অনলাইন ডেস্ক : ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে অনেককে কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে যোগীর রাজ্য উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আলিগড় কমিশনার।

হাথরসের সিকান্দারা রাউ শহরে বিশেষভাবে তৈরি করা তাবুতে এক ধর্ম প্রচারক তার অনুগামীদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই সময় এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

হাথরস জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিস কুমার বলেছেন যে, কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত সংখ্যা অনুসারে, জেলা থেকে ৫০ থেকে ৬০ জন মারা গেছেন। ইটাহ জেলার কর্মকর্তারা আরও ২৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইটাহর প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. উমেশ কুমার ত্রিপাঠী বলেন, ‘আমরা ২৭টি মৃতদেহ পেয়েছি, যার মধ্যে ২৫ জন মহিলা এবং দুজন পুরুষ। কিছু আহতকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা শুনেছি যে একটি ‘সৎসঙ্গ’ এর সময় পদদলিত হয়েছিল।

আলিগড় রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল শলভ মাথুর বলেন, এটা ছিল ভোলে বাবা নামে এক ধর্ম প্রচারকের সৎসঙ্গ সভা। মঙ্গলবার বিকেলে এটাহ ও হাথরস জেলার সীমান্তে জমায়েত হওয়ার জন্য সাময়িক অনুমতি দেওয়া হয়।

নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, ২৭টিরও বেশি মৃতদেহ ইটাহ জেলা হাসপাতালে পৌঁছেছে এবং প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে দমবন্ধ অবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন তারা।

যারা জড়ো হয়েছিলেন তারা এখানে সেখানে দৌড়াদৌড়ি করেছিল বাঁচার জন্য। যার ফলে পদপিষ্টের ঘটনা হয়েছে।

আলিগড়ের আইজি জানিয়েছেন, সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। যারা বেঁচে আছেন তাদের কাছ থেকে গোটা বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি।