সোনা কান্তি বড়ুয়া : ভারতের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ, কোন হিন্দু রাষ্ঠ্রধর্ম নয়! ১৯৫৬ সালে ১৪ অক্টোবর হিন্দুরাজনীতির জাতিভেদ প্রথার ভয়ঙ্কর বিদ্বেষ সহ্য করতে না পেরে ভারতীয় সাবেক আইন মন্ত্রী ডঃ বি. আর আম্বেদকর ৫০ হাজার জনতা নিয়ে বৌদ্ধধর্ম গ্রহন করেছিলেন। ভারতীয় হিন্দু শাসকগণ গৌতম বুদ্ধকে হিন্দুর অবতার বানিয়ে বৌদ্ধগণকে নীচ জাতি করে বৌদ্ধ বিহার ভেঙ্গে গড়ে তোলা হয়েছে বিহার STATE OF INDIA, হিন্দুরাজনীতির তিরুপতি বালাজী ও পুরীর জগন্নাথ মন্দির”। স¤প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকায় (দীপঙ্কর ভট্টাচার্য ০৬ নভেম্বর ২০২২) প্রকাশিত সংবাদ শিরোনাম ছিল, বিজয়া দশমীর দিন দিল্লির সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাজেন্দ্রপাল গৌতমের উপস্থিতিতে কয়েক হাজার দলিত অম্বেডকরের ঐতিহাসিক ‘বাইশ প্রতিজ্ঞা’ পুনরুচ্চারণ করে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করলেন। স্মরণ করা যেতে পারে, মৃত্যুর দু’মাস আগে ১৯৫৬ সালের এই তিথিতেই নাগপুরের দীক্ষাভূমিতে কয়েক লক্ষ অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে বাবাসাহেব অম্বেডকর জাতিপ্রথাকে অস্বীকার করে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। সংবিধান সভার সভাপতি, স্বাধীন ভারতের প্রথম বিধি ও ন্যায়মন্ত্রী ১৯৫৬ সালে প্রকাশ্যে দৈব আরাধনা ও জাতিপ্রথাকে অস্বীকার করে সংবিধান-স্বীকৃত মৌলিক অধিকার অনুযায়ী ধর্ম পরিবর্তনের যে ঐতিহাসিক নজির সৃষ্টি করেছিলেন, ছেষট্টি বছর পর সেই পথে চলতে গিয়েই দিল্লি সরকারের মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা ছাড়তে হল। এখন ধর্ম পরিবর্তন মানে নাকি হিন্দুধর্মের বিপন্নতা! দেশদ্রোহ!

“শক্তি মরে ভীতির কবলে / পাছে লোকে কিছু বলে।“ গৌতম বুদ্ধের প্রথম ধর্মচক্র উপদেশ প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে বৌদ্ধ চিন্তাধারাপুষ্ঠ অশোক চক্র (ধর্মচক্র) ভারতের জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় এমবেøম বা সরকারী স্মারক চিহ্ন রুপে “সত্য মেব জয়তে” বিরাজমান! ভারতীয় উপমহাদেশ সাতচল্লিশে ধর্মের জন্য ভারত ও পাকিস্তান দ্বিখন্ডিত হয়ে হিন্দু ও মুসলমানদের ধর্মান্ধ রাজনীতি তৈরি করল কাঁটাতারের বেড়া আতঙ্ক! ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শিরের’ স্বাধীন ভারতে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে জনপ্রিয় বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করলে কি উগ্র হিন্দুরাজনীতির দেশদ্রোহ হয়? হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধধর্ম গ্রহন করলেন হাজার হাজার মানুষ! বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আধুনিক ভারতের কল্পনায় ছিল, ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির’! হিন্দু সমাজে মানবাধিকার নেই এবং হিন্দুরাজনীতির জাতিভেদ প্রথা জনবিদ্রোহের উপাদান! হিন্দুরাজনীতির ভারতে জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে বৌদ্ধধর্ম প্রজ্বলিত ধ্রæবতারা! ‘ভারত আমার ভারতবর্ষ, স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো’ গানটি গাওয়া হলে কোনও অসুবিধে নেই তো? আমরা হিন্দু ভারতে জাতিভেদ প্রথার রাজত্বে বাস করছি।

পূজনীয় গৌতমবুদ্ধের অহিংস নীতিতে মানুষ শব্দটাতে হিন্দুরাজনীতির জাতিভেদ প্রথার কোন কাঁটাতারের বেড়া নেই! ২৬০০ বছর পূর্বে আষাঢ়ী পূর্ণিমার রাতে মহামতি গৌতম বুদ্ধ সারানাথের ঈষিপত্তন মৃগদাবে সেই পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদেরকে প্রথম “ধর্মচক্র প্রবর্তন সূত্র” দেশনা করলেন! সম্রাট অশোকের বুদ্ধ বন্দনার অমর এ্যালবাম গৌতম বুদ্ধের প্রথম ধর্মচক্র উপদেশ আজ ভারতের জাতীয় পতাকার কেন্দ্রস্থলে বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারায় ২৪টি দণ্ডযুক্ত (প্রতীত্যসমূৎপাদ বা সমগ্র কার্যকারণ প্রবাহ) ঘন নীল রঙের অশোকচক্র সংবলিত ভারতীয় গেরুয়া, সাদা ও ভারতীয় সবুজ এই তিন রঙের একটি আনুভূমিক আয়তাকার পতাকা। ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই আয়োজিত গণপরিষদের একটি অধিবেশনে পতাকার বর্তমান নকশাটি গৃহীত হয় এবং সেই বছর ১৫ অগস্ট এটি ভারত অধিরাজ্যের সরকারি পতাকার স্বীকৃতি লাভ করে। এরপরে এটি ভারতীয় প্রজাতন্ত্রেও জাতীয় পতাকার স্বীকৃতি বজায় রাখে। ভারতে এটিকে “তেরঙা” নামে অভিহিত করা হয়। পতাকাটির নকশা প্রস্তুত করা হয়েছিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া কৃত “স্বরাজ” পতাকার আদলে। বর্তমানে নয়া দিল্লিস্থ ভারতের রাষ্ঠ্রপতি ভবনে দরবার প্রাঙ্গনে এখন সুদীর্ঘ ধ্যানমগ্ন পূজনীয় গৌতমবুদ্ধ দিল্লির সিংহাসনে বিরাজমান, যিনি ভারতের জনগন ও শাসকবৃন্দকে আশির্বাদ করছেন। এর পাশে আছে সম্রাট অশোক হল, এখানে ভারতীয মন্ত্রীরা শপথ নেন এবং বিদেশী রাষ্ঠ্রদূতগণ মাননীয় রাষ্ঠ্রপতির নিকট তাঁদের পরিচয় পত্র পেশ করেন। সাধু সাধু সাধু।

জঙ্গি হিন্দুত্ববাদীদের স্বাধীন ভারতে ধর্মান্ধ উগ্র হিন্দুরাজনীতির ভয়ঙ্কর বিদ্বেষটাই জাতিভেদ প্রথার অধর্ম! বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা “চন্ডালিকা” শীর্ষক নৃত্যনাট্যে “চন্ডালিকা হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করলেন। বিশ্বশান্তির উৎস নিরুপণ করতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহাশয় জাতিসংঘের ভাষণে ঘোষণা করলেন, “ভারত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পূজনীয় বুদ্ধ দিয়েছে এবং পূজনীয় গৌতমবুদ্ধই (বুদ্ধের উপদেশ) বিশ্বশান্তির উৎস! যুদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চলমান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে শুক্রবার নিজের ভাষণে তিনি এ কথা বলেন (27 September 2019 খবর এএনআই’র! সকল ধর্মের উপদেশে বিরাজমান, “মানুষ মানুষের ভাইবোন। হিংসায় উন্মত্ত হিন্দুরাজনীতির জাতিভেদে বৌদ্ধধর্ম অহিংসা পরম ধর্ম!

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞে হিন্দু রাষ্ট্রশক্তির হিন্দু মৌলবাদের হরিলুট! হিন্দু রাষ্ট্রশক্তির ব্রাহ্মণ সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ (খৃষ্ঠ পূর্ব ১ম শতাব্দী)সহ চক্রান্তকারীরা বিভিন্ন হিন্দু জঙ্গীদের সাথে ক‚ঠনীতি করে উপমহাদেশে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞে বৌদ্ধ ধর্ম এবং বৌদ্ধ ধর্মের মুল গ্রন্থ বৌদ্ধ ত্রিপিটককে নিশ্চিহ্ন করে হিন্দু ধর্মকে মহিমান্বিত করতেবৌদ্ধ জাতক থেকে রামায়ন ও মহাভারত (১) বেতাল পঞ্চবিংশতি (২) পঞ্চতন্ত্র, এবং (৩) কথাসরিৎসাগরের উৎস! ২৩০০ বছর পর নানা ষড়যন্ত্রের দুর্ভেদ্য প্রাচীর বিদীর্ণ করে গৌতমবুদ্ধের শিক্ষা প্রচারে ‘পালি ভাষায় রচিত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মূখ্য ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র ত্রিপিটক বোধিদর্পন প্রকাশনীর মাধ্যমে ৫৯ খণ্ডে বাংলা অনুবাদের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে সংযুক্ত হলো শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর ২০১৭ বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও সার্বজনীন শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহার ! বৌদ্ধ বিহার ভেঙ্গে গড়ে তোলা হয়েছে বিহার STATE OF INDIA, হিন্দুরাজনীতির তিরুপতি বালাজী, ও পুরীর জগন্নাথ মন্দির”! আনন্দবাজার পত্রিকার (সম্পাদকীয়, ২২ আগষ্ট, ১৯৯৩) মতে, … সেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা কেমন করিয়া ভুলিয়া গেলেন যে, একদা রাশি রাশি বৌদ্ধ ধর্মস্থান ধ্বংস করিয়া একদিন গড়িয়া উঠিয়াছিল রাশি রাশি হিন্দু মন্দির কেন?

গৌতমবুদ্ধের অহিংস নীতিতে দীক্ষা নিয়ে সম্রাট অশোকের (After three hundred years of Lord Buddha) মানবাধিকারের ঘোষণা ছিল”অহিংসা পরম ধর্ম”!

শিলালিপিতে লিপিবদ্ধ করেছিলেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের ভাষায়, “জগতের মধ্যে শ্রেষ্ট সম্রাট অশোক আপনার যে কথাগুলিকে চিরকালের শ্রুতিগোচর করিতে চাহিয়া ছিলেন, তাহাদিগকে পাহাড়ের গায়ে খুদিয়া দিয়াছিলেন। ভাবিয়া ছিলেন, পাহাড় কোনকালে মরিবে না, সরিবে না, অনন্তকালের পথের ধারে অচল হইয়া দাঁড়াইয়া নব নব যুগের পথিকদের কাছে এক কথা প্রতিদিন ধরিয়া আবৃত্তি করিতেই থাকিবে। পাহাড়কে তিনি কথা কইবার ভার দিয়াছিলেন। তোমার কীর্তির চেযে তুমি যে মহৎ, / তাই তব জীবনের রথ,/ পশ্চাতে ফেলিয়া যায় কীর্তিরে তোমারে,/ বারম্বার। / তাই চিহ্ন তব পড়ে আছে,/ তুমি হেথা নাই।”
ভারত সরকার PALI & HINDI BUDDHIST TRIPITAKA (in 1957), ইংরেজী ভাষায় মূল্যবান গ্রন্থ 2500 Years of Buddhism এবং “দি ওয়ে ওব দি বুদ্ধ” শীর্ষক গ্রন্থে গৌতমবুদ্ধের আগের (১) কনকমুনি বুদ্ধ এবং (২) কাশ্যপবুদ্ধের নাম সম্রাট অশোকের শিলালিপিতে সগৌরবে বিরাজমান। পুরানো বৌদ্ধদশরথ জাতককে হিন্দুপন্ডিতগণ (ইতিহাস বিকৃতকারী) বদলায়ে রামায়ণ রচনা করার পর উক্ত রামায়নের অযোধ্যা কান্ডের বত্রিশ নম্বর শ্লোকে গৌতমবুদ্ধকে চোর (হিন্দুরাজনীতির HATE CRIME) এবং বৌদ্ধদেরকে নাস্তিক বানিয়ে অন্যায় ন্যায় হল, সত্য হল অসত্য, অসত্য হল সত্য, অধর্ম যুদ্ধ হল ধর্ম যুদ্ধ!

হিন্দুরাজনীতির ভারতে বৌদ্ধ নিধন যজ্ঞ শুরু হ’ল। হিন্দু ব্রাহ্মণ পন্ডিতের দল বুদ্ধকে রাতারাতি হিন্দুর নবম অবতার করে সর্বগ্রাসী হিন্দু ধর্মের ফায়দা লুটে নিতে বাংলাদেশের ইতিহাস বদলে দিয়ে সেন রাজত্ব স্থাপনের পর বৌদ্ধ নিধন যজ্ঞ শুরু হ’ল। সেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ইচ্ছা করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতে বৌদ্ধ বাড়ী সহ পুরানো বৌদ্ধ শহর (বৌদ্ধহত্যা যজ্ঞ, দেশ, ৪ মে ২০০১ পৃষ্ঠা ১২ কলকাতা)! দেশ পত্রিকার লেখক সোমনাথ রায়ের মতে, “বিষমোহয়ম উপন্যাসঃ। বেদ ও কৃষ্ণ একই সময়ে মাটিতে দাঁড়িয়ে আছেন। মহাভারতের আর্যসমাজের ওই বিশৃংখল অবস্থায় এই গোঁজামিল অবশ্যম্ভাবী। এই হীন ব্যাপারগুলির উদ্দেশ্য আর্যদের তাঁবেদার করে রাখা, না হলে শূদ্ররা আসবে। তাই কলিযুগ বা শূদ্রযুগ আসছে বলে ভয় দেখানো (চিঠিপত্র বিভাগ, দেশ, পৃষ্ঠা ১৯, কোলকাতা, নভেম্বর ১, ১৯৯৯ সাল)!

হিন্দুরাজনীতি বৌদ্ধ ধর্মচক্রকে বদলায়ে অশোকচক্র বানিয়েছে এবং সম্রাট অশোকের বৌদ্ধ ভারতকে হিন্দু ভারত করেছেন। অথচ “বন্দে মাতরম” শীর্ষক কবিতার লেখক সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায়, “তখন বিশুদ্ধাত্মা শাক্যসিংহ (বুদ্ধ) অনন্তকালস্থায়ী মহিমা বিস্তারপূর্বক, ভারতাকাশে উদিত হইয়া, দিগন্ত প্রসারিত রূপে বলিলেন, আমি তোমাদের রক্ষা করিব। বর্ণ বৈষম্য মিথ্যা। যাগযজ্ঞ মিথ্যা। বেদ মিথ্যা, সূত্র মিথ্যা, ঐহিক সুখ মিথ্যা, কে রাজা, কে প্রজা, সব মিথ্যা। ধর্মই সত্য। মিথ্যা ত্যাগ করিয়া সকলেই সত্যধর্ম পালন কর। (বঙ্কিম রচনাবলী, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৮২ থেকে ৩৮৩, (SAMYAVADA) সাহিত্য সংসদ প্রকাশিত!

ভারতে একমাত্র বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দিরে হিন্দু নেতাগণের ষড়যন্ত্রে ম্যানেজম্যান্ট কমিটির এ আইন মনুষ্য সৃষ্ঠ অথচ মনুষ্যত্ব বিরোধী। জঙ্গি হিন্দুত্ববাদীদের গভীর ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে (কলকাতার দেশ ৪ মে, ২০০১ পৃ: ১০) ভারতীয বৌদ্ধদের অক্লান্ত প্রয়াসের ফলে মহাবোধি মন্দির উদ্ধারের দাবীদে অনশন, অবস্থান, মিছিল, ধর্ণা ইত্যাদি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কর্মসুচি রুপায়ন চলতে থাকে বছরের পর। ব্রাহ্মণ্যবাদের মাফিয়াচক্রে “ধর্মের অপব্যবহারে” লোভী ব্রাহ্মণসহ শাসকগণ জাতিভেদ প্রথায় সনাতন ধর্মের মস্তক বিক্রয় করে গণতান্ত্রিক বৌদ্ধধর্মকে করেছিলেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই শুধু ভারতের সত্যিকারের নাগরিক হলে, সংখ্যালঘুদের জন্য তো আপনার প্রাণ কাঁদে না। কোন পরিকল্পনা ও নেই। প্রসঙ্গত: বিশ্বমানবাধিকাররের আলোকে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কারণ কি ছিল? ভারতের বিহার সরকার ক্ষতিগ্রস্থ নির্যাতীত বৌদ্ধদেরকে তাঁদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব এই সহজ কথাটি পর্যন্ত ভুলে গেছে। বুদ্ধগয়ায় মহাবোধি মন্দির হিন্দুত্বকরনের বিরুদ্ধে ভারতীয় বৌদ্ধভিক্ষুদের আমরণ অনশন ধর্মঘটের সংবাদ টরন্টোর বাংলা কাগজ (জানুয়ারী ১২, ২০১০), বাংলাদেশের নয়া দিগন্ত (২ এবং ৩রা জানুয়ারি, ২০১০) ও কলকাতার টেলিগ্রাফ পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরে বিশ্ববৌদ্ধ সমাজ বিস্মিত।

ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুরাজনীতি বৌদ্ধ ত্রিপিটকের পালি বর্ণমালা কে ব্রাহ্মী বর্ণমালা করেছিল! ২৬০০ বছর পূর্বে গৌতমবুদ্ধের ভাষা আন্দোলন! গৌতমবুদ্ধ সংস্কৃত ভাষাকে বাদ দিয়ে তাঁর ভিক্ষুসংঘ এবং জনতাকে পালি ভাষায় উপদেশ দিয়ে ছিলেন। বঙ্গাব্দ হিন্দুরাজনীতির জাল-জালিয়াতি প্রত্যহ ব্যাপকতর, প্রকটতর— এবং নির্লজ্জতর! নির্লিপ্ত থেকে যেতে চাওয়া বহু মানুষ যে-কোনও ঘটনার বিচার সেরে ফেলতে চান পলকে। মিডিয়া ট্রায়াল আর সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলিং’-এর দৌলতে সে কাজ আজ খানিক!

সকল ধর্মের বিশ্বমৈত্রীতে বিদ্বেষটাই ধর্মান্ধদের অধর্ম ! হিন্দু সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠিত করার পর ৭ম শতাব্দীতে রাজা শশাঙ্ক বুদ্ধগয়ার বোধিবৃক্ষ ধ্বংস করেছিলেন। হিন্দু সমাজে মানবাধিকার হিন্দু ধর্ম কি ভাবে বৌদ্ধধর্মকে অর্ন্তভ্ক্তু করে? সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর রচিত “ভারত সন্ধানে” (ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া) শীর্ষক গ্রন্থে ১৫০ পৃষ্ঠায় “হিন্দু ধর্ম কি ভাবে বৌদ্ধধর্মকে অর্ন্তভ্ক্তু করে” প্রশ্নটা প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আঁন্দ্রে ম্যালরো জওহরলাল নেহেরুকে করেছিলেন! হিংসাকে অহিংসা দিয়ে জয় করতে হবে। বৌদ্ধদের শত শত বুদ্ধ মন্দির ও বিহার আজ ও হিন্দু মৌলবাদীরা দখল করে আছে। ১৯৫৬ সালে ১৪ অক্টোবর জাতিভেদ প্রথার ট্রাজেডি সহ্য করতে না পেরে ভারতীয় সাবেক আইন মন্ত্রী ডঃ বি. আর আম্বেদকর ৫০ হাজার জনতা নিয়ে বৌদ্ধধর্ম গ্রহন করেন। ভারতীয় হিন্দু শাসকগণ বুদ্ধকে হিন্দুর অবতার বানিয়ে বৌদ্ধগণকে নীচ জাতি করে রাখেন। ফল বিশ্ববৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম তীর্থস্থান “বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দির” (যেই পবিত্র বোধিবৃক্ষের তলে বসে রাজকুমার সিদ্ধার্থ কঠোর সাধনার মাধ্যমে সম্যক সম্বুদ্ধ বা বুদ্ধত্ব লাভ করেন) হিন্দু রাজনীতি দখলে রাখবে। হিংস্র মুসলমান জনগণ ধর্মকে ঢাল তলোয়ারের মত ব্যবহার করছে!

বুদ্ধগয়ায় হিন্দুরাজনীতির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস! কর্নাটকের রাজা বিজয় সেনের বাংলাদেশ দখল করাতে একাদশ শতাব্দীতে বৌদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো! হিন্দু রাজা শশাঙ্ক ৭ম শতাব্দীতে বুদ্ধগয়ায় মহাবোধি মন্দির দখল করে বোধিবৃক্ষ ধ্বংস সহ শত শত বৌদ্ধহত্যা যজ্ঞ করার ইতিহাস চীনা পরিব্রাজক বৌদ্ধভিক্ষু ইউয়েন সাং তাঁর ভ্রমন কাহিনীর ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করেছেন। ব্রাহ্মণ্য হিন্দু ধর্মের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতায় বৌদ্ধ চর্যাপদের উৎপত্তি এবং হিন্দুরাজনীতির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে (দেশ, ৪ মে ২০০১ কলিকাতা পৃষ্ঠা ১২) ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বাঙালি বৌদ্ধগণ নু ভড়ৎপব মুসলমান হয়েছিলেন! হিন্দুরাজনীতি বৌদ্ধধর্ম গ্রহন না করে বা বৌদ্ধ ধর্মালম্বী না হয়ে পূজনীয় গৌতমবুদ্ধকে হিন্দুরাজনীতি নবম অবতার বানিয়ে বানিয়ে গোলে মালে আধুনিক সমাজের চোখে ধূলো দিচ্ছেন। বুদ্ধগয়া মহাবোধি ম্যানেজম্যান্ট কমিটির Chairman must a BUDDHIST but হিন্দুরাজনীতি made a HINDU forever (Magistrate) and স¤প্রতি ভারতের “দৈনিক পাটনা” পত্রিকার সংবাদ ছিল মানুষের সকল মৌলিক অধিকার পরিপন্থী, মানবতা বিরোধী এক কালো আইনের নাম “বুদ্ধগয়া মহাবোধি ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সদস্যগণের নীতিমালা” (ভারত, দৈনিক পাটনা, ২৪ মে, ২০০৮)। বাংলাদেশ & INDIA এনলাইটেনমেন্টে একদা দক্ষিন এশিয়ায় ব্রাহ্মণ ব্যতীত সবাই বৌদ্ধ ছিলেন। সম্রাট অশোকের মৃত্যুর পর ব্রাহ্মণ রাজা পুষ্যমিত্র (খৃষ্ঠ পূর্ব ১ম শতাব্দী)সহ চক্রান্তকারীরা বিভিন্ন জঙ্গীদের সাথে ক‚ঠনীতি করে উপমহাদেশে বৌদ্ধধর্ম এবং মন্দির ধ্বংস করেন।

২৫৫৪ বছর পূর্বে ভারতের বিহার প্রদেশে গৌতমবুদ্ধের “বুদ্ধত্ব লাভের” পবিত্র জায়গাটির নাম “বুদ্ধগয়া।” পলিটিক্যাল হিন্দুধর্ম ভারতীয় বৌদ্ধগণের মানবাধিকার হরণ করেছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা “চন্ডালিকা” শীর্ষক নৃত্যনাট্যে বিশ্বমানবতার বানী অহিংসা পরম ধর্ম প্রচার করেছেন। হিন্দু মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃষ্ঠান সহ সকল মানব সন্তান মিলে আমাদের মানবজাতি। রাজনীতি ও ধর্ম মানবাধিকারকে ধ্বংস করা অমানবিক অপরাধ বলে কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ভাষায়, “গোত্র দেবতা গর্তে পুরিয়া, / এশিয়া মিলাল শাক্যমুনি। অবশেষে হিন্দু রাজনীতির আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সন্মিলিত বৌদ্ধবিশ্বের প্রতিবাদ মুখরিত বুদ্ধগয়ায় মহাবোধি মন্দিরে বুদ্ধ বন্দনার পর মহাভিক্ষু সমাগমে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়। নয়জনের বুদ্ধগয়া ম্যানেজম্যান্ট কমিটিতে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সহ আর ও চারজন হিন্দু সদস্য কেন? ভারতে জৈন, মুসলমান, শিখ এবং খৃষ্ঠান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কোন হিন্দু সদস্য নেই। হিন্দু রাজনীতির দাদারা মাফিয়া চক্রের মতো বৌদ্ধদের তীর্থভূমি বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দির শত শত বছর পর্যন্ত দখল করে আছে।

জাতিভেদ প্রথার ট্রাজেডিতে “বৌদ্ধগণ” ভারতে হিন্দু রাজনীতির ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছে। আজ বৌদ্ধধর্ম ভারতের গরীব আদিবাসীদের ও ডঃ বি. আর. আম্ভেদকরের অনুসারীদের ধর্ম। জাতিভেদ প্রথা ভিত্তিক হিন্দুধর্মে বৌদ্ধদের বিন্দুমাত্র ও অস্তিত্ব নেই। ভারত বাংলাদেশের বৌদ্ধগণ ছিল ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুধর্মের পথের কাঁটা। “হিন্দু শাসকগণ বুদ্ধগয়ার মাধ্যমে রাজনীতির “ব্রহ্মজাল” পেতে রেখেছে। এই চাণক্য রাজনীতির ক‚ট কৌশলে ব্রাহ্মণ্যবাদের সমাজপাঠ। তাই সম্রাট অশোক কলিঙ্গযুদ্ধের ভয়াবহ পরিনাম দেখে শান্তির জন্যে ত্রাহি ত্রাহি করতে করতে বৌদ্ধধর্ম গ্রহন করেন। হিন্দু সমাজে মানবাধিকার নেই। হিন্দু রাজনীতি বৌদ্ধদের হাত থেকে বৌদ্ধধর্ম, অশোকচক্র এবং বুদ্ধগয়া কেড়ে নিয়েছে। হিন্দুশাসকদের কাছে বৌদ্ধগণ হিন্দু রাজনীতির গোলাম। শান্তিকামী হিন্দু জনতা বৌদ্ধদের পরম বন্ধু, কিন্তু পলিটিক্যাল অত্যাচারী হিন্দু শাসকগণই অভিশপ্ত বৌদ্ধদের শত্রু।

ভারতে একমাত্র বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দিরে হিন্দু নেতাগণের ষড়যন্ত্রে ম্যানেজম্যান্ট কমিটির এ আইন মনুষ্য সৃষ্ঠ অথচ মনুষ্যত্ব বিরোধী। জঙ্গি হিন্দুত্ববাদীদের গভীর ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে (কলকাতার দেশ ৪ মে, ২০০১ পৃ: ১০) ভারতীয বৌদ্ধদের অক্লান্ত প্রয়াসের ফলে মহাবোধি মন্দির উদ্ধারের দাবীদে অনশন, অবস্থান, মিছিল, ধর্ণা ইত্যাদি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কর্মসুচি রুপায়ন চলতে থাকে বছরের পর। ব্রাহ্মণ্যবাদের মাফিয়াচক্রে “ধর্মের অপব্যবহারে” লোভী ব্রাহ্মণ সহ শাসকগণ জাতিভেদ প্রথায় সনাতন ধর্মের মস্তক বিক্রয় করে গণতান্ত্রিক বৌদ্ধধর্মকে করেছিলেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই শুধু ভারতের সত্যিকারের নাগরিক হলে, সংখ্যালঘুদের জন্য তো আপনার প্রাণ কাঁদে না। কোন পরিকল্পনা ও নেই। প্রসঙ্গত: বিশ্বমানবাধিকাররের আলোকে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কারন কি ছিল? ভারতের বিহার সরকার ক্ষতিগ্রস্থ নির্যাতীত বৌদ্ধদেরকে তাঁদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব এই সহজ কথাটি পর্যন্ত ভুলে গেছে। বুদ্ধগয়ায় মহাবোধি মন্দির হিন্দুত্বকরণের বিরুদ্ধে ভারতীয় বৌদ্ধভিক্ষুদের আমরণ অনশন ধর্মঘটের সংবাদ টরন্টোর বাংলা কাগজ (জানুয়ারী ১২, ২০১০), বাংলাদেশের নয়া দিগন্ত (২ এবং ৩রা জানুয়ারি, ২০১০) ও কলকাতার টেলিগ্রাফ পত্রিকা সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরে বিশ্ববৌদ্ধ সমাজ বিস্মিত।

জঙ্গি হিন্দুত্ববাদীদের গভীর ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে (কলকাতার দেশ ৪ মে, ২০০১ পৃ: ১০) ভারতীয বৌদ্ধদের অক্লান্ত প্রয়াসের ফলে মহাবোধি মন্দির উদ্ধারের দাবীদে অনশন, অবস্থান, মিছিল, ধর্ণা ইত্যাদি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কর্মসুচি রুপায়ন চলতে থাকে বছরের পর। বৌদ্ধদের তিরুপতি বালাজী মন্দির এবং পুরীর জগন্নাথ মন্দির হিন্দু রাজনৈতিকগণ দখল করার পর গৌতমবুদ্ধকে হিন্দু রাজনীতির ভগবান বা অবতার বলে বৌদ্ধধর্মকে হিন্দু রাজনীতি তিলে তিলে কিডন্যাপ করেছেন। “শক্তি মরে ভীতির কবলে / পাছে লোকে কিছু বলে। সর্বগ্রাসী হিন্দুধর্ম শক্তিশালী অনার্য সভ্যতাকে আয়ত্ত করে নিজের কুক্ষিগত করেছিলেন। বিশেষতঃ কুমারিল ভট্ট, শংকরাচার্য প্রমুখের নেতৃত্বে ব্রাহ্মণ্য ধর্মের পূনরুত্থান আন্দোলন আরম্ভ হয়েছিল। এ সময়ে বৌদ্ধ সমাজের বুদ্ধিজীবিগণ নিস্তেজ হয়ে পড়েন এবং রিক্ত সর্বশান্ত হয়ে তাঁরা ধীরে ধীরে ভারতবর্ষ হতে তিব্বত ও আসামের দিকে সরে পড়েছেন।”

অধ্যাপক হরলাল রায় তাঁর লেখা ‘চর্যাগীতি’ গ্রন্থের দশম পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘ধর্মকোলাহলেই বাংলা সাহিত্যের পুষ্টি ও বিকাশ। ভারতেই আমরা দেখতে পাই ব্রাহ্মণ্য ধর্মের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতায় পালি সাহিত্যের উৎপত্তি। হিন্দুধর্মের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলেই বৌদ্ধ ধর্ম ভারত হতে বিতারিত হয়েছিল। আশ্চর্য্যরে বিষয়, বৌদ্ধ ধর্ম তাঁর জন্মভূমি হতে প্রায় বিলুপ্ত হয়েছিল। মুসলমান আক্রমণের বহু পূর্বেই আমরা সারা ভারতে ব্রাহ্মণ্যধর্মের পূনরুত্থান দেখতে পাই। সংস্কৃত ভাষা ও চর্চা চলেছে তখন পুরোদমে। তাঁরাই বিধান দিলেনঃ অষ্টাদশ পূরণানি রামস্যচরিতানি চ। ভাষায়াং মানবঃ শ্রত্বা রৌরবং নরকং ব্রজেৎ। এভাবে যাঁরা সংস্কৃতকে আত্মস্থ করে নিয়েছিলেন, তাদের পক্ষে যে অন্য ভাষা সহ্য করা অসম্ভব ছিল তা মনে করা যুক্তিযুক্ত।

বৌদ্ধ ভারত মহাকাব্যের মহাকবি সম্রাট অশোক বুদ্ধগয়া মহাজনসমুদ্রে জনগণমনের মুক্তির মঞ্চে দাঁড়িয়ে জলদ গম্ভীর স্বরে ঘোষণা করেছিলেন, “অহিংসা মানুষের ধর্ম এবং “সত্য মেব জয়তে।” ভূপালে সাঁচীর তোরনদ্বারের দক্ষিন তোরণের পশ্চিমের স্তম্ভের মাঝের দুটো প্যানেলে সেই মহামতি সম্রাট অশোকের তীর্থভূমি বুদ্ধগয়ায় মহাবোধিবৃক্ষে বুদ্ধ বন্দনার অমর এ্যালবাম আজ ও অ¤øান হয়ে আছে। সম্রাট অশোক ব্রাহ্মণ শাসিত সংস্কৃত ভাষা বাদ দিয়ে পালি ভাষা গ্রহন করেছিলেন। ব্রাহ্মণ শাসিত সংস্কৃত ভাষা বাদ দিয়ে সম্রাট অশোক বৌদ্ধ ত্রিপিটক পালি ভাষায় প্রকাশনা প্রচার ও প্রসার করার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। “অশোক যাহার কীর্তি গাইল. / হিমালয় থেকে জলধি শেষ।” পরম পূজনীয় গৌতমবুদ্ধকে সশ্রদ্ধ বন্দনা করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা লিখেছিলেন, “ওই নামে ধন্য হলো একদিন তব জন্মভূমি / আর বার সেই নাম / এ দেশের নগরে প্রান্তরে দান কর তুমি।” হিন্দু মুসলমান রাজনীতিতে ভারতের জাতীয় পতাকায় বৌদ্ধধর্মের বিশ্বজয়! মানবতা কাছেপরাজিত ধর্মান্ধ রাজনীতি!

বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি