তীর্থস্থান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নালন্দা (বিহার প্রদেশ, ভারত) বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মহাজ্ঞানী বৌদ্ধ ভিক্ষু অতীশ দীপঙ্করকে সশ্রদ্ধ শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করে একদা স্বনামধন্য বঙ্গকবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কন্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল,
“বাঙালি অতীশ লঙ্ঘিল গিরি তুষারে ভয়ঙ্কর
জ্বালিল জ্ঞানের দীপ তিব্বতে বাঙ্গালী দীপংকর।”
এই লেখাটি যাঁকে নিয়ে তিনি একাদশ শতাব্দীর একজন শ্রেষ্ঠ চিন্তানায়ক এবং বিশ্বদার্শনিকতত্তে¡র মর্মভেদী দেবদূত এবং বৌদ্ধ ভিক্ষু ছিলেন। জয় বাংলার বিশ্ববিজয়ী দার্শনিক অতীশ দীপংকর (৯৮২-১০৫৪ খৃষ্টাব্দ)!
এই প্রসঙ্গে তিব্বতি পরস্পরায় অতীশের নামে ইতিকথায় উল্লেখ্য যে আদৌ তিনি তাঁর পিতা রাজা কল্যানশ্রীর কাছ খেকে মাতৃকা মন্ত্রে দীক্ষা লাভ করেছিলেন। অতৃপ্ত জ্ঞান পিপাসা তৃপ্ত করতে তিনি ইন্দোনেশিয়ায় (সুবর্ণদ্বীপে জাভার বোরোবোধুর) তাঁর কল্যানমিত্র আচার্য ধর্মকীর্তির কাছে বোধিচিত্যোৎপাদ গবেষণা ও সাধনায় রত ছিলেন। তিনি বৌদ্ধ ত্রিপিটক, প্রজ্ঞাপারমিতা, ন্যায়-দর্শনাদির সঙ্গে গুহ্য বিদ্যা ও সিদ্ধাচার্যদের যোগ তন্ত্রের যে কোন বিষয়ে অনায়াসে সাধনা করতে পারতেন। বাংলাদেশের বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রীমৎ শীলভদ্র, (কুমিল্লা), অতীশ দীপংকর শ্রীজ্ঞান, কমলশীলসহ প্রাচীন বাংলায় মহাজ্ঞানী বৌদ্ধভিক্ষুগণ ৮ম শতাব্দী থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর চার শত বছরে বৌদ্ধ পালরাজত্বের বৌদ্ধসংস্কৃতি, সাহিত্য ও সঙ্গীতের সুরে, ছন্দে, কথায় নৃত্যে, চিত্রে, ভাস্কর্যে, দর্শনে তার আবাদ স্বর্ণমঞ্জুরী ফুটিয়েছিল তা হাজার বছর পর ও ধ্যানে এবং চিত্তকর্ষণে বিরাজমান। পরে বৌদ্ধ ভিক্ষু অতীশ দীপংকর কৃষ্ণগিরি পর্বতে তন্ত্র তথা গুহ্যবিদ্যায় অভিষেক লাভ করেছিলেন।
জ্ঞান, প্রজ্ঞা, মুক্তি ও “বোধিপথ প্রদীপের” আলো দিয়ে সারস্বত ঐতিহ্যতত্তে¡র মর্মভেদী দেবদূত মহাত্মা অতীশ দীপংকার শ্রীজ্ঞান (৯৮২ থেকে ১০৫৪) তিব্বতের জনগণমনকে জয় করেছিলেন। বাঙালির আত্মপরিচয়ে আমি হাজার বছর আগের অতীশ দীপংকরকে আমার অন্তরের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি দার্শনিক বলে উপলব্ধি করেছি এবং আজ তাঁর পুণ্য স্মৃতির প্রতি প্রণাম জানিয়ে তাঁর সম্বন্ধে লিখতে বসেছি। বাংলাদেশের ইতিহাস ও গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের স্মরণে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহমেদ ২০০৪ সালে ঢাকা মহানগরীতে “অতীশ দীপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” উদ্বোধন করেছিলেন। ঢাকায় অতীশ দীপংকর রিসার্চ কাউন্সিল অফিস বিরাজমান। কানাডাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিব্বতিদের “অতীশ দীপংকর বৌদ্ধ মেডিটেশন সেন্টার” আছে।
বৌদ্ধসংস্কৃতিময় প্রতীত্যসমূৎপাদ (নাগার্জুনের শূন্যবাদ, নির্বানলাভে লোভ দ্বেষ মোহের শূন্যতা) বিশ্লেষণে মহাপ্রজ্ঞাপারমিতা সূত্রে ‘প্রজ্ঞা’ হচ্ছে শূন্যতা জ্ঞান অর্থাৎ সমস্ত জাগতিক বস্তু এবং ধর্মের (চিন্তনীয় বিষয়) আপেকি অস্তিত্ব ও অনাত্মা জ্ঞান ‘মহাশূন্যবাদ’ বৈজ্ঞানিক তত্তে¡র অবদানে ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে শূন্য বা জিরোর আবির্ভাব হয়। উক্ত গাণিতিক শূন্যকে অবলম্বন করে কম্পিউটার বিজ্ঞানের সূত্রপাত। ভগবান বুদ্ধের ধর্মচক্র বা অশোকচক্রে এক ব্রহ্ম ও জাতিভেদ প্রথার স্থান নেই। সংসার জীবনে কর্ম প্রবহমান। সাধারণ মানুষ কি ভাবে মহাজ্ঞানী হবেন?
অতীশ দীপংকরের লেখা বিখ্যাত “বোধিপথ প্রদীপ” শীর্ষক গ্রন্থে উক্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া সহজ। বাংলাদেশের মাটি খুঁড়ে নানা রকমের বুদ্ধমূর্তি বের করা হয়েছে। আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালার বামিয়ান পর্বতজুড়ে বিরাটকায় বুদ্ধমূর্তি বিরাজমান। বুদ্ধমুর্তি মানুষের মানবাধিকার প্রচারের বর্ণমালা মাত্র। বুদ্ধমূর্তির সর্বকালের ভাষা, “অহিংসা পরম ধর্ম।”
বাংলাদেশে ১৯৮৩ সালে বিশ্ববিদ্যাকল্পদ্রæম বৌদ্ধ ভিক্ষু অতীশ দীপংকর শ্রীজ্ঞানের পুণ্যস্মৃতি বিজরিত “জন্ম সহস্র বার্ষিকী ” (১০৫৩-১৯৮৩) মহাসমারোহে উদযাপিত হয়েছিল বাংলাদেশসহ বৌদ্ধ বিশ্বজুড়ে। দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ বিদেশি শাসকগণ ধ্বংস করেছিল এবং বিগত পাঁচশত বছরের মোগল রাজত্ব, শত বছরের খিলজী রাজত্ব এবং বিভিন্ন তুর্কী রাজত্বের সময় এই উপমহাদেশে জনগণের কল্যাণজনক কোন ধর্ম নিরপেক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হল না।
তিব্বত অভিয়ান:
১০৪১ সালে মহামান্য তিব্বতের রাজা বায়ান-চুব-অদের মাননীয় রাজদূত বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন পরম শ্রদ্ধেয় দীপংকর শ্রীজ্ঞানকে (তখন তাঁর বয়স ৫৯ বছর) তিব্বতে নিয়ে বৌদ্ধধর্ম নুতনভাবে প্রতিষ্ঠা করতে। তিব্বতের রাজা দীপংকরকে “অতীশ” বা শ্রেষ্ঠ উপাধি প্রদান করেন। তারপর অতীশ দীপংকর শ্রীজ্ঞান নামে অভিহিত হয়েছিলেন। তাঁর মহান ব্যক্তিত্ব নিরলস বৌদ্ধধর্ম প্রচারের মাধ্যমে বিশ্বশান্তির প্রয়াসের পর ৭৩ বছর বয়সে ১০৫৪ সালে তিব্বতে মহাসমাধিতে ইহলোক ত্যাগ করেন। প্রায় ১২ বছর পর্যন্ত অতীশ দীপংকর তিব্বতের ধর্মীয় শিক্ষা ও সামাজিক শিক্ষাকে আলোকিত পথে উজ্জীবিত করেছিলেন। অতীশ দীপংকরের লেখা বিখ্যাত বই “বোধিপথ প্রদীপ” বইখানি ইংরেজী ভাষায় শ্রদ্ধেয় লামা চিমপা ও শ্রীমতি অলকা চট্টোপাধ্যায় অনুবাদ করে ধন্যবাদার্হ হয়েছেন।
দীপংকরের শিক্ষা ছিল সমাজ থেকে হিংসা, সা¤প্রদায়িতা, কুসংস্কার ও কূপমুন্ডুকতা দূর করার জন্যে বুদ্ধের শরণাপন্ন হতে “বুদ্ধং সরনং গচ্ছামি” এর কাছে নিজেকে নিবেদন করতে “সকল প্রাণীর সুখ কামনা করা।” বুদ্ধ-ধ্যানে নিবেদিত উক্ত অনুষ্ঠানে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় বিরাজমমান (১) বুদ্ধ পূজা (২) ত্রিরতœ বন্দনা (৩) ত্রিশরণসহ পঞ্চশীল গ্রহণ (৪) সংঘ দান (৫) অষ্ঠবিংশতি বুদ্ধ বন্দনা (৬) ধর্মালোচনা (৭) আবৃত্তি (৮) বিবিধ তান্ত্রিক সাধনা শিক্ষা।
জনতার প্রশ্ন : ২৬০০ বছর পূর্বে গৌতমবুদ্ধ বাংলাদেশের বগুড়ার মহাস্থানগড়ে ধর্মপ্রচার করেছিলেন এবং পরে চর্যাপদ সমকালের বুদ্ধের জীবনী ও বৌদ্ধ সাহিত্যের বিপুল গ্রন্থসমূহসহ বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয় ও পন্ডিত বিহার (হাজার হাজার বৌদ্ধ বিহার) কোথায় হারিয়ে গেল?
অতীশ দীপংকর জন্ম সহস্র বর্ষ পূর্তি উৎসব (১০৫৩ – ১৯৮৩): ১৯৮৩ সালে ২৯শে জানুয়ারি “অতীশ দীপংকর জন্ম সহস্র বর্ষ পূর্তি উৎসব” সকালে কলকাতায় রবীন্দ্রসদনে এক মনোজ্ঞ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির আসন অলংকৃত করলেন তিব্বতের মহামান্য দালাইলামা। সহস্র দীপ প্রজ্বলিত করে উদ্বোধনের সূচনা করলেন শ্রীলংকার আইনমন্ত্রী নিঃশঙ্ক বিজয়রতেœ। আলোচনা সভার শেষে শ্রীশৈলেন ঘোষের পরিচালনায় ‘শিশুরঙ্গনের’ শিল্পীবৃন্দ “অতীশ দীপংকরের” বিক্রমশীলা মহাবিহার প্রাঙ্গন থেকে তিব্বতে উপনীত হওয়ার ঘটনাবলী অভিনয় ও সঙ্গীতের মাধ্যমে দর্শকদের প্রদর্শন করেন। ১৯৮৩ সালে প্রাচীন বাংলাদেশের (তথা দক্ষিণ এশিয়ার) এক মহান সন্তান সুদূর তিব্বত, মঙ্গোলিয়ার প্রত্যন্তে বৌদ্ধধর্মের প্রচারক মহাজ্ঞানী বাঙালি বৌদ্ধভিু অতীশ দীপংকর শ্রীজ্ঞানের জন্মের সহস্র বার্ষিকী উৎসব বাংলাদেশ বৌদ্ধকৃষ্ঠি প্রচার সংঘ, ঢাকা, কমলাপুর এবং কলকাতার বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভার উদ্যোগে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হল।
বঙ্গরত্ব মহাত্মা বৌদ্ধ ভিক্ষু অতীশ দীপংকর বিক্রমশীলা ও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য় ছিলেন। জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ছিল তাঁর অদ্ধিতীয় অধিকার এবং তাঁর কমনীয় মুখ ও চিত্তাকর্ষক ব্যক্তিত্ব সমস্ত সভাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতেন।
বোধিসত্ত¡ তারা দেবীর ওড়নার মতোই বরফের আবরণ,
চীন তিব্বতের তারা দেবী কেন বাংলায় কালী রূপে বিচরণ?
পাহাড়পুরে সোমপুরী মহাবিহার, মহাস্থানের পুন্ড্রবর্ধন
ব্দ্ধু থাকতেন বাংলাদেশে ছিল মৈত্রীর অভিনব বাতাবরণ।
বৌদ্ধসংস্কৃতির অনন্তপ্রবাহে অতীশ দীপংকরের আবির্ভাব,
অগণিত বুদ্ধ ছিলেন ভবে প্রতিষ্ঠা করতে অহিংসায় সদ্ভাব।
বাংলাদেশের ইতিহাস ও গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের স্মরণে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহমেদ ২০০৪ সালে ঢাকা মহানগরীতে “অতীশ দীপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” উদ্বোধন করেছিলেন। ঢাকায় অতীশ দীপংকর রিসার্চ কাউন্সিল অফিস বিরাজমান। কানাডাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিব্বতিদের “অতীশ দীপংকর বৌদ্ধ মেডিটেশন সেন্টার” আছে। বিক্রমপূরের বজ্রযোগীনির রাজপুত্র ছিলেন অতীশ দীপংকর।
২৫৬২ বছর পূর্বে গৌতমবুদ্ধ বাংলাদেশে বিশ্বশান্তি প্রচার করতে এসেছিলেন এবং তিনি বগুড়ার পুন্ড্রবর্ধন (মহাস্থানগড়) ও পাহাড়পুরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস করতেন। সম্রাট অশোকের আমল থেকে পাল রাজাদের আমল পর্যন্ত বৌদ্ধধর্ম বাঙালি জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম ছিল। ১২০২ সালে বখতিয়ার খিলজির বাংলাদেশ আক্রমণের পর বৌদ্ধধর্ম ও চারশত বছরের বাঙালি জাতির বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয় ও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দশটা বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয়ে গেল। গৌতমবুদ্ধের ধর্মচক্র প্রবর্তন সূত্রের ও মহাপ্রজ্ঞাপারমিতা সূত্র “কার্য কারণ প্রবাহসহ চতুরার্য সত্য ও আর্য অষ্ঠাঙ্গিক মার্গের” বৈজ্ঞানিক শৈল্পীক ব্যাখ্যায় প্রতিষ্ঠিত অতীশ দীপংকরের লেখা বৌদ্ধদর্শন আজও বিরাজমান।
দার্শনিক ও বিজ্ঞানী হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ধর্ম, সাহিত্য, দর্শন, অধিবিদ্যা, গণিতশাস্ত্রসহ জ্ঞান, বিজ্ঞানের এমন কোন শাখা ছিল না, যেখানে তাঁর যাদুকরী প্রতিভা স্বার রাখেননি। কিন্তু তারপর ও অনন্ত জ্ঞানের অন্বেষণে তিনি ছুটে গিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ায় জাভা, সুমাত্রা, শ্রীলংকা, তিব্বত এবং দেশ বিদেশের আরো বহু স্থানে। গভীরভাবে গবেষণা করেছেন দর্শন ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা।
বাঙালির গৌরব, সেই প্রাতস্মরণীয় মহাপুরুষের প্রতি আজ আমাদের মস্তক শ্রদ্ধায় অবনত হচ্ছে। তিনি বাংলা, পালি, সংস্কৃত ও তিব্বতি ভাষায় সুপন্ডিত ছিলেন। মহাযান বৌদ্ধ মতের উপর তিনি তিব্বতি ভাষায় শতাধিক গ্রš’ রচনা করেন। সংস্কৃত ও পালি ভাষায় পৌনে দুই শতাধিক বই লিখেছিলেন। চরিত্রে, পান্ডিত্যে, মনীষায় ও অধ্যাত্ম গরিমায় বাঙালির ছেলে দীপংকর সুদূর হিমালয় শিখরের উপরে দেদীপ্যমান একটি শুকতারা যেন। বাংলাদেশের মাটিতে আজ অতীশ দীপংকরের তপস্যা বিলুপ্ত হয়নি। আমাদের চারশত বছরের বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয় সহ অমূল্য স্বাধীনতার দ্বার ভেঙ্গে গিয়েছিল। আমাদের প্রতিবেশীকে শ্রদ্ধা করতে হবে। শ্রীমতি অলকা চট্টোপাধ্যায় তাঁর রচিত “অতীশ এন্ড টিবেট (তিব্বত)” বইতে দীপংকরের রচনাবলীর তালিকা লিপিবদ্ধ করেছেন।
লেখক সোনা কান্তি বড়–য়া খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রš’ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে সাবেক বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি।