সোনা কান্তি বড়ুয়া : ধ্যানের জগতে শ্বাসপ্রশ্বাসে অনুশীলন করুন জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক! ধ্যানের জগতে প্রত্যেকেরই জীবনধারণের স্বাধীনতা ও ব্যক্তি নিরাপত্তার অধিকার “বিরাজমান।” যেথায় আছি যে যেখানে / বাঁধন আছে প্রাণে প্রাণে। এক জীবনে সব ইচ্ছেগুলো পূরণ হবে এমন কখনোই হতে পারে না! বরঞ্চ কিছু অপূর্ণ ইচ্ছে প্রতিনিয়ত দীর্ঘশ্বাস হয়ে ধাওয়া করবে। এইটাই স্বাভাবিক নতুবা বেচেঁ থাকাটা একঘেয়ে হয়ে যাবে। মনুষ্যত্বের আদর্শ থেকে বিচ্যুত না-হয়ে মানবতার সেবায় ধর্ম বা রাজনীতি করুন, কিন্তু! সাধারণের মন সদা চঞ্চল-বিক্ষুদ্ধ। কেন এই অস্থিররতা? লোভ-দ্বেষ-মোহ তথা অবিদ্যা আর তৃষ্ণার তাড়নায়। সুখ, শান্তি, বিমুক্তি ও নির্বাণের বিমল আনন্দ লাভের পথে এই অন্তরায়সমূহের সংক্ষিপ্ত নাম ক্লেশ বা ‘কিলেসা (evil ATTACHMENT & evil desire। সংযমতা অনুশীলন অপরিহার্য জীবনে কিছু অপূর্ণ ইচ্ছে প্রতিনিয়ত দীর্ঘশ্বাস হয়ে ধাওয়া করবে তখন মনের (১) মৈত্রী, (২) করুণা, (৩) মুদিতা ও (৪) উপেক্ষাকে উচ্চতর (বা ব্রহ্মবিহার) অনুশীলন বলা হয়। মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতি স্তরের চার মাপদণ্ড মানুষকে দেয় প্রশান্তি, খুঁজে পায় বিশ্বমানবতা দর্শনের ভাবধারা!
মনে মৈত্রী করুণ রস, বাণী অমৃত পদ। জনে জনে হিতের তরে, পড়েন ধ্যানের জগত এবং লোভ দ্বেষ মোহসহ ষড় রিপুকে জয় করার নাম সর্ব মানবের ধর্ম! সংযমতা অনুশীলন অপরিহার্য! সংযমতা পালন করার প্রতি অধিষ্ঠান কিংবা শপথ গ্রহণের প্রতি আন্তরিক থাকা। দেশ দখল করার নাম ধর্ম নয় এবং লোভ দ্বেষ মোহসহ ষড় রিপুকে জয় করার নাম হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ‘ খৃষ্টান সর্ব মানবের ধর্ম (Jew, Jain and Sikh etc.)! প্রত্যেকে বসে নিজের পর্যঙ্কবদ্ধ হয়ে (পদ্মাসন করে) দেহাগ্রভাগ ঋজুভাবে রেখে পরিমুখে (লক্ষ্যাভিমুখে) স্মৃতি (Breathing in) উপস্থাপিত করে উপবেশন করেন practising breathing in and breathing out) এবং তিনি স্মৃতিমান হয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণ করেন। দীর্ঘশ্বাস গ্রহণ করিলে ‘দীর্ঘশ্বাস গ্রহণ করিতেছি’ হ্রস্বশ্বাস গ্রহণ করলে ‘হ্রস্বশ্বাস গ্রহণ প্রকৃষ্টরূপে জানেন। তিনি সর্বকায়-প্রতিসংবেদী (সর্বদেহে অনুভূত) শ্বাস গ্রহণ করতে শিক্ষা করেন, সর্বকায়-প্রতিসংবেদী নিঃশ্বাস পরিত্যাগ করতে শিক্ষা করেন, সর্বকায়সংস্কার (যাবতীয় দৈহিক ক্রিয়া) উপশান্ত হয়ে শ্বাস গ্রহণ করতে শিক্ষা করেন, সর্বকায়সংস্কার উপশান্তক নিঃশ্বাস ত্যাগ করিতে শিক্ষা করেন। এ ধ্যান পরম্পরার মাধ্যমে মানুষ একে অপরের সাথে সদ্ভাব, স¤প্রীতি, সাম্য ও সৌভ্রাতৃত্বের সেতু বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে থাকে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় :
জীবন যখন শুকায়ে যায় / করুণাধারায় এসো।
সকল মাধুরী লুকায়ে যায়, / গীতসুধারসে এসো।
কর্ম যখন প্রবল-আকার / গরজি উঠিয়া ঢাকে চারি ধার,
হৃদয়প্রান্তে হে নীরব নাথ, / শান্তচরণে এসো।
আপনারে যবে করিয়া কৃপণ / কোণে পড়ে থাকে দীনহীন মন,
দুয়ার খুলিয়া হে উদার নাথ, / রাজ-সমারোহে এসো।
বাসনা যখন বিপুল ধুলায় / অন্ধ করিয়া অবোধে ভুলায়
ওহে পবিত্র, ওহে অনিদ্র, / রুদ্র আলোকে এসো।”
মনুষত্বের জয়, ঘুমঘোরে আর আছন্ন থাক না! জীবন মানে রুপ, (Matter and Anatomy like a lump of foam) ও মন! Mind means (১) বেদনা (Feelings like a water bubble) (২) সংজ্ঞা (Perception like a void mirage) (৩) সংস্কার (Formation like a plantain tree) and (4) Consciousness (Vinnan) or মানসিক ব্রহ্মান্ড (কনসিয়াসনেস like jugglery) বিরাজমান! বৌদ্ধ তান্ত্রিক এবং চর্যাপদ মতে, “গুহ্য নাভি মূলকে বলা হয় নির্মানচক্র, হদয়ে ধর্মচক্র, কন্ঠে সম্ভোচক্র, মস্তিষ্কে মহাসুখচক্র। দেহের নাড়িকে সংযত করার সাধনা তান্ত্রিক সাধনা। কারন, স্থান কাল পাত্র এবং মহাযান বৌদ্ধধর্ম সহ সাইকোলিজি বা রুপ, বেদনা, সংজ্ঞা, সংস্কার, মানসিক ব্রহ্মান্ড (কনসিয়াসনেস) চিত্ত, চৈতসিক অভিধর্ম মনস্তত্তে¡র বিভিন্ন শাখা প্রশাখার নানা কঠিন বিষয় অবতারনা করেছেন। দেহে বামে ইড়া, ডানে পিঙ্গলা, মাঝে সুষম্না নাড়ি। সুষম্না নৈরাত্মা, বোধিচিত্ত, অবধূতী বা যোগীনির প্রতীক। ইড়া পিঙ্গলাকে যথাক্রমে শক্তি ও শিবের প্রতীক। ইড়া পিঙ্গলাকে সাধনার মাধ্যমে সুষম্নাতে মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর সাধনায় সষুম্না পরিনত হবে সহস্রায় বা মহাসুখ চক্রে। সেখানেই আছে মহা সহজানন্দ।
বিশ্বমানবতায় উদ্ভাসিত চিরন্তন ধ্যানের জগত!
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়,
“নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে /রয়েছ নয়নে নয়নে,
হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে / হৃদয়ে রয়েছ গোপনে।” বিশ্বমানবতায় উদ্ভাসিত অহিংসার ধ্যান জন্মেছে মানবের চিত্তে, প্রতিদিন অহিংসার ধ্যান জন্মাচ্ছে, প্রতিদিন অহিংসার ধ্যান বেঁচে আছে। বিশ্বমানবতার বাণী অহিংসা পরম ধ্যানের সুধা প্রচার করেছে। সকল ধর্মের উপদেশে বিরাজমান, “মানুষ মানুষের ভাইবোন। বাঙালি জাতির মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকে, পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর, রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তিকমিটি ও স্বাধীনতা বিরোধীরা ধর্মীয় রং লাগিয়ে যে বর্বর হত্যাযজ্ঞ, মানুষিক, শাররীক ও ধর্মীয় নির্যাতন করেছে যা বাঙালীজাতি কখনো ভুলার নয়! মনুষ্যত্বের অপমান করার পরে ALLAH ও ভগবানকে পূজা করার অর্থ কি?
তবে কেন প্রশাসনের এই হিন্দু জাতিভেদ প্রথায় হত্যা করা হলো মানবতা? কোন ব্রাহ্মণ শূদ্রকে হত্যা করলে কুকুর বিড়াল হত্যার সমান পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবেন (মনুস্মৃতি ১১/ ১৩২)! সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায়, “তখন বিশুদ্ধাত্মা শাক্যসিংহ (বুদ্ধ) অনন্তকালস্থায়ী মহিমা বিস্তারপূর্বক, ভারতাকাশে উদিত হইয়া, দিগন্ত প্রসারিত রূপে বলিলেন, আমি তোমাদের রক্ষা করিব। বর্ণ বৈষম্য মিথ্যা। যাগযজ্ঞ মিথ্যা। বেদ মিথ্যা, সূত্র মিথ্যা, ঐহিক সুখ মিথ্যা, কে রাজা, কে প্রজা, সব মিথ্যা। ধর্মই সত্য। মিথ্যা ত্যাগ করিয়া সকলেই সত্যধর্ম পালন কর। (বঙ্কিম রচনাবলী, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৮২ থেকে ৩৮৩, সাহিত্য সংসদ প্রকাশিত, Kolkata)!” ভাষার আদিমতম নিদর্শন বৌদ্ধ চর্যাপদ। এই বইয়ের অনুবাদ তিব্বতী ভাষায় বিরাজমান।
যোগ সাধনার ইতিহাসে গৌতমবুদ্ধের শিক্ষাপদ ত্রিপিটকসহ আনাপানাস্মৃতি শীর্ষক সূত্রের অবদান মানব সমাজে আজও দোদীপ্যমান হয়ে আছে। আজ হিন্দু রাজনীতি আবার যোগ ব্যায়ামকে ও হিন্দু ঐতিহ্যের অবদান বানিয়ে বৌদ্ধ সংস্কৃতি (যোগাচার) থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল। চীন দেশের বৌদ্ধ মন্দিরে বিশ্ববিখ্যাত ব্রু শ্লী যোগ সাধনায় ট্রেনিং নিয়ে দুর্লভ বিজয় মালা লাভ করেছিলেন। জাপানে কারাটে নামক যোগ ব্যয়াম বৌদ্ধ মন্দিরে আজও শিক্ষা দেয়া হয়। এই প্রসঙ্গে ইহা ও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, হিন্দু বৈদিকযুগের পূর্বে সিন্ধু সভ্যতায় মহেঞ্জোদারোতে কাশ্যপবুদ্ধের বৌদ্ধধর্মে যোগ সাধনা এবং যোগ ব্যায়ামের প্রচলন ছিল। এই ভাবে গৌতমবুদ্ধের জন্মের পূর্বের এবং পরের বৌদ্ধ সংস্কৃতি চীন, কোরিয়া, তিব্বত, মঙ্গোলিয়া, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, লাওস, শ্রীলঙ্কা ও জাপানের বৌদ্ধ যোগ সাধনা কি হিন্দুদের বৈদিক সংস্কৃতি?
বিশ্বকবির ভাষায়,
“পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়।
ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়।
আয় আর একটিবার আয় রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়।
মোরা সুখের দুখের কথা কব, প্রাণ জুড়াবে তায়।
মোরা ভোরের বেলা ফুল তুলেছি, দুলেছি দোলায়–
বাজিয়ে বাঁশি গান গেয়েছি বকুলের তলায়।
হায় মাঝে হল ছাড়াছাড়ি, গেলেম কে কোথায়–
আবার দেখা যদি হল, সখা, প্রাণের মাঝে আয়!”
বিদর্শন গুরু ননী বালা বড়ুয়া বা দিপা মা চট্টগ্রামের শীলঘাটা গ্রামে আমাদের অভিভাবক সদৃশ্ শিক্ষাগুরু ছিলেন। তিনি এশিয়া মহাদেশের এক বিশিষ্ট বৌদ্ধ ধ্যান শিক্ষক ছিলেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই বিষয়ে শিক্ষকতা করেছিলেন। এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিপাসনা আন্দোলনের আমেরিকান শাখাকে প্রভাবিত করেছিলেন। দিপা মা আমাদের বাঙালি বৌদ্ধ স¤প্রদায়ের মধ্যে তেমন সুপরিচিত নয়। অথচ বড়ুয়া বংশোদ্ভুত এই মহিয়সী নারী চট্টগ্রামেই জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। প্রয়াত প্রখ্যাত বিদর্শন গুরু ড. রাষ্ট্রপাল মহাথের মহোদয়ের মুখে দিপা মার নামটি! বিদর্শন গুরু ননী বালা বড়ুয়া (বা দিপা মা) শিক্ষক ছিল :
১। শীল বিশুদ্ধি।
২। চিত্ত বিশুদ্ধি।
৩। দৃষ্টি বিশুদ্ধি।
৪। কঙ্খাবিতরণ (সংশয়মুক্ত) বিশুদ্ধি।
৫। মার্গামার্গ জ্ঞান দর্শন বিশুদ্ধি।
৬। প্রতিপদ জ্ঞান দর্শন বিশুদ্ধি।
৭। জ্ঞান দর্শন বিশুদ্ধি (from the Visuddhi Magga).
১৯৫০ সালে “দিপা” নামে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তখন থেকেই ননী বালা “দিপা মা বা দিপার মা” হিসেবে পরিচিতি পায়। ১৯৫৭ সালে হঠাৎ সুস্থ সবল স্বামী আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন। কয়েক বছরের মধ্যে তার মা, দুই সন্তান এবং তার প্রিয়তম স্বামীকে হারিয়ে খুবই দুঃখ ও শোকে পাথর হয়ে যান। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তার শরীর ভেঙ্গে পড়ে। ডাক্তারেরা তার জীবনের আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু দিপা মা ভাবলেন বিদর্শন ধ্যান অনুশীলন করেই মরি। অনাগারিক মুনিন্দ্রজী (একজন প্রখ্যাত বিদর্শন ধ্যান গুরু যার জন্ম স্থান চট্টগ্রামে)- এর সহায়তায় Kamayut Meditation Center, Rangoon- এ ১ম কোর্স সম্পন্ন করেন। ২য় কোর্স Thathana Yeiktha Meditation Center, Rangoon- এ Mahasi Sayadow নামের এক বিখ্যাত গুরুর অধীনে সম্পন্ন করেন। প্রথম দিকে বিদর্শন ধ্যান অনুশীলনের সময় তার ঘুম চলে গেল, খাবারের রুচি ছিল না। তিনি এত দূর্বল ছিলেন যে হামাগুড়ি দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে ধ্যান কেন্দ্রে উঠতে হতো।
Wisdom Publication-থেকে প্রকাশিত Women’s Buddhism, Dipa Ma’s Dharma Talks At Insight Meditation Society, Retreat Center- থেকে, Dharmaseed এবং Wikipedia-থেকে ওনার সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারি। এরপর ওনার সম্পর্কে আমাদের দেশে প্রকাশিত বৌদ্ধ ধর্মীয় কোন ম্যাগাজিন বা অন্য সোর্স থেকে ওনার সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পাইনি। কিন্তু কয়েকদিন আগে Tricycle নামক এক Buddhist Review তে Enlightenment In This Lifetime, Meetings With A Remarkable Woman:An Interview With Dipa Ma. এবং দিপি মা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হই। Lion’s Roar- থেকে প্রকাশিত Mother of Light: The Inspiring Story of Dipa Ma,
Buddhist Doornet- থেকে Dipa Ma: An Extraordinary Female Buddhist Master In The Twentieth Century Ges Schmidt Any iwPZ Dipa Ma: The Life and Legacy of A Buddhist Master, Sharon Salzburg … My Teachers,
১৯৭০ সালের দিকে দিপা মার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে Sylvia Boorstein, Joseph Goldstein, Jack Kornfield, Michelle Levey, Sharon Salzburg অন্যতম। তাদের মধ্যে Jack Engler নামের এক ছাত্র Harvard University-এর স্বনামধন্য Psychotherapist and Psychologist ছিলেন। Joseph Goldstein, The Inside Meditation Center, Massachusetts USA- এর কো-ফাউন্ডার হয়েছিলেন। বাকিরাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বনামধন্য হয়েছিলেন।
Jack Engler- এর লেখা থেকে, “…. I met Dipa Ma in India while doing my Doctoral Research for the University of Chicago, USA on the impact of enlightenment on the structure of consciousness and mental life. According to Theravada Tradition the testimony of ancient and contemporary practitioners, it’s in these moments that specific mental factors that produce suffering and progressively eradicated the suffering. This is when fundamental and irreversible changes are said to take place in the mind.
For the purpose of my studz I needed individuals who had experience what we called enlightenment.” এবং সে আরো লিখেছেন, “Really Dipa Ma was a great yogi who had not only experiences the depth of liberating insight but had also mastered the deepest level of Samadhi; or states of concentrative meditation (jhanas) and most of psychic powers as well.
কথায় বলে, “রতনে রতন চিনে।” দিপা মাকে নিজ দেশে বা নিজ স¤প্রদায়ে কেউ না চিনলেও জ্ঞানীগুণীদের জগতে তিনি ঠিকই পুজনীয়।
দিপা মার কিছু উক্তি:
# Don’t let loss, sadness,fear or anxiety deter you.
# Never forget that everything is impermanent.
# Focus your mind, and let meditation never leave you.
# Meditation is love. Enlightenment is great love.
দিপা মা ১৯১১সালের ২৫শে মার্চ চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে রজনী রন্জন বড়ুয়া নামক এক ২৫ বছরের বয়সী এক প্রকৌশলীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।অতি অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ায় বিয়ের প্রথম দিকে তেমন সুখী ছিলেন না। পরে অবশ্য স্বামীর কাছে বার্মা বর্তমানে মায়ানমারে চলে যান। ওখানে তিনি মোটামুটি সুখেই ছিলেন। কিন্তু ১৯২৯ সালে তাঁর মায়ের অপ্রত্যাশিত মৃত্যু তাকে বিচলিত করে। তাঁর গর্ভে জন্ম নেওয়া প্রথম পুত্র সন্তানকে হারিয়েছিলেন অল্প বয়সে। আবার ৩৫ বছর বয়সে তিনি এক মেয়ে শিশুর জন্ম দেন। দুঃখজনক যে, মাত্র তিন মাসের মাথায় এই শিশুটিও মারা যায়।
কিন্তু তার কঠোর পরিশ্রম, একাগ্রতায় খুবই দ্রুতগতিতে বিদর্শনে clasic phases অতিক্রম করে progressed in the stages of insight which procede in the 1st stages. তখন থেকে তার শরীরের অস্বাভাবিক রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে যায়, হৃদকম্পন নাটকীয়ভাবে চলে যায়।
সব লোকজন তাকে অত্যন্ত দুঃখী, অসহায়,রোগা,বেদনার্ত, শোকাহত ও খুবই দূর্বল হিসেবে জানতো। তাঁরা হঠাৎ দিপা মার শান্ত,সৌম্য, সুখী চেহারা দেখে অবাক হলেন। হামাগুড়ি দিয়ে চলাচল করা এই মহিলার দৌড়ের গতি,বলবান চেহারা এবং মনে হচ্ছে শরীর দিয়ে জ্যোতি বের হচ্ছে। তাঁর এই transformation বা পরিবর্তনে অনুপ্রাণিত হয়ে শুরুতে ওনার কিছু বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজন তার কাছে এই ধ্যান শিখতে শুরু করে। ধীরে ধীরে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। সত্যিই দিপা মা ছিলেন একজন Buddhist Icon. She influence has been widely felt in the West. She was a woman of extraordinary, wisdom, concentration and loving kindness. Both Salzburg and Goldstein call her,”.. the most loving person we have ever met.”
লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!