সিলেটের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম এ আহাদ চৌধুরীর স্মরণে শোক সভার অনুষ্ঠিত হয়েছে কানাডার মন্ট্রিয়ালে। সিলেট জেলা সমিতির উদ্যোগে রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) মন্ট্রিয়লের পার্কভিউ হল রুমে অনুষ্ঠিত শোক সভায় বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আহাদ আওয়ামী লীগের নেতা থাকলেও প্রবাস জীবনে তিনি সকল দলমতের উর্ধে থেকে কমিউনিটির মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন, তিনি ছিলেন একজন অমায়িক মানুষ। শোক সভার শুরুতে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও শোক সন্তপ্ত পরিবার প্রতি সমবেদনা জানানো হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে এম এ আহাদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর একজন বিশ্বস্ত কর্মী ছিলেন। তিনি তার যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে সিলেট অঞ্চল থেকে জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতির অগ্রভাগের একজন নেতা হিসেবে স্থান দখল করে নিয়ে ছিলেন। স্মরণ সভায় বক্ত্যারা, মরহুমের কর্মময় জীবনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, পরিচ্ছন্ন ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি সকলের কাছে শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন। সিলেট জেলা সমিতি অব কুইব্যাকের উদ্যোগে স্মরণ সভায় বক্তারা আর বলেন, সিলেটের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ আহাদ চৌধুরী সাংগঠনিক দায়িত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে সিলেটসহ দেশবাসী একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্টজনকে হারালো।
সিলেট জেলা সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সবুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান রতন মজুমদার, আরো বক্তব্য রাখেন ইতরাদ জুবেরি সেলিম, মোঃ এজাজ, মুজিবুর রহমান মুজিব, সাংবাদিক তাজুল মোহাম্মদ, ফয়সল আহমদ চৌধুরী, সিলেট সমিতির সহ সভাপতি এম জয়নাল আবেদিন জামিল, সাংবাদিক দেওয়ান মনিরুজ্জামান, সহ সভাপতি এনাম আহমদ, তোফায়েল আহমেদ আসলাম, হাফিজুর উল্লাহ, সৈয়দ মাহবুব ফারুক, রশিদ খান, নূর আহমদ জামিল, সিহাব উদ্দিন, হাফিজুর রহমান, করিম উল্লাহ প্রমুখ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্রগ্রামের একটি হসপিটালে ২৪ মে ইন্তেকাল করেন আহাদ চৌধুরী। বাড়ি সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার বারঠাকুরী ইউনিয়নের পীল্লাকান্দী গ্রামে। মরহুম এম এ আহাদ চৌধুরীর জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাতাকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, এন আর বি গ্লোবাল লাইফ ইনসুরেন্সে লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।
এছাড়াও চট্টগ্রামের সাবেক মন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মরহুম জহুর আহমেদ চৌধুরীর জামাতা ছিলেন। ১৯৮৮ সালে আহাদের উদ্যোগে প্রথম কানাডা আওয়ামী লীগ গঠনের করা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১৯৯১ সালে পূর্ণাঙ্গ কানাডা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়। (তথ্যসূত্র: মোয়াজ্জেম সাজু)