অনলাইন ডেস্ক : ভারত থেকে ৪১ জন কানাডার কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে আরো ৪২ জন সহযোগী কানাডায় ফিরে যাচ্ছেন। ভারতের অবস্থানের জন্যই তাঁরা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে ক্যানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি বৃহস্পতিবার বলেছেন, ভারত হুমকি দেওয়ার পর কানাডা নিজেদের কূটনীতিকদের অন্য দেশে রাখতে পারে না।
কানাডা সে কারণেই কূটনীতিদের ফেরাতে বাধ্য হচ্ছে। ভারতে সব মিলিয়ে ৬২ জন কানাডার কূটনীতিক আছেন। তাঁদের মধ্য থেকে ৪১ জনকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অন্যরা ভারতেই থাকছেন।
ভারত জানিয়েছে, কানাডা ভারতীয় কূটনীতিকদের দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়ার পরেই তারা কানাডার কূটনীতিকদের ডেকে পাঠিয়েছিল। ২০ অক্টোবরের মধ্যে ৪১ কূটনীতিককে কানাডায় ফিরে যেতে বলা হয়েছিল। এর আগে কানাডা ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল। এরপর ভারতও তাই করেছিল।
খালিস্তান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভারত-কানাডার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে কয়েক বছর ধরেই সমস্যা চলছে। কানাডার বিভিন্ন শহরে শিখ সম্প্রদায়ের বসবাস। তাদের একাংশ ভারতে পৃথক খালিস্তান রাজ্য স্থাপনের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বিতর্কের সূত্রপাত মাস দুয়েক আগে। কানাডার নাগরিকত্ব নেওয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিখ হারদীপ সিং নিজ্জার ভ্যাংকুভারের কাছে একটি গুরুদ্বারের সামনে নিহত হন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, ভারত এজেন্ট পাঠিয়ে তাঁকে হত্যা করেছে। ভারত বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে এবং কানাডার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায়।
ভারত জানিয়েছে, কাানাডা খালিস্তানিপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে। নিজ্জার তাদেরই এক নেতা। দীর্ঘদিন ধরে যারা স্বাধীন খালিস্তানি রাষ্ট্রের দাবি করছে। ইন্দিরা গান্ধী অপারেশন ব্লু স্টারের মাধ্যমে যার মোকাবেলা করেছিলেন কয়েক দশক আগে। তবে কানাডায় ঢুকে নিজ্জারকে হত্যার যে অভিযোগ কানাডা করছে, ভারত তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রথম থেকেই দাবি করছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে।