বিনোদন ডেস্ক : বড় পর্দার তারকারা ঈদ উৎসবের জন্য মুখিয়ে থাকেন। কারণ, এই সময়েই সব থেকে বেশি জমজমাট থাকে সিনেমা হলগুলো। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই ঈদে ছিল সিনেমা হল বন্ধ। তারকাদের ঈদ কেটেছে ঘরে বসেই। কিন্তু কাজের আগ্রহ ও ভক্তদের আবদার মেটাতে অনেকেই এই ঈদে কাজ করেছেন ভিন্নভাবে।
অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম অভিনীত পরান ছবিটি ঈদে মুক্তির জন্য প্রস্তুত ছিল। প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ থাকার কারণে মুক্তি পায়নি ছবিটি। তবে গত বছরের তৈরি তাঁর অভিনীত ‘হঠাৎ বিয়ে’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাংলাভিশন টিভিতে এবং এসএস মাল্টিমিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে এই ঈদে। এটি পরিচালনা করেছেন ওসমান মিরাজ। ঈদে বড় পর্দায় না থাকতে পারাটা মিমের কাছে আফসোসের। তিনি বলেন, ‘যাঁরা সিনেমাতে অভিনয় করেন, সারা বছর তাঁদের স্বপ্ন থাকে ঈদে সিনেমা মুক্তি দেওয়ার। পরান ছবিটি প্রস্তুত থাকার পরেও গত দুই ঈদের কোনোটিতেই মুক্তি দেওয়া গেল না। খারাপ লাগেই।’
তবে ঈদে ছোট পর্দায় থাকাটাকেও ইতিবাচকভাবে দেখছেন এই অভিনেত্রী। মিম বলেন, ‘গত বছর এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি করেছিলাম। ঈদের ছুটিতে অনেক ভক্তই ছোট পর্দায় চোখ রাখেন। তাঁদের জন্য অন্তত ছোট পর্দায় এই ঈদে থাকতে পেরেছি।’
প্রথমবারের মতো ‘অক্সিজেন’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন মাহিয়া মাহি। করোনাকালের একটি পরিবারের বাস্তব ঘটনা নিয়ে চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন রায়হান রাফি। এই ঈদে ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেইনমেন্ট ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে এটি। মাহি বলেন, ‘আমি ইউটিউবের জন্য এ ধরনের কোনো কাজ আগে করিনি। করোনার এই সময়ে আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। এ সময়ের বাস্তব একটি ঘটনা ধরে এর গল্প। চিত্রনাট্যটি পড়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। এ কারণেই কাজটি করেছি।’
প্রথমবার কাজের পর ভালো সাড়া মিলেছে বলে জানান মাহিয়া মাহি। অগ্নি ছবিখ্যাত এই নায়িকা বলেন, ‘চলচ্চিত্রটি প্রকাশিত হওয়ার পর খুবই ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। ৩০ মিনিটের গল্পে পুরো দুই দিন আমাকে অ্যাম্বুলেন্সে থেকে শুটিং করতে হয়েছে। চরিত্রটি খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল।’
বড় পর্দার আরেক অভিনেতা ইয়াশ রোহান এই ঈদে দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। সাফায়েত মনসুর রানার মশাল দীপ্ত টিভিতে আর গৌতম কৈরির করোনাকাল প্রচার হয়েছে চ্যানেল ২৪–এ। ইয়াশ রোহান অভিনীত পরান ছবিটি এই ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিনেমা হল বন্ধ থাকায় তা আর সম্ভব হয়নি। ইয়াশ রোহান বলেন, ‘যদি আমার একার ছবি আটকে থাকত, তাহলে খারাপ লাগত। সবারই একই অবস্থা। এ কারণে কোনো আফসোস নেই আমার।’
তবে থেমে থাকেননি এই অভিনেতা। ছোট পর্দায় দর্শকের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন। ইয়াশ রোহান বলেন, ‘দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। ঈদে প্রচার হয়েছে। ছোট পর্দায় হলেও ঈদে দর্শকের সঙ্গে থাকতে পারলাম। ঈদের আনন্দ দর্শকের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারলাম। এটাই নিজের কাছে কিছুটা প্রশান্তির।’